পদ্মার পাড়ে ঘুরাঘুরি পর্ব:২||10%for shy-fox||5%for abb-school.
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে পদ্মার পাড়ে ঘোরাঘুরি পর্ব :২ শেয়ার করবো।
ফরিদপুরে শহরের নান্দনিক প্রাকৃতিক বিনোদনের একমাত্র জায়গা টেপাখোলা মনখালী ধলার মোড়। প্রকৃতি প্রেমিদের পদচারণায় আজ এটি হয়ে উঠেছে মিনি কক্সবাজার। পদ্মার পাড়ে বিভিন্ন উৎসবে বিভিন্ন মেলা হয়।
বাংলাদেশের ছোট একটি মফস্বল শহর ফরিদপুর। এই ফরিদপুর শহরকে ঘেষে চলে গিয়েছে পদ্মা নদী। কিন্তু পূর্বে পদ্মা নদী ফরিদপুর শহরের এত কাছে ছিল না। ছিল ৭/৮ কিঃ মিঃ দূরে। কিন্তু হঠাৎই নদী ভাঙ্গন দেখা দেয় কয়েক বছর আগে। পদ্মার ভাঙ্গন শুরু হয়ে একদম শহরের কাছে চলে আসে। তখন এই ভাংঙ্গন রোধে স্থানীয় প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প গ্রহন করে । যে প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙ্গন রোধে দীর্ঘ ভাঙ্গন প্রতিরোধ বাধঁ নির্মান করা হয়। সেই থেকে পদ্মায় আর ভাঙ্গন দেখা যায়নি। নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে তৈরি করা সেই বাধ আজ মানুষের বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় মানুষের কাছে যা পরিচিত ধলার মোড় নামে।সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার ছাড়াও প্রতিদিন শতশত মানুষ আসে একটু আনন্দ ও খোলা আকাশের নিচে বসে উন্মুক্ত বাতাসে বসে পদ্মার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করার নিমিত্তে।
পদ্মার পাড়ে শুধু ছুটির দিনে নয় অন্যদিনে ও অনেক ভিড় হয়। শহরের যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু মুক্তির আশায় মানুষ ভীড় জমায় এই ধলার মোড়ে।
পদ্মার পাড়ে বিভিন্ন রকমের আইসক্রিম পাওয়া যায়। আইসক্রিম খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমি আর আমার বোন আইসক্রিম খেয়েছিলাম। আমাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।
এখানে বিভিন্ন ধরনের বেলুন পাওয়া যায়।
এখানে ভিন্ন ধরনের আচার বিক্রি করছে। এ ধরনের আচার গুলো খুবই সুস্বাদু হয়। আচারের দোকানে অনেক ভিড়। সবাই অনেক মজা করে আচার খাচ্ছিল।
এখানে মাটির নানা ধরনের খেলনা পাওয়া যায়।একসময় এসব মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল মাটির তৈরির বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী এবং তৈজস পত্র। আর এসব মাটির জিনিস তৈরিতে পুরো চৈত্রমাস জুরে পালপাড়ার লোকজন ব্যস্ত সময় পার করে। খেলনা গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমরা মাটির কিছু জিনিস কিনে ছিলাম।
এখানে দোলনা ও রয়েছে। কিছু কিছু বাচ্চারাও বড়রাও দোলনায় চড়ছে। তারা দোলনায় চোড়ে খুবই আনন্দ করছে। আমরা অবশ্য দোলনায় চড়ে নি।
এখানে বরফ গলা আইসক্রিম পাওয়া যায়। আমি আর আমার বোন বরফ গোলা খেয়েছিলাম।
এখানে বাচ্চাদের জন্য ভিন্ন ধরনের খেলনা রয়েছে।
বাদাম,ঝাল মুড়ি ,ফুসকা,চটপটি খাওয়া তো রয়েছেই আর রয়েছে ফিরে যাওয়া সেই দূরন্ত শৈশব-কৈশোরের দিন গুলোয়।
আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করেছি। ঘোরাঘুরি করে আমাদের সবার অনেক ভাল লেগেছে। আমার মাঝে মধ্যে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে যাই। আমার ঘোরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে।
আশা করি আপনাদের কাছে পদ্মার পাড়ের ঘুরাঘুরি পর্বটি ভালো লাগবে।আজ এখানেই শেষ করছি।
ফটোগ্রাফার | @mithila19 |
---|---|
ডিভাইস | Narzo 50i |
পদ্মা নদীর পাড়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। নদীর পাড়ের চারদিকের আবহাওয়া খুবই ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি করে খুবই অসাধারণ হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ধন্যবাদ।
আপনার কমেন্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
