মাটির চুলায় রান্না করে ব্রয়লার মুরগীকে ঝাল রান্না করে খাওয়া ১০% বেনিফেসিয়াল সাই-ফক্স।
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন।আশা করছি ভালো আছেন,আর আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ ভালো থাকুক সেটাই আমি একান্ত কাম্য করি।আপনাদের পাশাপাশি আমি ও এখন মোটামুটি কিছুটা ভালো আছি।প্রায় দুই সপ্তাহ দরে টাইফয়েড জ্বরে ভুগতেছিলাম।আজ কিছুটা সুস্থতাবোধ করছিলাম তাই আপনাদের মাঝে আবার ফিরে আসায়।
তো আজকাল ভীষণ গরম অনুভব করতেছি।মনে হচ্ছে দুই এক পসলা বৃষ্টি হলে আবহাওয়া ও পরিবেশটা ঠাণ্ডা লাগতো।যাইহোক, সবার সুস্থতা কামনা করছি এই গরমের বিভিন্নরকম অসুখ থেকে আল্লাহপাক সবাইকে দূরে রাখুক।আমিন।
তো আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি শুধুমাত্র ব্রয়লার মুরগীর মাংস রান্নার রেসিপি।শুধুমাত্র ব্রয়লার মুরগী রান্না করে খাওয়ার রেসিপি।আর এই ব্রয়লার মুরগীকে সুস্বাদু করে রান্না করে খেতে গিয়ে আমাকে যেসব মসলাজাতীয় উপাদানগুলোর সাহায্য নিতে হয়েছে ব। প্রয়োজন হয়েছে।তাঁর বিস্তারিত নিম্মরূপ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ব্রয়লার মুরগী | ১-কেজি |
পেঁয়াজ কুঁচি | ৫-টা |
রসুন বাটা | ২-টা |
হলুদের গুড়া | পরিমাণ মত |
মরিচের গুড়া | পরিমাণ মত |
জিরা গুড়া মসলা | পরিমাণ মত |
মুরগীর মসলা | ১-প্যাকেট |
ধনিয়াপাতা | পরিমাণ মত |
এলাচ | ১০-টা |
তেজপাতা | ২-টা |
কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মত |
চলুন শুরূ করা যাক ব্রয়লার মুরগীকে সুস্বাদু করে রান্না করে খাওয়ার রেসিপি।
শুরূতে আমি একটা পেলেটে কতগুলো পেঁয়াজের কুঁচি, লবণ, হলুদের গুড়া, জিরা গুড়া, কাঁচা মরিচ কাঁটা ও ধনিয়াপাতা কেঁটে পেলেটের ভিতরে রাখলাম।
প্রথমত: আমি আস্তা একটা মুরগী নিশ্চিত করলাম।দেন এটাকে কেঁটে কেঁটে টুকরো করে একটা পেলেটের ভিতরে নিয়ে রাখলাম।
দ্বিতীয়ত: একই মুরগীর মাংসগুলারে পেলেটের ভিতরে রেখে হলুদ ও মরিচ মাখিয়ে নিলাম।
তৃতীয়ত: মাটির চুলার উপররে একটা কড়াই বসিয়ে দিলাম এবং এর মাঝে সরিষার তেল ঢেলে দিলাম।তেল গরম হওয়ার পর পরই এর মাঝে হলুদেট গুড়া ও মরিচের গুড়া দিয়ে মাংসগুলারে ভালো করে ভাজি করে নিলাম।
চতুর্থ: যখন দেখলাম মাংসগুলো ভাজি হয়ে গেছে তখন চুলার উপরে একটা পাতিল বসিয়ে দিলাম।আর শুরূতে পাতিলের ভিতরে সরিষার তেল ঢেলে দিলাম।আর পাতিলের ভিতরে পেঁয়াজের কুঁচি, রসুনের বাটা, আদা বাটা, এলাচ ও জিরা গুড়া মসলাসহ সবগুলো উপাদান দিয়ে এইগুলারে ভালো করে নাড়াচড়া করে নিয়ে নিলাম।ভালো করে নাড়াচড়া করার পর এর মাঝে একটু পানি ঢেলে দিলাম।পানি দেয়ার পর পাতিলের ভিতরে এক এক করে মাংসের টুকরোগুলো দিতে লাগলাম।এক পর্যায়ে সবগুলা মাংসের টুকরো দিয়ে দিলাম।এবং তা মসলাজাতীয় উপাদানগুলোর ভিতরে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।
পঞ্চম: যখন দেখলাম সবগুলা মাংসের টুকরে দেয়া ও মসলার ভিতরে মিশানোর কাজ শেষ তখন এর উপর ঢাকনা দিয়ে রাখলাম ঠিক দশ মিনিটের জন্য।দশ মিনিট পর ঢাকনা তুলে একটু পানি দিয়ে হালকা নাড়াচড়া করিয়ে আবার দশ মিনিটের জন্য পুনরায় ঢাকনা দিয়ে রাখলাম।আর যখন ঢাকনা তুলে নিলাম তখন দেখলাম মোটামুটিভাবে হয়ে আসলো আমার ব্রয়লার মুরগীর মাংস রান্নার রেসিপি।আর পাতিল ছোট হওয়াতে এবং মাটির চুলায় রান্না করাতে, রান্না শেষে আমি আমার ব্রয়লার মুরগীর মাংসগুলাকে অন্য একটা পাতিলের ভিতরে নিয়ে রাখলাম।
ব্যাচ এইভাবে হয়ে গেল আমার ব্রয়লার মুরগীকে সুস্বাদু করে রান্না করে খাওয়ার রেসিপি।
শুধুমাত্র গ্রাম ছাড়া তো এখন আর মাটির চুলা দেখাই যায় না। একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেকোনো মাংস আবার ঝাল না হলে আমার ভালো লাগে না। ব্রয়লার মুরগির ঝাল রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন। দারুণ লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপনি সত্যিই বলেছেন গ্রাম ছাড়া এই ধরণের মাটির চুলায় এখন খুঁজে পাওয়া যায় না।
