তারপরেও মানিয়ে নিতে হয়।
আজ- ৫ই মাঘ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিনের মতো আজ ও ঘুম থেকে উঠেছি অনেকটা দেরি করে। তবে পরিকল্পনা ছিল আজ অন্তত একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার কেননা আজ শুক্রবার তাই একটু তো ব্যস্ততা রয়েছেই, তাছাড়া আজ একটা দাওয়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। প্রথমেই ভেবেছিলাম দাওয়াতটাতে যাব না পরবর্তীতে সবাই বেশ জোরাজুরি করলো তাই আর না করতে পারলাম না।
তাই সব মিলিয়ে চেষ্টা করছিলাম আজ তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে কমিউনিটির কাজগুলো সেরে এরপর আমার অন্যান্য কাজগুলোতে সময় দেওয়ার। কিন্তু কিছুই হলো না। এ প্রচন্ড ঠান্ডায় সকালের দিকে যেন একদমই ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। এমনিতেই আমি একটু অলস টাইপের সকালে ঘুম থেকে ওঠার এই বিষয়টাতে। তার উপরে এখন যে পরিমাণ ঠান্ডা পড়ছে তাতে কম্বল ছেড়ে ওঠাটা অনেকটা যুদ্ধের মত মনে হয় আমার কাছে । আমি সত্যি তাদেরকে অনেকটা স্ট্রং মনে করি যারা এই কাঁপানো ঠান্ডায় ভোরে ঘুম থেকে উঠে সমস্ত আলসেমি দূর করে । আমার দ্বারা তো মনে হয় না এই ঠান্ডার মধ্যে আটটার আগে ঘুম থেকে ওঠা কখনো সম্ভব হবে না।
যাইহোক আজকে সর্বোচ্চ টা চেষ্টা করেছি তাড়াতাড়ি করে ঘুম থেকে উঠে সমস্ত কাজ গুলো সেরে রাখতে কিন্তু দেখুন আজকেই লেট সব থেকে বেশি।
শীতকালটা আসছে পর্যন্ত গ্যাস এর প্রচন্ড সমস্যা করছে । রাতে গ্যাস যা একটু থাকে দিনের বেলায় মাঝে মাঝে থাকে মাঝে মাঝে থাকে না। সকাল দশটা থেকে মোটামুটি বারোটা পর্যন্তই থাকেনা। কিন্তু আজ একদম ভোর বেলা থেকে গ্যাস নেই। আজকে এই গ্যাস না থাকার ফলে আমাদের যদিও তেমন একটা সমস্যা নেই কেননা রাতে আম্মু রান্না করে রেখেছিল তাছাড়া রাইস কুকার ও কিনা হয়েছে আর ওভেন আছে তাই আর তেমন কোন সমস্যা নেই। গ্যাস না থাকলেও কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে মোটামুটি ভাবে। তবে সকালে পরোটার জন্য দোকানে গিয়েছিলাম কিন্তু ওখানে গিয়ে দেখি অবস্থা খুবই করুন। হোটেলগুলোতেও কোন খাবার নেই সকলে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন খাবারের জন্য। আর তাড়াহুড়া করে ওরা যা বানিয়ে দিচ্ছে তা আর মুখে দেওয়ার মতো না। তারপরও কি করবে মানুষ কিছু তো খেতেই হবে। আসলে শহরাঞ্চলে গ্যাস, পানি, কারেন্ট না থাকলে অনেকটা দুর্ভোগে পোহাতে হয়। তারপরেও বিষয়গুলোর সাথে প্রতিনিয়ত আমাদের মানিয়ে নিতে হয়।
আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন। আবারও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
জি ভাই ঠিক বলিছেন বর্তমান এই শীতে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠা মানে যুদ্ধ করা ৷ আসলে ভাই শীতের তিব্রতা খুব বেশি ৷ যা হোক তবুও মেনে নিয়েই চলতে হবে ৷ দিনশেষে সবকিছু প্রকৃতির হাতে ৷ তাই আমাদের সবার উচিত এই ঠান্ডায় সুরক্ষিত রাখা ৷
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সন্ধ্যাবেলায় মামনিকে কল দিলাম তারা চৌমুহনীতে থাকে। কিন্তু তখন বলল সেখানে নাকি গ্যাস নেই। আজ সারাদিনই ছিল না। প্রায় সময় তাদের গ্যাস থাকে না, এই সমস্যাগুলোর জন্যই তারা অনেক ভোগান্তির শিকার। আর যেহেতু আপনারাও সেখানে কাছাকাছি রয়েছেন এই সমস্যা গুলো আসলে জীবনটাকে বিষন্ন করে তোলে। তবে শহরাঞ্চলে এই সমস্যাগুলো বেশি হলে আসলেই অনেক কষ্ট করতে হয়। এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই ঠান্ডার মধ্যে সকালবেলা উঠতে একদম ইচ্ছে করে না। আমি নিজেও তাড়াতাড়ি করে উঠতে পারি না,যুদ্ধ করতে হয় একরকম।
অনেক সময় দেখবেন অনেক কিছু অনিচ্ছা থাকার সত্বেও মেনে নিতে হয়। যেটা বিশেষ করে বলবো পরোটার খাওয়ার কথা নিয়ে। আসলে এমন কিছু কিছু হোটেল আছে যাদের খাবারের মান গুলো এত নিম্নমানের। কিন্তু করার কিছু নেই আপনাকে অবশ্যই নিতে হলো। অন্য একটা ব্যাপার হচ্ছে যখন সকালে একদম উঠে যাব যেদিন ভাবা হয়। মনে করবেন সেদিন একদম ভিন্ন হয়ে যায়। কেন জানিনা আমার তো একদম লেট হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার মনের অনুভূতি জানতে পেরে।
আসলে অনেক সময় পরিবেশ পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে থাকে না, তখন অবশ্যই নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে হয়। শীতকালে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা আসলেই বেশ কষ্টকর। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাদের অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করে দেয়। বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাসের সমস্যা সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে। যাইহোক যেকোনো জিনিস তাড়াতাড়ি করতে চাইলে, উল্টো আরও দেরি হয়ে যায়। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গ্যাস না থাকলে শহরে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। তবে ব্যাকআপ হিসেবে ওভেন আর রাইস কুকার থাকলে রান্না করা যায়। গ্রামের দিকেও এখন জ্বালানির সংকট খুব। খড়খুটো দিয়ে রান্না করতে হয় তবে চাহিদা এগুলোরও কমছে। অনেকেই সিলিন্ডার গ্যাস ইউজ করছে