টেপাখোলা মনখালী ধলার মোড় এখন মিনি কক্সবাজার বাহ দারুণ। আসলে এই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বাংলাদেশের কত গ্রাম যে বিলীন হয়েছে তার ঠিক নেই। ঈদ উপলক্ষে পদ্মার পাড়ে দেখছি একেবারে মেলা বসে গেছে। নাগরদোলা বিভিন্ন খাবারের দোকান লোক সমাগম সবই আছে। এবং ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে জায়গা টাও বেশ দারুণ। অনেক সুন্দর ছিল পোস্ট টা।।।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য
পদ্মা নদীর দেশের বৃহত্তম নদী গুলোর মধ্যে একটি। এই নদীর কল ঘেঁষে বিভিন্ন পিকনিক স্পট তৈরি হয়েছে। পদ্মা নদী পার বর্তমানে বিনোদনের অন্য একটি মাধ্যম হিসেবে উপস্থাপন হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে দিনটি উপভোগ করেছেন এবং দিনের অনুভূতিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন শহরের যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু মুক্তি পেতে হলে এই ধরনের নির্মল বাতাস খেতে আসায় যায়। এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
মাটির তৈরি আমার কাছেও ভীষন ভালো লাগবে। মাটির তৈরি জিনিস গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এমনকি আপনি কয়েকটা মাটির তৈরি খেলনা কিনেছেন দেখেও ভালো লাগলো। আপনার ভ্রমণ কাহিনী শুনে বেশ ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি আজকে পদ্মার পাড়ে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং তার কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি চমৎকার কিছু ছবিও তুলেছেন পদ্মানদীর। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অনেক ভাল হয়েছে এবং বোঝা যাচ্ছে আপনি খুবই ভালো ছবি তুলতে পারেন। এত সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
পদ্মা নদীর পাড়ে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপু দেখে বোঝা যাচ্ছে। পদ্মা নদী এর আগে বাস্তবে কখনো দেখেনি। অনেকবার ভিডিও বা অন্য কোনো মাধ্যমে দেখেছি। যাইহোক আপু, ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক খেলনা জিনিস দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নৌকাগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে। পদ্মার পাড়ে এত সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু ফরিদপুরে আসেন।আপনাকে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে নিয়ে যাবো। আপনার কমেন্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ছোটবেলা থেকেই বড় হয়েছি পদ্মার পাড়ে তবে অনেকদিন হলো পদ্মার পাড় আর সেরকম হবে দেখা হয় না আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে পুরাতন স্মৃতিগুলো মনে উঠে গেল খুবই মিস করি এখন এই সৌন্দর্য গুলো দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
আপনার কমেন্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
পদ্মা নদীর তীরে ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে নদীর সৌন্দর্য টা আমাকে মুগ্ধ করে। আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন এবং আপনার ঘোরাঘুরি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপু আপনি মনে করে দিলে আমারে সে স্মৃতিময় রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের কথা। হয়তো জায়গা ভিন্ন, তবে একই সেই পদ্মার পাড়।অনেক সময় ধরে পদ্মার পাড়ে চেয়ারে বসে থেকেছে মনে মনে কবিতার তৈরি করেছিলাম পদ্মার ঢেউয়ের তালে তালে। ভালো লেগেছিল সেই দিনগুলো। দিনগুলো মনমুগ্ধকর আনন্দদায়ক ছিল। পদ্মার সাথে মিশে রয়েছে আমার স্মৃতি। প্রিয়জনকে নিয়ে বাদাম খাওয়ার দৃশ্য গুলো স্মরণ হয়ে গেল আপনার এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে।
আপনার কমেন্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আমার পোস্টটি সম্পুর্ণ পড়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পদ্মা নদীর পাড়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করলেন। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো নদীর পাড়ে এরকম ঘুরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে। যেটা প্রায় করা হয়ে থাকে আপনার কাটানো মুহূর্ত গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।