ঝাল মুড়ি খেয়ে জিভের স্বাদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা বাই @moarif 10% beneficial 🦊।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন।আশা করছি ভালো আছেন,আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ ভালো থাকুক সেটাই আমি একান্ত কাম্য করি।আপনাদের পাশাপাশি আমি ও এখন মোটামুটি কিছুটা ভালো আছি।প্রায় দুই সপ্তাহ দরে টাইফয়েড জ্বরে ভুগতেছিলাম।আজ শরীর এতটা দুর্বল যে মনে হচ্ছে হাঁটতে গেলে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাব।আজ খানিক কিছুটা সুস্থতাবোধ করছিলাম তাই আপনাদের মাঝে আবার ফিরে আসায়।
অসুস্থতার কারণে শারীরের অবস্থা বেশি একটা ভালো না।কেন ভাবেই মনকে স্থির করতে পারছি না কোথাও।এই রকম জ্বরে আমি আর অতীতে কোন পড়ি নাই।
তো আপনারা জানেন আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অর্থাৎ টাইফয়েড জ্বরে ভুগতেছিলাম।তাই খাওয়া-দাওয়া একেবারেই কোন রূচি নেই।তাই আজ একটু ঝাল খেয়ে মুখের রূচি ফিরে আনার চেষ্টা করতেছি ঝাল মুড়ি তৈরি করে খাওয়ার মাধ্যামে।
তো এই ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য প্রথমে আমাকে কিছু উপাদানের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।তা নিম্মরূপ:
উপকরণ | উপাদান |
---|---|
মুড়ি | ২৫০-গ্রাম |
ঝাল-চানাচুর | ১-প্যাকেট |
পেয়াজ | ২-টা |
কাঁচা মরিচ | ৫-টা |
ধনিয়াপাতা | পরিমাণ মত |
সরিষার তেল | ১-বোতল |
লেবু | ১-টা |
লবণ | পরিমাণমত |
সর্বপ্রথম আমি পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনিয়াপাতা, মুড়ি, লেবু ও চানাচুর ইত্যাদি নিশ্চিত করে নিলাম।
শুরূতে দুই একটা পেঁয়াজকে কেঁটে কুঁচি কুঁচি জরে নিলাম দেন এইগুলাকে একটা বোল এর ভিতরে রাখলাম।দেন পেঁয়াজের কুঁচি দেয়ার পর এইবার কাঁচা মরিচকে কেঁটে টুকরো টুকরো করে একই বোলের ভিতরে রাখলাম।
উপরোক্ত উপাদানগুলো বোলের ভিতরে রাখার পরে এট মাঝে সরিষার তেল ঢেলে দিলাম।সরিষার তেল দেয়ার পর এর মাঝে মুড়ি ঢেলে দিলাম ও সাথে করে চানাচুর দিয়ে দিলাম।চানাচুর দেয়ার পর এইগুালারে ভালো করে মিশিয়ে নিতে লাগলাম।এক পর্যায়ে সবগুলো মিশানো শেষ হয়ে গেল।আর সর্বশেষে লেবুর রস চিবিয়ে দিয়ে ঝাল মুড়ি খাওয়ার ইতি টানলাম।
ব্যাচ এইভাবে হয়ে গেল আমার জ্বরের ভিতরে ঝাল মুড়ি খাওয়ার হিড়িক।
প্রথমে আপনার জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আশা করি আপনি খুব শীঘ্রই টাইফয়েড জ্বর থেকে সেরে উঠবেন। জ্বরের মুখে আপনি সাধ ফেরানোর জন্য খুব সুন্দর করে চানাচুর পেঁয়াজ কাঁচামরিচ দিয়ে একটু ঝাল মুড়ি বানিয়েছেন। ঝাল মুড়ি আমারও খুব পছন্দ। আমার ইচ্ছে করছে আপনার এখান থেকে ঝাল মুড়ি নিয়ে খেয়ে ফেলতে। আশা করি এই ঝাল মুড়ি খাওয়ার পর আপনার মুখের স্বাদ ফিরে এসেছে।আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।
আসলেই সত্যিই বলেছেন আপনি ঝাল মুড়ি কয়েকদিন খেয়ে মুখের রূচি কিছুটা হলেও ফিরে এসেছে।
গত পোস্টে আপনি শুনেছি যে আপনি অসুস্থতা থেকে সুস্থতায় ফিরে এসেছেন। যাইহোক মুখের রুচি ফিরে আসুক এই কামনাই করি। আর মুড়ি চানাচুর খেলে অবশ্যই মুখের রুচি ফিরে আসবে বলে আমি মনে করি। কারণ মুড়ি চানাচুর যত খাই ততই ভালো লাগে,,, 😁
জ্বি কিছুটা হলেও মুখের রূচি ফিরে এসেছে।
ঝাল মুড়ি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে এখনো মাঝে মাঝে বন্ধুদের সঙ্গে রাত্রেবেলা গল্প করার সময় ঝাল মুড়ি তৈরি করা হয়। তবে এই ঝাল মুড়ি একা একা খাওয়ার মাঝে কোন মজা নেই সকলে মিলে একত্রে খেতে খুবই ভালো লাগে।
আপনি সত্যিই বলেছেন ঝাল মুড়ি একা একা খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না।
ভাই প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহর কাছে অনেক অনেক দোয়া রইল আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর এভাবে ঝাল মুড়ি খেলে মুখের রুচি ফিরে আসে ঝাল দিয়ে যদি খাওয়া যায় তাহলে আরো বেশি ভালো হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আর শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আসলে ঝাল মুড়ি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে খেতে। আমিতো মাঝেমধ্যেই বাড়িতে তৈরি করি। এই কথাটা ঠিক বলেছেন এই রকম ঝাল মুড়ি মাখা খেয়ে জিভের স্বাদ সত্যিই ফিরে আসে। আপনার ঝালমুড়ি দেখে আমারই এখন খেতে ইচ্ছে করতেছে। মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি অনেকটা স্বাদ ফিরে আনতে চেষ্টা করেছিলাম।
ঝাল মুড়ি দিয়ে জিভের স্বাদ আনা যায় তা আগে জানা ছিল না ভাই। বিষয়টা খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। আর ঝাল মুড়ি আমার খুবই প্রিয়। আপনার জালমোরি খাওয়া দেখে আমারও খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে
ঝাল মুড়ি খাওয়ার খুবই সুন্দর একটা অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আমার কাছেও ঝাল মুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। ঝাল মুড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে দেখছি আপনি লেবু ব্যবহার করেছেন লেবু ব্যবহার করলে ঝাল মুড়ি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার ঝাল মুড়ি তৈরি করা দেখে আমারও এখনই ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে।