পুঁই শাক রান্নার রেসিপি।||10%for shy-fox||5%for abb-school.
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করব। সেটি হচ্ছে পুঁই শাক রান্নার রেসিপি। পুঁইশাক আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমাদের বাসায় পুঁইশাক গাছ আছে। আমরা আমাদের গাছ থেকে পুঁইশাক ছিড়ে রান্না করি। বাজারের পুঁইশাকের ধরনের ঔষধ দিয়ে থাকে। নিজেদের গাছের পুঁইশাক খাওয়ার অনুভূতিই অন্যরকম। আশা করি রেসিপিটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে।
🥣রেসিপি তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ🥣
কলাম১ |
---|
পুঁইশাক |
তেল |
রসুন |
লবণ |
🥣 প্রস্তুত প্রণালী 🥣
প্রথমে গাছ থেকে পুঁইশাক ছিঁড়ে একটি বাটিতে রাখতে হবে।
এরপরে ছোট ছোট করে কেঁটে ধুয়ে নিতে হবে।
এবার একটি কড়াইতে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে।
তেল গরম হয়ে গেলে তেলের মধ্যে রসুন কুঁচি দিয়ে দিতে হবে।
এবার পেঁয়াজ কুঁচি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দিতে হবে।
এবার লবণ দিয়ে দিতে হবে।
এবার আগের থেকে কেঁটে রাখা পুঁইশাক দিয়ে দিতে হবে।
পুঁইশাক গুলোকে সিদ্ধ করে নিতে হবে। আলাদা করে পানি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
এবার পুঁইশাক থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ব্যাস এভাবে হয়ে যাবে । পুঁই শাক রান্নার রেসিপি।
পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, আয়রণ, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, জিঙ্ক । শিশুদের নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ালে তাদের বৃদ্ধি ভালো হয়। শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ যেমন – ভিটামিন, প্রোটিন, নানান খনিজ এইপুঁইশাক থেকে পাওয়া যায়।পুঁইশাক চোখ ভালো রাখতে খুব ভালো। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন। এই উপাদানগুলি চোখের জন্য খুবই ভালো। কারণ রেটিনার একটি অংশ ম্যাকুলা এতে থাকে লুটেইন। এই লুইটেন অতিরিক্ত আলোর কুপ্রভাব থেকে চোখকে রক্ষা করে। ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের থেকেও চোখকে রক্ষা করে।পুঁইশাকে আছে বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা কমায়।পুঁইশাক পটাশিয়ামের উৎস। পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসার কমায়। পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।আমাদের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। তাই ভিটামিন কে শরীরে কম প্রবেশ করা মানে হাড়ের মজবুতি কমে যাওয়া। পুঁই শাক ভিটামিন কে’র একটি খুব ভালো উৎস। ভিটামিন কে হাড়ের মেট্রিক্স প্রোটিন উন্নত করে। ক্যালসিয়াম ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি, ইউরিনে ক্যালসিয়ামের মাত্রাও কম করে। হাড়ের শক্তি বাড়ানোর জন্য তাই পুঁই শাক খান।
আশা করি রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।আজ এখানেই শেষ করছি।
ফটোগ্রাফার | @mithila19 |
---|---|
ডিভাইস | Galaxy M31 |
আমি মিথিলা ইসলাম। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩 বাংলা আমার মাতৃভাষা। আমি বাংলায় কথা বলতে লিখতে ভালোবাসি। ধন্যবাদ।❤️
@mithila19
পুই শাক রান্নার রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনি অনেক সুন্দরভাবে রান্নার প্রতিটি ধাপ তুলে ধরেছেন।মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে।পুই শাক খেতে খুবই ভালোবাসি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি ভাইয়া অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
শাক এর মধ্যে পুই শাক আমার খুবই প্রিয় একটি শাক। খুব সুন্দর উপায়ে শাক ভাজির রেসিপি আপনি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি ভালো থাকবেন আর এইরকম সুন্দর সুন্দর রেসিপি শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি পুঁই শাক রান্নার রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার লোভ লেগে গেল। আপনি চমৎকার ভাবে এটা উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পুঁই শাক রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
আসলেই আপু, নিজের গাছের পুঁইশাক খুবই ভালো লাগে খেতে। ফরমালিন মুক্ত হয়ে থাকে। আমাদের বারান্দার গাছেও পুঁইশাক হয়েছে। কয়েকদিন আগেও আম্মু রান্না করেছিল।
খুব সুন্দর ভাবে আপনি আজকের রেসিপি টি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনি রেসিপি পোস্ট এর নীচে কত সুন্দর করে খাবারের গুণাগুণ গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেন , এটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
এখন আসি আপনার পুই শাক রান্নার রেসিপিতে, পুঁইশাক আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে খুবই পছন্দের। আর এভাবে পুঁইশাক রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। খুবই ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার নিজের অনুভূতি থেকে আপনার অনুভূতির মাত্রাটা আন্দাজ করতে পারছি। কারণ আমি কখনো পুঁইশাক বাজার থেকে কিনে খাই না। আমার বাসায় বেশ কয়েকটা বৈশাখের গাছ আছে। আমি পুঁইশাক এত বেশি পছন্দ করি আমার শরীরে এলার্জি থাকা সত্ত্বেও আমি পুঁইশাক খাওয়া ছেড়ে দেই না। আপনার রেসিপি সুন্দর উপস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গে আপনি এর পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। পুঁইশাকের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন বাজারের কেনা পুঁইশাকের থেকে বাসায় চাষ করা পুঁইশাক খেতে বেশি ভালো লাগে। এছাড়াও বাসায় চাষ করা পুঁইশাক অনেক নরম হয়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পুঁইশাক রান্নার রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার অনুভূতি এবং আপনার মজার রেসিপি উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অন্যান্য শাকের মধ্যে পুঁইশাক আমার ভীষণ ভালো লাগে। গতকাল আমার বাসায় পৌঁছাতে রান্না হয়েছিল। আপনি খুব সুন্দর করে পুই শাক ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। সেইসাথে আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পুঁইশাক ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পুঁইশাক অনেক সুস্বাদু একটি সবজি এটি খেতে আমি খুবই ভালোবাসি । পুঁইশাকের রেসিপি অনেক খেয়েছি তবে এভাবে পুঁইশাকের ভাজি রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি আপনার কাছ থেকে নতুন একটা রেসিপি শিখে নিলাম । আমি সময় পেলে একবার বাড়িতে ট্রাই করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ আপনাক আপু। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।