শপিং
আজ- ৫ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আরো কিছু বছর আগের রমজান গুলোর কথা মনে পড়ছে যখন কিনা প্রচন্ড উষ্ণতার মধ্যে দিয়ে সময় গুলো কাটানো হতো। তবে এবার সেই তুলনায় গরমের মাত্রাটা অনেকটাই কম। কেননা এবারে রমজান টা অনেকটাই শীতের কাছাকাছি সময় এসেছে। ফেব্রুয়ারির শেষ একেবারে মার্চের শুরুতে গিয়ে যেহেতু আমরা রমজানে পেয়েছি সেহেতু তাপমাত্রা অনেকটাই সহনীয় ছিল। অবশ্য পরবর্তী বছরগুলোতে রমজানটা একেবারে শীতে এসে পড়বে।
রমজান যত শেষ হতে চলেছে ততই যেন ঈদের আমেজটা কাছে আসতে শুরু করেছে। ছোটবেলার সে কথাগুলো আজও বেশ মনে পড়ে যখন রমজান থেকেও বেশি আগ্রহ থাকতাম শুধুমাত্র এই একটি ঈদের জন্যই। ঈদুল আযহা থেকে ঈদুল ফিতরের মজাটাই যেন সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো। বিশেষ করে শপিং করার এ বিষয়টি অন্যরকম ভালো লাগতো। শপিং করে সবার আগে লুকিয়ে রাখাটাই যেন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ । সবাই সবার শপিং গুলো ঈদের আগে লুকিয়ে রাখত। একেবারে ঈদের দিনেই প্রত্যেকের নতুন জামা কাপড় পরে সবার সামনে আসতো। মাঝে মাঝে নতুন জামাগুলো বের করে একটু দেখতাম। এরপর আবারো লুকিয়ে ফেলতাম কেউ যেন না দেখে সেই ভয়ে। নতুন জুতো পায়ে দিয়ে খাটের উপরে হাঁটতাম যেন ময়লা না লেগে যায়।
ছোট ছোট পাগলামি গুলোর কথা যেন এখনো মনে পড়লে মনে মনে হাসি পায় কিন্তু ওই সময়টা ছিল একেবারে ভিন্ন। এখন যদিও ঈদের শপিংয়ে এত বেশি মাথাব্যথা নেই। তারপরও ঈদের শপিংয়ে ভালো লাগার কাজ করেই। আর ছেলেদের শপিং বলতে খুবই সিম্পল। দুই একটা আইটেমের মধ্যে যেন শপিংটা সেরে নেওয়া যায়।
এবারের ঈদ শপিং টা যদিও এখনো করা হয়নি। কেননা বিভিন্ন কাজে সময় গুলো এতটাই ব্যস্ততাপূর্ণভাবে কাটছে যে আলাদা করে সময় বের করে শপিং করার সেই সুযোগটা যেন হয়েই উঠছে না। তবে আমাদের ছেলেদের শপিং করার সময় কিন্তু চাঁদ রাত পর্যন্তই থাকবে । আর চাঁদ রাতে শপিং করার মজাই যেন অন্যরকম। আগে তো এমন হতো ইফতার করে মার্কেটে চলে যেতাম এরপর সারারাত বন্ধুদের সাথে মার্কেটে ঘুরে ফিরে পছন্দের জিনিসটি নিয়ে প্রায় ভোর রাতের দিকে বাসায় ফিরে আসতাম। এরপর দুই এক ঘণ্টার কোন ভাবে ঘুমিয়ে এর পরে ঈদের দিন সকালে ওই ড্রেসগুলো পড়ে বেরিয়ে যেতাম। লাস্ট কয়েক বছর ধরে এসব কিছু থেকে মনে হয় যেন অনেকটা দূরে সরে এসেছি। তবে এই বিষয়গুলো যে এখন আর ভালো লাগে না তা কিন্তু নয় বরং সময়ের সাথে সাথে ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে বলেই হয়তো আর এসব কিছু করা হয় না। আপনাদের সবার কিন্তু সুন্দর সুন্দর শপিংয়ে ব্লগ গুলো দেখতে চাই।
আজ তাহলে এখানে বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
ছোটবেলায় ঈদুল ফিতরের সময় সত্যিই বেশ আনন্দ হতো। কারণ ঈদুল ফিতরের সময় অনেক কেনাকাটা করতাম এবং ঘুরাঘুরি করতাম। শার্ট তো ৩/৪টা কেনার চেষ্টা করতাম। কারণ ঈদের কয়েকদিন পর্যন্ত শার্ট চেঞ্জ করে করে পড়তাম। সেই দিনগুলো সত্যিই খুব মিস করি। যাইহোক আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ও কেনাকাটা এখনো হয়নি।তবে ছেলেবেলার ঈদ আনন্দের অনুভূতি গুলো খুব মিস করি।আপনার শেয়ার করা সুন্দর অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি শেয়ার করার জন্য।