তালের বড়া বানানোর রেসিপি।||10%for shy-fox||5%for abb-school.
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করব। সেটি হচ্ছে তালের বড়া বানানোর রেসিপি।তালগাছের কথা উঠলেই সবার আগে মনে পরে সে বিখ্যাত ছড়াটির কথা-
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে
উঁকি মারে আকাশে। এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ, তালপাতার নীচে বাবুই পাখীর বাস-এ এক অনিন্দ্য সুন্দর ছবি। শুধু সাহিত্যে নয় খাদ্য তালিকাতেও তালের গুরুত্ব অপরিসীম।
তাল খাওয়ার নানা উপায় আছে। তবে পাকা তালের ক্বাথ জ্বাল দিয়ে ঘন করে তালের চাছি খেয়ে থাকেন অনেকে। এর সঙ্গে নারকেল, দুধ, চিনি, কলা ইত্যাদি মিশিয়ে আরও নানা স্বাদের খাবার তৈরি করা হয়।
🥣রেসিপি তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ🥣
১|তাল।
২|চালের গুঁড়া।
৩|চিনি
৪|কলা🍌
৫|তেল 🛢️
🫕 প্রস্তুত প্রণালী 🫕
প্রথমে একটি বাটিতে চালের গুড়া নিয়ে নিতে হবে।
চালের গুঁড়ার মধ্যে চারটি কলা🍌 দিয়ে দিতে হবে।
এর মধ্যে তাল দিয়ে দিতে হবে।
এবার চিনি দিয়ে দিতে হবে।
এবার সব একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।
এবার একটি কড়ইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিতে হবে।
তেল গরম হয়ে গেলে তেলের মধ্যে ছোট ছোট করে দিয়ে দিতে হবে।
এবার লাল করে ভেঁজে নিতে হবে।
ব্যাস এভাবেই হয়ে যাবে তালের বড়া।
তালের বড়া খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আমার মনে হয় তালের পাড়া খেতে সবার অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ মানুষের তালের বড়া খেতে পছন্দ করে।
🥣 আশা করি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে।🥣
তালে রয়েছে একাধিক ভিটামিন, ভিটামিন এ, বি, সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ আরও অনেক খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে আরও আছে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান।পাকা তালের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, চর্বি .১ গ্রাম, শর্করা ১০.৯ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম।
আজ এখানেই শেষ করছি।
ফটোগ্রাফার | @mithila19 |
---|---|
ডিভাইস | Narzo50i |
আমি মিথিলা ইসলাম।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ।❤️
@mithila19
তালের বড়া পিঠা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে তালের পিঠায় আমরা কখনো কলা দিয়ে বানিয়ে খাইনি। এমনি আলাদাভাবে কলার পিঠা বানানো হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য
এভাবে একবার বানিয়ে খেয়ে দেখবেন অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপু তালের বড়া আমার খুবই পছন্দ। বেশ ভালো লাগে তালের বড়া আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আমি কখনো কলা দেইনি সাথে। তবে আমি সাথে সামান্য পরিমাণে আটা দেই তাহলে ভিতরে তুলতুলে হয়।তোমাকে ধন্যবাদ আপু তালের বড়া মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল।
আপনার কমেন্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।আপু কলা দিলে এমনিতেই তুলতুলে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি তালের বড়ার সাথে তালের এত সুন্দর ভিটামিন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আমার মনে হয় আমি এগুলোর কিছুই জানতাম না। আসলে তালগাছ যেমন ছড়ায় কবিতায় শুধু তাই নয় খাদ্য তালিকা এর গুনাগুন অপরিসীম। আমাদের মাঝে এত সুন্দর তালের বড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে তালের বড়া বানানোর রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। কিছুদিন আগে আমার আম্মু তালের বড়ার রেসিপি বানিয়ে ছিল। তালের বড়ার রেসিপি খেতে অনেক মজা ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি ধাপে ধাপে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
এই বড়া গুলো আমার খুবই পছন্দ। বিশেষ করে চিনি দিয়ে যেটা বানায়। তালের বড়া ও অনেক খেয়েছি আমি।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার কমেন্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
নরম মিষ্টি স্বাদের তুলতুলে এ পিঠাগুলো খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে তালতো আর সব সিজনে পাওয়া যায় না। এই অসময়ে আপনি তাল কোথায় পেলেন জানতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপির জন্য।
জি ভাইয়া তাল সব সিজনে পাওয়া যায় না। আমাদের বাসায় তাল ফ্রোজেন করে রাখা ছিলো। প্রত্যেক তালের সিজনে আমাদের বাসায় তার ফ্রোজেন করে রাখা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
তালগাছ নিয়ে ছড়াটি আমার বেশ ভালো লাগে আপু।
যাইহোক আপনার রেসিপিটি অনেক লোভনীয় হয়েছে। তালের বড়া আমি অনেকবার খেয়েছি বেশ মজার হয় । তবে আমি কখনো কলা ব্যবহার করিনি। তবে নারিকেল দিয়ে এই পিঠা অনেকবার তৈরি করেছিলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
কলা দিয়ে একবার তৈরি করে নিশ্চয়ই অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আমাদের এলাকায় অবশ্য এখনো তাল পাকা শুরু হয়নি। তবে তালের বড়া খেতে আমার কাছে অনেক মজা লাগে কিন্তু তালের সাথে কলা ব্যবহার করে কখনো তাল বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। এবারে তাল বড়া তৈরি করার সময় কলা দিয়ে টেস্ট করে দেখব খেতে কতটা সুস্বাদু হয়।
তালের বড়া কলা দিয়ে বানিয়ে দেখবেন অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
তালের বড়া আমার ভীষণ পছন্দ। অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তবে তালের বড়া তৈরি করতে আমি এর আগে কখনো এর সাথে কলা দিতে দেখিনি। আপনাকে প্রথম দেখলাম এভাবে তৈরি করতে। নিশ্চয়ই অন্যরকম একটি স্বাদ এসেছিল। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপু কলা দিয়ে বানিয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
খুবই মজাদার একটি তালের বড়া তৈরি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তালের উপর আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে। রেসিপিটি দেখে জিভে জল এসে গেল এত মজাদার একটি তালের বড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।