লেয়ার মুরগী ও আতপ চাউলের বিরিয়ানি রান্না করতে গিয়ে শৈশবকাল ফিরে পাওয়া by @moarif 10% beneficial shy-fox
লেয়ার মুরগী দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করতে গিয়ে শৈশবকাল ফিরে পাওয়া।
আমরা সকলেই ছোটবেলায় মাটি গর্ত করে চুলায় বানিয়ে নিজেরা কত রান্না করে খেয়েছি সেই সোনালি অতীতকে কি আর ভুলা যায়?
আর মন চায় সেই ছোটবেলায় বারবার ফিরে যেতে কিন্তু সময় ও বাস্তবতা বড় বেমানান
মাঘের কনকনে শীত তাতে কি? মনে যে স্বাদ জেগেছে বিরিয়ানি খাওয়ার তাও আবার শৈশবকালের মাটির চুলায় নিজের হাতের রান্না করে।হুম তাই, কারণ আমার মনে যা চায় তা যদি পূরণ না করতে পারি তাহায় আমার কাছে কেমন কেমন জানি লাগে,তাই একমাএ ভাইঝিকে নিয়ে নেমে গেলাম শৈশবকালে বাজার থেকে লেয়ার মুরগী কিনে আনলাম।সাথে করে আর আনুষ্ঠানিক যা যা জিনিসপত্রাদী প্রয়োজন তাও নিয়া আসলাম।
তো লেয়ার মুরগী ও আতপ চাউলের সংমিশ্রণে বিরিয়ানি তৈরি করতে যেসব উপাদান প্রয়োজন তা নিম্মরূপ:
লেয়ার মুরগী ১ কেজি
সুগন্ধি আতপ চাউল ১.৫ কেজি
পেঁয়াজ ৫টা
রসুন বড় সাইজ ১টা
হলুদের গুড়া ১৫ গ্রাম
মরিচের গুড়া ১০গ্রাম
তেজপাতা ৩টা
এলাচ ৫টা
দারুচিনি পরিমাণমত
তেল পরিমাণমত ও
লবণ পরিমাণমত
তাঁরপর শুরূ করলাম মাটি খুঁড়ে চুলায় তৈরি করলাম তাঁরপর ইট নিয়া চুলার উপর হাঁড়ি বসানোর উপযুক্ত করলাম।এর আগে মুরগী কাটা,চাল ধোয়া পেঁয়াজ কাটা আর ও আনুষঙ্গিক সকল জিনিসপত্রাদি ঠিক করে নেমে গেলাম রান্না। আর রানৃনা মাঝে মধ্যে সাহায্য করেছেন আমার জৈঠি মা।
প্রথমে কড়াই দিলাম চুলার উপরে তাঁরপর কড়াইতে দিলাম তেল। তেল গরাম হওয়ার পরপরই পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ দিলাম।
তাঁরপর এক এক করে যাবতীয় সব গুলা উপাদান দিতে লাগলাম।হলুদ গুড়া,মরিচের গুড়া,জিরা গুড়ো,তেজপাতা,এলাচ, দারচিনি,মসলা ও নিদিষ্ট পরিমাণমত লবণ।এই গুলো ভালো করে মিশানোর পর দিয়ে দিলাম মুরগীর মাংস।
অবশেষে রান্না ও শেষ করলাম খেয়ে ও নিলাম বিরিয়ানিটা সত্যিই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিলো।
সত্যিই মাটির চুলার রান্নার স্বাদেই আলাদা।চিকেন বিরিয়ানি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আপনার রেসেপি টা অনেক ভালো হয়েছে।উপস্থাপনা বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ
এই রেসিপিটি খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে, যতক্ষণ না এটি আমাকে ক্ষুধার্ত করে তোলে, আপনি এটি খুব বিশদ পদক্ষেপের সাথে তৈরি করেছেন, শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ও,
উৎসাহিত করার জন্য।
বিরিয়ানি দেখলে অনেক লোভ লাগে। কারণ বিরিয়ানি আমার খুবই পছন্দের। আর আপনি এত সুন্দর ভাবে বিরিয়ানি রান্না করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে হলো। বিরিয়ানির কালার টা তো বেশ ভালো লেগেছে। বিরিয়ানি রান্না শেষ করে তাড়াতাড়ি আবার খেয়ে নিলেন এটা শুনে আমারও খেতে ইচ্ছা করলো। এত অসাধারন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জি ভাই ঠিকই বলেছেন আমরাও ছোটবেলায় মাটির ভিতরে গর্ত করে চুলা বানিয়ে তারপর রান্না করে খেতাম। সেই ছোটবেলার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না। বিশেষ করে লেয়ার মুরগি দিয়ে বিরানি রান্না বিরানি রান্না করলে খেতে খুবই দারুন লাগে আর আমার কাছে এটা খুব পছন্দনীয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপনি যথাযর্থই বলেছেম।
বিরায়ানি আমার খুবই প্রিয়। দেখেই তো লোভ সামলাতে পারছিনা ।মনে হচ্ছে আপনাদের সাথে বসে যায় খাওয়ার জন্য ।রেসিপিটি দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
আপনি অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটি বিরিয়ানি রান্নার রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন সেই সাথে আপনি সত্যিই মনে করে দিয়েছেন শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো। আপনার এই বিরিয়ানি রান্নার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল সেই সাথে অনেক লোভনীয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাটির চুলায় রান্নার মধ্যে একটা মজা আছে বার বার নুভে যায় ফু দিয়ে বার বার আগুন ধরানো শৈশব এর সুন্দর মুহুর্ত এটি ছিলো।
আপনার করা রেসিপিটা আমার খুবই পছন্দেএ লীভ লেগে গেলো দেখে।গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জ্বি যখন আগুন নিভে যায় তখন ফুঁ দিতে গেলে চোখের ভিতরে ধৌঁয়া ঢুকে চোখ থেকে পানি বের হত তাঁরপরে ও যখন রান্নাটা শেষ করতাম বেশ ভালো অনুভূতি অনুভব করতাম।
আপনাকে ধন্যবাদ মজার কথাটা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য।
জী ভাই। আমি নিজেও ছোটবেলা মাটিতে চুলা কেটে নিজেরা রান্না করে পিকনিক করেছি। খুব মজা হতো। এখন সময়গুলোকে অনেক মিস করি। লেয়ার মুরগি দিয়ে বিরিয়ানি রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছন।দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। রেসিপি টার উপস্থাপনা টাও অনেক ভালো ছিল।
ছোটবেলার অতীত সত্যি ভোলা যায় না। তবে সমবয়সি কিছু বন্ধুরা মিলে যদি একসাথে পিকনিক করা যায় তার মজাটাও কিন্তু কম নয়। আর যাই বলেন আপনার তৈরি বিরিয়ানি কিন্তু সেই লোভনীয় লাগছে। বাড়ির পাশে হলে নিঃসন্দেহে ভাগ বসাতাম।
আমাদের আয়োজনটা ও রাতে হয়েছিলো তাই হাঁড়ি পাতিল শব্দের প্রতিধ্ধনি শুনে আশপাশের অনেকেই অনেকেই ভাগ বসিয়েছিলেন।
আহারে যদি শব্দটা শুনতে পারতাম তাহলে ভাগ বসাতে পারতাম 😋
সিউর
রক্তমাখা মুরগির ফটো রিমুভ করুন।
জ্বি ভাই,