😔😔নোবেল করোনাভাইরাস😶

সাম্প্রতিক সময় এর এক ভয়াবহ কঠিন😔 ভাইরাসের নাম করোনাভাইরাস। এটা এমন এক ভাইরাস যা পূর্বে কখনো মানুষের মধ্যে বিস্তার লাভ করে নি। করোনাভাইরাস এর বিভিন্ন রকম প্রজাতি বিদ্যমান কিন্তু এরমধ্যে মানুষের দেহে সাতটি সংক্রমিত হতে পারে।

ভাইরাস কি মানুষের শরীরের মধ্যে মিউটেশন এর মাধ্যমে তার বংশ বিস্তার করে থাকে। ভাইরাস শরীরের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটি মানুষের শ্বসনতন্ত্রের মাধ্যমে একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে যায়।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো শ্বাসকষ্ট সাথে জ্বর এবং ঠান্ডা কাশি। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু বেশি থাকে তার শরীরে ভাইরাসটি ধীরে ধীরে সংক্রমিত হতে থাকে কিন্তু যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাদের সরিলে খুব দ্রুত বিস্তার লাভ করে এবং শ্বাসকষ্ট হওয়ার সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছে যায়।

ভাইরাসটি সর্বপ্রথম ছড়িয়ে পড়ে চীনের উহান প্রদেশ থেকে। মূলত ভাইরাসটি সর্বপ্রথম কোথায় থেকে সংক্রমিত হওয়ার শুরু করেছিল সেই বিষয়ে এখনো সঠিক তথ্য উন্মোচিত হয়নি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বের মধ্যে এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে এর থেকে রেহাই পাওয়ার মতো কোনো উপায় নেই। করোনাভাইরাস এর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সকল দেশের ই অর্থনৈতিক সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিক সকল ক্ষেত্রেই ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এতটাই ক্ষতির দিকে সেইটা আগামী 10 বছরেও পৃথিবীর সকল দেশ পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। প্রায় আড়াই বছর এর মত সময় ধরে করোনাভাইরাস তার রূপের পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের দেহে বিস্তার করেই যাচ্ছে। এটা বোঝা মুশকিল যে কখন করোনাভাইরাস গঠিত ব্যাধির প্রাদুর্ভাব থেকে আমরা মুক্তি পাব বা একেবারে নির্মূল হয়ে যাবে।

করোনাভাইরাস থেকে নির্মূল পেতে হলে টিকা বা প্রতিশোধক গ্রহণ করতে হবে। শুধু টিকা গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। একসাথে লাগবে প্রত্যেকের সচেতনতা। প্রত্যেকের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সকল নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে মানুষকে এই রোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নাক মুখ ঢেকে রাখতে হবে যখন হাসি কাশি হয় এবং ঠাণ্ডা বচ্চন এর মত কোন রোগে আক্রান্ত হলে অন্যান্য মানুষের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করো আর যারা এই করো না রোগে আক্রান্ত তাদের থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।

সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া 😍💙💙যে আস্তে আস্তে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে যাচ্ছে এবং সকল দেশের অবস্থা আবার পূর্বের মতো স্বাভাবিকের পরিণত হচ্ছে।