টেকনাফ ভ্রমণ নিয়ে কিছু কথা সাথে কিছু ফটোগ্রাফি ১০% পে-আউট 🦊।
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ গণ সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর ভালো থাকাটাই আমি একান্তভাবে কাম্য বোধ করি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দের।আমি ও বেশ ভালো আছি আপনাদের দোয়া।
তো আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আমার টেকনাফের ভ্রমণ সম্পর্কে।আসলে বলতে গেলে পুরো বাংলাদেশে মোটামুটিভাবে আমার প্রায় বাংলাদেশের বেশির ভাগ জিলা ঘোরাফেরা হয়েছে।তো এখন আছি টেকনাফে।টেকনাফে আছি গত সেমবার থেকে।
তো টেকনাফে আসার পর থেকে বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাকে।বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বেশ একটা ঝামেলাতে আছি।আমি এমনিতেই একেবারেই জ্বাল খেতে পারি না।আমার বাসায় আমি কাঁচা মরিচ ছাড়া খাই না শুকনো মরিচ তো আমি ভুলে ও খাই না জালের ভয়ে।
কিন্তু টেকনাফে আসার পর থেকে আমি খুবই কষ্টে আছি খাওয়া-দাওয়া সমস্যা নিয়ে।এইখানকার মানুষ এইতো জ্বাল খায় যে আপনাদের বলে বুঝাতে পারবো না।গতকাল আমি গিয়েছিলাম টেকনাফ উপজিলার নামকরা একটা খাবার হোটেলে। সেখানে গিয়ে খাবারের অর্ডার দিলাম তো একে একে করে আমার সামনে সব গুলো খাবারে আইটেমগুলো আনতে লাগলো।শুরূতে আনলে ভাত, ভাত দেখি আতপ চাউলের আমি আতপ চাউলের ভাত ক্ষেতে খুব বেশি পছন্দ করি না।পরে আবার আমার সামনে নিয়ে এলো মুরগীর মাংস।মুরগীর মাংসের কালার দেখে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।যে পরিমাণ মসলা ও মরিচ দিয়েছে তরকারীতে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম খাব না।কিন্তু পেটের ক্ষিধা মানছে না দেখি আবার মনে মনে স্থির করলাম না খেয়ে যাই।
অবশেষে ক্ষেতে বসলাম।খাওয়া ও শুরূ করলাম।খাওয়ার মাঝখানে যখন আসলাম তখন দুই চোখ বয়ে ঝর ঝর করে পানি পড়তে ছিলো।আর আমি টিস্যু দিয়ে দুই চোখের পানি মুছতে লাগলাম।ওইপার থেকে দুইজন দম্পতি আমার দিকে চেয়ে চেয়ে দেখছিলো।আর ওনারা হাসাহাসি করছিলো আমার কর্মকাণ্ড দেখে।খুব বেশি জ্বাল হয়েছিলো মুরগীর মাংসের ভিতরে।এক পর্যায়ে খাবার শেষ করলাম তা ও আবার কষ্ট করে।খাবারের যেমন স্বাদ নেই তেমনিই উল্টো খাবারের দাম ও অনেক।আমাকে খাবার দিয়েছে মেলামাইনের একটা পুরাতন পেলেটের ভিতরে।পেলেট দেখে আমি জিঙ্গেস করলাম মামা সিরামিকের কোন পেলেট নেই জবাবে হোটেল বয় বলে না মামা এটা ছাড়া বিকল্প কিছুই নেই আমাদের কাছে।স্টিলের বাটি করে প্রথমে ভাত এনেছিলো পরে আমি এটা পরিবর্তন করে মেলামাইনের নিয়েছিলাম।আমার শখ লাগে এই সব বাসন-কোসন করে খাওয়া করতে।
খাওয়া শেষ করে আসার আমার রিসোর্ট আসার সময় কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম।রাতের বেলা টেকনাফ শহরের। এই যে এইগুলা দেখে নিন। এই যে এটি হচ্ছে আমি যেখানে উঠেছি।এটির নাম হচ্ছে মিলকী রিসোর্ট।এই রিসোর্টের সামনে সুন্দর একটা কৃষ্ণ চুড়া গাছ আছে।
এটি হচ্ছে আমার রিসোর্টের উপরে উঠার সিঁড়ি।এটি বেয়ে উঠে আমি আমার রূমে প্রবেশ করে থাকি।
আপনার টেকনাফ ভ্রমণ এর কিছু মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার খাবারে সমস্যা হয়েছে শুনে আসলে খুবই খারাপ লাগলো ভাই। খাবারের সমস্যা হলে তাহলে কিন্তু দুর্বল হয়ে যেতে পারেন। আর ঝাল আমি অনেক বেশি খায় সে কারণে কোন সমস্যা হয়নি। তো আপনাকে ঝাল না এটা তো আরো বেশি সমস্যা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাইরে গেলে সেই খাবারগুলো সাথে বাসায় তৈরি করা খাবার গুলোর মধ্য অনেকটা পার্থক্য বোঝা যায়। আর আপনি ঝাল কম খান আর বিশেষ করে শুকনা মরিচ খেতে পারেন না যার কারণে সমস্যা বেশি হয়েছে। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন বাসার খাবার আর বাহিরের খাবার সূম্পর্ণ ভিন্ন।