মুরগির মাংস দেখে তো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। সত্যি আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া অসাধারণ । খুব চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ।নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে আপনার জন্য ধন্যবাদ রইল ।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ।
মাটির চুলায় রান্না করলে খাবার কেন জানি বেশি সুস্বাদু হয়। অনেকদিন হলো মাটির চুলায় রান্না করে খাওয়া হয় না। বহুদিন পর আজকে আপনার মাধ্যমে মাটির চুলায় রান্না করার কিছু মুহূর্ত দেখতে পেলাম। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ব্রয়লার মুরগির ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। যা দেখে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মাটির চুলা এত সুন্দর একটি রেসিপি রান্না করে আমদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি ভালো কিছু আপনাদেরকে উপহার দিতে।ন্যবাদ
ব্রয়লার মুরগির ঝাল ঝাল রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আসলে ব্রয়লার মুরগির রেসিপি গুলো ঝাল ঝাল করলে আরও বেশি মজাদার হয়। আপনার রেসিপি উপস্থাপন আমার খুবই ভালো লেগেছে, শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
দুই সপ্তাহ পর এখন কিছুটা সুস্থতা অনুভব করে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। দোয়া রইল আপনি যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান খুব দ্রুত। মাটির চুলায় যেকোনো খাবার রান্না করলে তার স্বাদ আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়। আপনি বয়লার মুরগি খুব সুস্বাদু করে রান্না করেছেন। দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক লোভনীয় লাগছে আপনার বয়লার মুরগির রেসিপিটি।
আপনার প্রতি অনেক কৃতঙ্গতা প্রকাশ করছি।আমার সুস্থতার জন্য দোয়া রাখার জন্য।সব মিলিয়ে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার পুরোপুরি সুস্থতা কামনা করছি।আসলেই অনেক গরম পরেছ।যাই হোক আসলেই মাটির চুলায় রান্নার অন্যরকম স্বাদ।আপনার বয়লার মুরগীর রেসিপি মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
অশেষ কৃতঙ্গতা আপনার প্রতি আপু।
আসলে মাটির চুলায় রান্না করা তরকারি একটু বেশি মজা লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে মাটির চুলায় ব্রয়লার মুরগী রান্না করে দেখিয়েছেন আমাদের মাঝে। মুরগির মাংস রান্না দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। অত্যন্ত চমৎকারভাবে আপনি রান্নার সম্পন্ন করেছেন। অনেক পেঁয়াজ ব্যবহার করেছেন রান্না হয়েছে তাই খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
সত্যিই বলতে কি মাংসগুলো খেতে অনেক অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।
আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন বয়লার মুরগির মাংস আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাসাতেও বেশিরভাগ টাইম মাটির চুলায় রান্না করে থাকে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ রইল আপনার জন্য ও।
একটু ঝাল ঝাল করে মুরগি ভুনা করলে খেতে এমনিতেই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয় আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখে খুব মজা হয়েছিল
জ্বি জাল করে রান্না করেছিলাম।
মাটির চুলার রান্নার মজাই আসলে আলাদা হয়। আর এটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আমার কাছে বেশ ভাল লাগে। আজকে আপনি মাটির চুলায় বয়লার মুরগী রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। মুরগির মাংস খেতে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে না রান্না টা অনেক বেশি মজার মনে হচ্ছে।
জ্বি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।আমার ছোট্ট বাগিনা অনেক পছন্দ করে মাংস খাওয়াটা আলহামদুলিল্লাহ বাগিনা ও ভালো খেয়ছে সাথে আমি তো আছি।