জন্মদিনে কেক অর্ডার দেওয়ার অভিজ্ঞতা।||🎂🎂
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করবো বলে এসেছি। দুই দিন আগে আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলের জন্মদিন ছিল। জন্মদিনের কেক আনার দায়িত্ব ছিল আমার। জন্য চলে গিয়েছিলাম কেক অর্ডার দিতে।
জন্মদিনের চার দিন আগে কেক অর্ডার দিতে গিয়েছিলাম। ওই দিন শুধু দেখে এসেছিলাম অর্ডার দেইনি। কেকের দাম কত। ডিজাইন ভালো হয় এগুলো দেখে চলে এসেছিলাম। এবং ছবি তুলে নিয়ে আসলাম।
এসে আমার চাচাতো ভাইকে দেখালাম ডিজাইনগুলো। এর মধ্যে একটা ডিজাইন ওদের খুবই পছন্দ হয়েছে। এই জন্য বললো পরের দিন যে অর্ডার দিতে। কলেজ শেষ করে চলে গেলাম কেকের দোকানে।
প্রথমে ভেবেছিলাম ওয়েসিস থেকে কেক অর্ডার দিবো। আমার এক বান্ধবী বললো ওয়েসিস কেক আগের মত ভালো নেই। কথা মত চলে গেলেম বিসমিল্লাহ বেকারিতে। প্রথমেই দেখলাম বিভিন্ন ধরনের কেক । কেক গুলোর ডিজাইনের ছিল খুবই সুন্দর।
আগে থেকেই কেক এর ডিজাইন ঠিক করে নিয়ে গিয়েছিল। তবুও উনাদের ডিজাইন গুলো দেখলাম। সবকিছু দেখে শুনে আমি আগে ডিজাইনটি। তাদের দেখালাম ঠিক এমন ভাবেই কেকটি তৈরি করে দিতে হবে। উনারা বললো ঠিক এমনভাবে করে দেওয়া যাবে।
সাধারণ কেকের পাউন্ড সাড়ে চারশ টাকা করে এখানে। কিন্তু এই কেকের পাউন্ড ৫০০ টাকা করে নিবে। ৫০০ টাকা পাউন্ড করে অর্ডার কনফার্ম করলাম। আমি মোট তিন পাউন্ড কেক অর্ডার দিলাম। এবং অ্যাডভান্স ৫০০ টাকা দিয়ে আসলাম। আর ১০০০ টাকা কেক নেওয়ার দিন দিতে হবে।
অর্ডার দেওয়া শেষ হওয়ার পরে আমি কিছু বেলুন কিনে নিলাম। এবং ঘর সাজানোর জন্য কিছু জিনিস কিনে নিলাম। দুইটি পার্টি স্প্রে এবং একটি পার্টি জরি কিনে নিলাম। মানে আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস ছিল। কোন ধরনের বিস্কিট। বিভিন্ন ধরনের জুস। বার্গার, পিজা🍕 , স্যান্ডউইচ, চকলেট, আইসক্রিম, কাপ কেক আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস। আমরা দুজন দুইটি বার্গার কিনে খেলাম। ওখানে বসে খাওয়ার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। বার্গার খেয়ে আমরা বাসায় চলে এলাম। দুইদিন পরে গেলাম কেক নিতে। ভেবেছিলাম মনে হয় ছবির মত বানাতে পারেনি। কিন্তু না ছবির মতই বানিয়েছে। কেকটি অনেক সুন্দর হয়েছে দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। একটি নিয়ে বাসায় চলে এলাম।
বাসায় আসার পরে সবাই কেকটি খুবই পছন্দ করলো। সন্ধ্যায় কেক কাটার পর খেয়ে খুবই ভালো লাগলো। সবাই ভালো বলো তখন মনে হলো দায়িত্ব নিয়ে দায়িত্ব পূরণ করতে পেরেছি। এই ভাবে জন্মদিন কেটে গেল।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও খুবই ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফার | @mithila19 |
---|---|
ডিভাইস | Narzo50i |
আমি মিথিলা ইসলাম।আমি একজন 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩। বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ।❤️ আমার স্টিমিট একাউন্ট @mithila19
কেকটা ছোটরা পছন্দ করার মতই।যাক কেকটা অবশেষে সবাই পছন্দ করেছে।আসলে কিছু কিছু দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করতে পারলে আনন্দ কাজ করে।তিন পাউন্ড এর কেক ১৫০০ টাকা তাহলে বেশ ভালোই হয়েছে। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে জন্মদিনে কেক অর্ডার দেওয়ার অভিজ্ঞতা অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। কেক সাড়ে চারশ টাকা করে প্রতি পাউন্ড। কিন্তু আপনি তার থেকেও একটু ভালো কেক অর্ডার করলেন ৫০০ টাকা করে পাউন্ড। আপনি তিন পাউন্ড কেক অর্ডার করেছিলেন। আসলে সব কিছু মিলিয়ে আপনার পোস্টটা বেশ দারুন ছিল এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যিই তো দ্বায়িত্ব নিলে দ্বায়িত্ব ভালো মতো পালন করতে পারলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। এখন ওয়েসিস এর কেক আগের মতো আর নেই। আপনার কেকটি পছন্দ করার মতো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চাচাতো ভাইয়ের ছেলের জন্মদিনের জন্য কেক অর্ডার দেয়ার দায়িত্ব আপনার কাঁধেই পরেছে। যাই হোক ভাতিজার জন্য তাহলে চার দিন আগে থেকেই কেক খুঁজে নিয়ে অর্ডার করেছেন। আর আমরা তো এক পাউন্ড কেক ৬০০ টাকা দিয়ে অর্ডার করি। যাইহোক ৩ পাউন্ডের কেকটা অর্ডার দিয়ে অ্যাডভান্স করে এসেছেন, আর ভাতিজার জন্মদিন পালন করেছেন সেটাই তো বড় কথা।