বান্ধবীর সাথে ঘুরাঘুরি।
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি।প্রতিদিন আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট করতে আমার অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতেও আমার অনেক ভালো লাগে।ঘুরাঘুরি করার জন্য আজকে চলে গিয়েছিলাম ফরিদপুরের সুইচ গেটে। সুইচ গেটে আমি আগেও অনেকবার ঘুরতে গিয়েছি। কিন্তু এবার পানি অনেক বেড়ে গিয়েছে এর জন্য সুইচগেট দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। এবার নতুন একটি সুইচ গেট তৈরি করেছে । আগে যেটি ছিল ওটা এখন বন্ধ করে দিয়েছে । সুইচগেট এখন ঘুরাঘুরির জন্য খুবই সুন্দর একটি জায়গা হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই আমার বান্ধবী বলছিল ফরিদপুরে এসেছিস।কিন্তু আমার সাথে দেখা করছিস না । আজকে বের হয়ে আমরা সুইস গেটে ঘুরতে যাব। আমি রাজি হয়ে গেলাম ঘুরাঘুরি করার জন্য।
প্রথমে আমরা একটি রিক্সা নিয়ে চলে গেলাম ফরিদপুর সুইচ গেটে।সুইচ গেটটি প্রথমে দেখে মন ভরে গেল। খুব সুন্দর একটি দৃশ্য। অনেকেই সুইচ গেটে গোসল করছিল। মাজায় দড়ি বেঁধে লাভ দিচ্ছিল পানির মধ্যে। পানির প্রচন্ড স্রোত স্রোতের মধ্যে লাভ দিলে নিজের কন্ট্রোল থাকে না । স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এভাবে লাভ দেওয়াটা খুবই বিপদজনক।
আমি এই পর্যন্ত ফেসবুকে যে কয়টা ভিডিও দেখেছি সবগুলোতে দেখেছি অনেক মানুষ। আমরা ভাবছিলাম হঠাৎ কি হল আজকে খুব একটা মানুষ নেই। পরে শোনলাম বেশিরভাগ মানুষ আসে বিকালের দিকে।
এবং এখানে গোসল করতে প্রশাসন থেকে না করেছে। শুনলাম একটি কলেজের ছেলে নাকি এখানে গোসল করতে নেমে মারা গেছে। ছেলেটি লাশ পাওয়া গেছে একদিন পর। অনেকেই বলছে সে গোসল করতে নেমেছিল। আবার অনেকেই বলছে ঘুরতে এসেছিল কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। ছেলেটি লাশ পাওয়া যাওয়ার পর দেখা গেল সে ফুল হাতার শার্ট পরা। এবং ফুল প্যান্ট পরা। এবং শার্ট ইন করা। এইজন্য অনেকেই ভাবছে ছেলেটিকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।
এখনো বোঝা যায়নি ছেলেটির কিভাবে মৃত্যু হয়েছে। এইজন্য এখন মানুষ কম গোসল করছে। যেহেতু প্রশাসন থেকে গোসল করতে না করেছে। সবার উচিত ছিল গোসল না করা।
আমাদের এই ঘটনাটি শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আর কয়েকটি ছবি তুলে চলে এলাম ।
জায়গাটি এখন দেখার মত সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে জায়গাটি খুবই ভালো লেগেছে।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও খুবই ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফার | @mithila19 |
---|---|
ডিভাইস | samsang note 10 lite |
আমি মিথিলা ইসলাম।আমি একজন 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩। বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ।❤️ আমার স্টিমিট একাউন্ট @mithila19
ফরিদপুর সুইচ গেট এ বান্ধবীর সাথে দারুন মুহূর্ত করেছেন আপু। এই পানির স্রোত দেখতে যতটা ভালো লাগে এটা মানুষের জন্য ততই বিপদজনক। সুইস গেটের পানি স্রোত বয়ে যাচ্ছে আর এতে অনেক মানুষ গোসল করছে মাজায় দড়ি বেঁধে লাফ দিচ্ছে। কিন্তু এতে সত্যি অনেক বিপদজনক। যদি একবার দরি খুলে যায় বা কোন বিপদ হয়ে যায়। যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন আপনার বান্ধবীর সাথে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ফরিদপুরের সুইচ গেটের দৃশ্য দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ। অনেক সুন্দর লাগলো আমার ,বান্ধবীর সাথে ঘোরাঘুরি সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো যে ওখানে একটা ছেলে গোসল করতে গিয়ে মারা গেছে তবে কিভাবে মারা গেছে সেটা কেউ বলতে পারেনি ,তবে উচিত প্রশাসন যেহেতু নিষেধ করেছে সবাইকে গোসল করতে সেখানে গোসল না করার উচিত। যাইহোক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও ফরিদপুর কখনো যাওয়া হয়নি তবে আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে সুইস গেটটি দেখতে অনেকটাই চমৎকার। এছাড়াও এসব জায়গায় দেখলেও অনেক ভয় ও লাগে। যেমনটা আপনি আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, একটি ছেলে মারা গেছে এবং তার লাশও নাকি পাওয়া গেছে। তাই এসব জায়গা থেকে যতটুকু সাবধানে থাকা যায় ততটুকুই ভালো বলে আমি মনে করি।
সুইচ গেটে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। এই সময় যেহেতু পানি অনেক বেশি তাই এই সময় গেলে অনেক সুন্দর কিছু উপভোগ করা যায়। আমিও আমাদের এলাকার সুইচ গেটে ঘুরতে গিয়েছিলাম গতবছর। তবে এ বছর যাওয়া হয়নি।
আসলে সুইচগেট গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। সব থেকে পানি গুলো যখন টলমল করে এবং স্রোতে এগিয়ে যায় তখন ওই দৃশ্যটি অনেক ভালো লাগে। তবে প্রশাসন এখানে গোসল করার জন্য না করেছে। যেহেতু অনেক জায়গায় এইরকম ঘটনা ঘটে থাকে। তাই এগুলো জায়গায় গোসল না করাই ভালো। আপনি দারুণ ভাবে আপনার নিজের অনুভূতিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।