ঘুড়ি ও ফানুস উৎসবে ঘুরা ঘুরি। পর্ব ১
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করব এই জন্য চলে এলাম। আজকে আমি গিয়েছিলাম ফরিদপুরের পদ্মার পাড়ে। পদ্মার পাড়ে গিয়েছিলাম ঘুড়ি ও ফানুস উৎসব দেখতে। ফরিদপুরে মানুষ উৎসব হচ্ছে ৬ বছর ধরে। প্রতিবছরই ডিসেম্বর মাসে ঘুড়ি ও মানুষ উৎসব হয়। এটি ফরিদপুরের টাইম ইউনিভার্সিটির আয়োজন। এই অনুষ্ঠানটি সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায়। তুমি যার মত ঘুড়ি কিনে উড়ায়। কিন্তু এটি উদ্বোধন হয় বেলা তিনটার সময়।
কিছুদিন ধরেই ভাবছিলাম ঘুড়ি উৎসবে যাব। সব বান্ধবীরা ফোন দিয়ে বলে একসাথে ঘুড়ি উৎসবে যাব। দেখতে দেখতে চলে এলো ঘুড়ি উৎসব। ঘুড়ি উৎসব আমার খালামনির বাসা খুবই কাছে। তাই ভাবলাম আগে খালামনির বাসায় যাই। এর পরে সবাই একসাথে ঘুরি উৎসবে যাব। আমার খালামনিরাও যাবে ঘুড়ি উৎসবে। আমি আর আমার আম্মু চলে এলাম খালামনির বাসায়। খালামনির পাশে দুপুরের খাবার শেষ করে। বের হলাম ঘড়ি উৎসবের উদ্দেশ্যে।
সামনে থেকে দুইটি রিকশা নিলাম। একটিতে আমি আম্মু আর আমার খালাতো ভাই। আরেকটি রিক্সায় খালামনি ও মামা। ঘুড়ি ড়ি উৎসবে যাওয়ার জন্য দুইটি রাস্তা রয়েছে। একটি হচ্ছে কাছে আরেকটি হচ্ছে ভেতর দিয়ে একটু ঘুরে যেতে হয়। আমরা ভাবলাম কাছে যেটি সেই রাস্তা দিয়েই যাই। কিছু দূর যাওয়ার পরে জ্যামে পড়লাম। আমি অনেকক্ষণ বসে থেকে জানি আবার ঘুরে বাসার সামনে আসলাম। এবার ভাবলাম ভিতরে রাস্তা দিয়ে যাই। ভিতরে রাস্তাটা একটু ভাঙ্গা ছিল জন্য প্রথমে যেতে চাইনি। কি আর করার এখন তো যেতেই হবে।
এই রাস্তাটা জ্যাম ছিল কিন্তু খুব বেশি না। শেষে চলে এলাম আমরা ঘুড়ি উৎসবে। প্রচুর ঘুড়ি উৎসব বললে ভুল হবে ঘুড়ি উৎসব ও ফানুস উৎসব। আমরা যেতেই দেখলাম বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি। ঘুড়ি গুলো অনেক উপরে থাকার কারণে ক্যামেরায় ঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না।
তো ঘুড়ি দেখে আমাদেরও ঘুড়ি উড়াতে ইচ্ছে করছিল। তাই আমরাও ঘুড়ি কিনে নিলাম। বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ির দোকান বসেছে। বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এখানে বাইরে থেকে দাম অনেক বেশি। এই ঘুড়িটির দাম নিয়েছে ৪০০ টাকা। আমরাও ঘুড়ি উড়াতে শুরু করে দিলাম। অনেক বাতাস থাকার কারণে ঘুড়ি অনেক উপরে উঠেছিল।
এই ঘুড়িটি দেখতে সাপের মত। আর যে ঘুড়িটি কিনেছি ওইটি বাজ পাখির মত দেখতে। ঘুড়ি থেকে এখানে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি দেখতে পাওয়া যায় বেশি। একটা ঘড়ি দেখলাম কঙ্কালের আকৃতিতে বানিয়েছে। কি দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। বিভিন্ন কালারের ঘুড়ি উঠছে আকাশে।
ঘুড়ি উৎসবে গিয়ে আরো অনেক মজা করেছি। সেগুলো দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি দ্বিতীয় পর্বটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও খুবই ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফার | @mithila19 |
---|---|
ডিভাইস | Galaxy M31 |
আমি মিথিলা ইসলাম।আমি একজন 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩। বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ।❤️ আমার স্টিমিট একাউন্ট @mithila19
আপু ঘুড়ি ও ফানুস উৎসবে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন ।দেখে বেশ ভালো লাগছে ।এমন উৎসবগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।আর অনেক বাতাসের সময় ঘুড়ি বেশ ভালো করে উরে। তখন খুব ইনজয় করা যায় ঘুড়িগুলো বেশ আকর্ষণীয় আকর্ষণীয় লাগছে। আপনার ঘুড়ি টি ৪০০ টাকা নিয়েছে শুনে অবাক হলাম। তবে বেশ ভালো লাগছে।
ঠিক বলেছেন এমন উৎসব আমাদের সবার কাছেই অনেক ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এরকম মজার মজার সময় কাটাতে সবারই পছন্দ। এরকম উৎসবগুলোতে যাওয়ার ফলে খুবই ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করা যায়। এই ডিসেম্বর মাসে অনেক রকমের উৎসব এবং মেলা হয়ে থাকে। আপনি তো দেখছি ঘুড়ি উৎসবে গিয়ে খুবই ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বেশ ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কাটানো এত সুন্দর একটি মুহূর্ত সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কমেন্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
বাহ এক ধরনের উৎসব।খুবই সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে টাইম ইউনিভার্সিটি। আমাদের পুরোনো দিনে ঐতিহ্য ঘুড়ি ওড়ানো। ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল।পরিবার নিয়ে অনেক ভাল সময় কাটিয়েছেন দেখে ভাল লাগল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমাদের এদিকে এরকম উৎসব খুবই কম হয়। যদি কখনো হয়ে থাকে মাঝে মাঝে তখন আমি ওই উৎসবে যাই ভীষণ ভালো লাগে। ঘুড়ির আকৃতি দেখে তো আমি সত্যিই মুগ্ধ। ঈগলের মত ঘুড়ি টির দাম ৪০০ টাকা নিয়েছে এটা যেনেই তো আমি অবাক। মনে হচ্ছে প্রচুর ইনজয় করেছেন উৎসবে গিয়ে। খুবই ভালো একটি মুহূর্ত ছিল এটি।
প্রথমে ঘুড়ির দাম শুনে আমিও অনেক অবাক হয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য এবং এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার খালা মনির বাসা থেকে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সকলে মিলে ঘুরে উৎসবে গিয়েছিলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। যদিও এরকম উৎসবে এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি তবে আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটা দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেখানে। বিশেষ করে অনেক রকমের ঘুড়ি দেখতে পারলাম আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য এবং এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।