আসসালামু আলাইকুম

সবাই কেমন আছেন।আশা করি ভালো আছেন ।আমিও ভালো আছি ।আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার মামা বাড়ি গিয়ে পেঁয়ারা বাগান ও লেবু বাগানে ঘোরাঘুরি করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। মামা বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার খুবই কম হয়। এবারও তো প্রায় তিন চার বছর পরে গেলাম। মামা বাড়ি আমার খুবই ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের বাসা থেকে অনেক দূরে হওয়ার কারণে খুব একটা যাওয়া হয় না।

ফটোগ্রাফি:-১

প্রথমে আমাদের যাওয়ার কোনো প্ল্যান ছিল না। হঠাৎ করে আম্মু বলল আজ মামা বাড়ি যাবে। শুনে আমি আর আমার বোন অবাক হয়ে গেলাম। এরপরে আমরা তাড়াহুড়া করে এসব ব্যাগ পত্র গুছিয়ে নিলাম। এবং দুপুরের খাওয়া শেষ করে বেরিয়ে গেলাম নানুবাড়ির উদ্দেশ্যে। আমার নানাবাড়ি রাজবাড়ি জেলায়। নানু বাড়ি যেতে আমাদের তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল। আমার নানু বাসায় যাওয়ার সময় দুইটি বাসে উঠে আবার বাস চেঞ্জ করতে হয়। বিষয়টা অনেক ঝামেলার। আমাদের যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। আগের থেকে মামাদের ফোন করে জানিয়ে রাখা ছিল। সবাই আমাদের অপেক্ষায় ছিল। নানু বাড়ি যাওয়ার পরে রেস্ট নিয়ে রাতের খাবার শেষ করলাম। এবং ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন সকালে ওঠার পরে মামা বললো আজ আমাদের লেবু বাগানে ঘুরতে নিয়ে যাবে। আমার নানু বাসায় তিনটি লেবু বাগান আছে। লেবু বাগানে গিয়ে দেখলাম না অনেক ধরনের লেবু গাছ।

ফটোগ্রাফি:-২

এবং একটা জিনিস খুবই অবাক লাগলো। এখানে নাকি লেবুর দাম খুবই কম। আমাদের এখানে লেবুর দাম অনেক বেশি। একটা জিনিস অবাক হওয়ার মত লেবু গাছ থেকে যদি লেবু নিচে পড়ে যায় তাহলে ওই লেবুর আর কোনো দাম থাকে না। লেবু বাগানে গিয়ে দেখলাম অনেক লেবু এভাবে নিচে পড়ে আছে।

ফটোগ্রাফি:-৩

আমরা লেবু বাগান ঘোরার সময় কয়েকটি লেবু ছিঁড়ে নিলাম। তখনই ভেবেছিলাম বাসায় গিয়ে লেবুগুলো মাখিয়ে খাব। যেই ভাবনা সেই কাজ চলে এলাম বাসায়। বাসায় এসে লেবু গুলো ভালোভাবে ধুয়ে। লেবুর খোসা ছাড়িয়ে। ছোট ছোট করে কেটে শুকনা মরিচ, কাঁচামরিচ, ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিলাম। আমি আগে এখন এভাবে খাইনি। আমার মামাতো ভাই বলল যে ওরা এভাবে মাঝেমধ্যে মাখিয়ে খায়। খাবারটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো।
এবার আমরা দুপুরে খাবার শেষে একটু রোদ কমার পর আবার বেরিয়ে পড়লাম পেঁয়ারা বাগানের উদ্দেশ্যে।

ফটোগ্রাফি:-৪

ফটোগ্রাফি:-৫

যাওয়ার পথে দেখলাম ভুট্টা বাগান আমি আগে কখনো এভাবে ভুট্টা বাগান দেখিনি। এই বাগান টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

ফটোগ্রাফি:-৬

এবার কিছুদূর যাওয়ার পরে দেখলাম ভেন্ডি অথবা ঢেঁড়স গাছ ভেন্ডি গাছে কোনো ভেন্ডি ধরেনি। মাত্র ফুল আসছে। ফুলগুলো খুবই সুন্দর লাগছিল।

ফটোগ্রাফি:-৭

ফটোগ্রাফি:-৮

এবং কি শুধু যেতেই দেখলাম বিভিন্ন ধরনের সবজি গাছ। এবং পুরা মাঠ ভরেই দেখলাম পাট গাছ। পুরো মাঠ পাট গাছ দিয়ে ভর্তি।

ফটোগ্রাফি:-৯

এবার আমরা পেঁয়ারা বাগানে পৌঁছালাম এবং পেঁয়ারা কাছে অনেক পেঁয়ারা ধরেছে। কিন্তু পেঁয়ারা গুলো খুবই ছোট ছিল। দুই একটা বড় ছিল তাছাড়া সবই ছোট । তবুও আমরা কিছু পেঁয়ারা ছিঁড়ে নিলাম । পেয়ারাগুলো খুবই মিষ্টি ছিল। গাছের টাটকা পেঁয়ারা খাওয়ার সাধ অন্য রকম। বাজারে যেসব পেঁয়ারা পাওয়া যায় সব ফরমালিন দেওয়া থাকে। সেগুলো খুব একটা খেতে ভালো লাগেনা।
আজ এখানেই শেষ করছি।

📷 আশা করি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে📷

ফটোগ্রাফার	@mithila19
ডিভাইস	Galaxy M31

লোকেশন:-link

আমি মিথিলা ইসলাম।আমি একজন 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩। বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ।❤️ আমার স্টিমিট একাউন্ট @mithila19