মানবতা জেগে উঠুক।
আজ -১২ই শ্রাবণ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | বর্ষাকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমাদের বিবেক কেমন এই শিরোনামে আমার নিজস্ব কিছু বক্তব্য শেয়ার করব।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমাদের বিবেক কেমন। যার যত বেশি আছে তাকে আমরা আরো ততবেশি দিয়। আমি এই কথাগুলো কেন বলছি এর যথেষ্ট কারণ আছে।
আমরা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ওয়েটারদের বকশিস দিতে পারি। কিন্তু একজন রিকশাওয়ালা কে ভাড়া দেওয়ার সময় আমরা দামাদামি বা তর্কাতর্কি করি। আসলে আমাদের উচিত ছিল ওয়েটারকে বকশিশ না দিয়ে আসলে যার দরকার তাকে দেওয়ার। এটাই আমাদের স্বভাব তেলা মাথায় তেল দেওয়া। যার আছে তাকে আমাদের দিতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু যার কাছে নেই তাদেরকে দিতে এতো সমস্যা।
আমার বাসা বাড়িতে কত খাবার অপচয় করি। অথচ এই খাওয়ার গুলো খাওয়ার উপযোগী ছিল কিন্তু তা আমরা ময়লা ডাস্টবিনে ফেলে দেই এমন অনেক মানুষ আছে যারা দু'বেলা দু'মুঠো খেতে পায়না তাদের কপালে আমাদের এই ফলে দেওয়ার মতো খাবারগুলো ও জোটে না। অথচ আমরা এ খাবার গুলো কাওকে না দিয়ে ফেলে দেই। কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কিংবা মিলাদ মাহফিলে আমার হুজুরদের কে নিয়ে টানাটানি করি৷ তারা না খেতে চাইলে আরও জোর করে দি কিন্তু যারা খেতে পাইনা তাদের দিকে আমাদের কোন খেয়াল নেই। অথচ যারা প্রকৃত অর্থে অধিকারী অর্থাৎ ফকির, মিসকিন তাদেরকে নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমাদের উচিত ছিল তাদের কে আগে খাওয়ানো তাদেরকে নিয়ে ভাবার। কিন্তু আমরা সেটি করিনা কেন আমরা প্রচলিত নিয়মের বাইরে যেতে পারি না বা যেতে চাই না। আমরা একবারের জন্য ভেবে দেখিনা যে সেটা আসলে কতটুকু যৌক্তিক। আসলে আমাদের স্বভাবটাই এমন।
এখনকার সময়ে আমরা সকলেই কমবেশি শোআপ করতে পছন্দ করি। যেমন ধরেন একজন অভাবগ্রস্থ মানুষকে দান করতে গেলে তা আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে দিয়ে দি সকল কে দেখানোর জন্য। আমরা সকলের কাছে এটা প্রমাণ করতে চাই যে, আমরা কতটা দানশীল কতটা পরোপকারী কিন্তু এই দান করার বিষয়টি হওয়া উচিত ছিল গোপনে আড়ালে। কেননা যে ব্যক্তি দান নেন সেই অভাবী হতে পারে কিন্তু তার আত্মসম্মানবোধ বলেতো একটা কথা আছে।
বিনা কারণে আমরা অনেক টাকা অপচয় করি। অথচ অভাবগ্রস্তদের দেওয়ার সময় আমরা কত কিছুই না হিসাব করি। তাই আমি বলছি আমাদের বিবেক কেমন?
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
এই বিষয়টি সত্যি আমার কাছে বেশ অবাক লাগে, রেষ্টুরেন্টের ওয়েটারকে বকশিস দিয়ে কারো সমস্যা হয় না। কিন্তু পাঁচ টাকার জন্য রিক্সাওয়ালার সাথে ঠিক রাস্তার মাঝ পথে ঝগড়া বাধিয়ে দেয়। হায়রে বিবেক!
দেখনি সেদিন রেলে
কুলি বলে এক বাবুসাব,
তারে দিল নিচে ঠেলে।
চোখ ফেটে এলো জল,
এমন করিয়া জগৎ জুড়িয়া,
মার খাবে কী দূর্বল।
আপনার পোস্টটি পড়ে কাজী নজরুলের কবিতার এই লাইনটি মনে পড়ে গেল।
এ বিবেক বড়ই বৈচিত্রময়। এই বিবেক ধোঁকা খেয়ে খেয়ে অনেক শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে। তবে তাও দিনশেষে শক্ত বিবেকে,একটু আশার আলো জাগে ।মাঝে মাঝে বিবেকের মনে একটু ভালোবাসা জাগ্রত হয় অসহায়ের জন্য।