গল্প।। লোপার ভালবাসা প্রাপ্তি। পর্ব ০২।। 10% beneficiary to @shy-fox
গল্পটি একটি সহজ সরল শিক্ষিত মিডল ক্লাস ফ্যামিলির মেয়েকে নিয়ে যে একটি চাকরির জন্য গ্রাম থেকে শহরে এসেছে। যারা প্রথম পর্ব পড়েছেন তারা হয়ত কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন। তাহলে দ্বিতীয় পর্ব শুরু করা যাক। প্রথম পর্বের শেষের কিছু কথা আমি এখানে শেয়ার করছি আপনাদের বোঝার জন্য ।
লোপা তার কাজিন মিম কে সাথে নিয়ে হাসপাতালে গেল। গিয়ে দেখল সত্যিই একজন মহিলার এবি নেগেটিভ ব্লাড দরকার। লোপা ব্লাড ডোনেট করে বাসায় চলে যাবে তখন শাহেদের সাথে দেখা।
দ্বিতীয় পর্ব
শাহেদ কে দেখে লোপা এবং মিম এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, মনে হয় এত সুন্দর এবং হ্যান্ডসাম ছেলে কখনও দেখেনি। যদিও লোপা জানেনা যে এটাই শাহেদ গ্রুপের চেয়ারম্যান মিস্টার শাহেদ। তবে মিম যেহেতু আগে থেকেই ঢাকা থাকে সেহেতু সে শাহেদ এর ব্যাপারে জানে। শাহেদ তুহিন কে বলল কে রক্ত দিয়েছে? তুহিন লোপাকে দেখিয়ে বললেন উনি। শাহেদ বলল তাকে হ্যান্ডসাম এমাউন্ট টাকা দিয়ে বাসায় পৌছে দিও। তুহিন বলল আসলে আমি আর তারেক অনেক খোঁজার পর কোন ডোনর না পেয়ে ইমারজেন্সি রক্ত লাগবে বলে একটি বড় ডিসিশন নিয়েছি। শাহেদ কিছু বলছে না পজিটিভ এটিটিউড নিয়ে গম্ভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তুহিন বলল সে আমাদের কোম্পানি তে এপ্লাই করেছিল কিন্তু আমাদের কোম্পানির রিকুয়ার্মেন্ট ফুলফিল করে না দেখে আপনি এবং একাউন্টস ম্যানেজার সিভি রিজেক্ট করেছিলেন । আমরা তাকে চাকরির কথা বলে রাজি করিয়েছি। শাহেদ ত রেগে কটমট করছিল কিন্তু কিছু বলছে না। তখন তারেক (শাহেদের ইউনিভার্সিটি বন্ধু এবং শাহেদ গ্রুপের একাউন্টস ডিরেক্টর) বলল দেখ এখন যদি লোপার রক্ত না পেতাম তাহলে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। শাহেদ তখন কিছুটা নরম হয়ে তার বোনকে দেখতে চলে যাওয়ার পথে লোপাকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেল।
মিম ত বিশ্বাস করতে পারছে না যে শাহেদ লোপা কে ধন্যবাদ দিয়েছে। তারেক মিম আর লোপাকে বাসায় পৌছে দিল। লোপা গাড়ি থেকে নেমে তারেক কে বলল আমি এভাবে রক্তের বিনিময়ে চাকরি নিতে চাই না। তারেক বলল ঠিক আছে আমি তোমার একটি ইন্টারভিউ নিয়ে তারপর রিক্রুটমেন্ট দিব তাহলে ত হয়ে গেল। লোপা তারপরও বলল না এটা ঠিক না। তারেক লোপাকে বলল আজ রাত ভেবে দেখ, শাহেদ গ্রুপে চাকরির সুযোগ সবাই পায় না। এই বলে তারেক গাড়ি নিয়ে চলে গেল।
লোপা বাসায় ঢোকার পর মিম লোপাকে এক প্রকার বকা শুরু করে দিল আর বলল তুই কি পাগল যে শাহেদ গ্রুপের চাকরির সুযোগ ফিরিয়ে দেয়? মিম আরও বলল তুই ৬ মাস হয়েছে ঢাকা এসেছিস কিন্তু এখনও চাকরি পাসনি। বাবার থেকে টাকা এনে চলছিস, আবার বলিস তুই তোর বাবা মা কে দেখবি। তোর যদি ইগো সমস্যা থাকে তাহলে এখন জয়েন করে পরে আবার অন্য জায়গায় সুইচ করে নিস।
এইবার লোপা রাজি হলো। পরদিন শাহেদ ফোন দেয়ার পর লোপা বলল আমি রাজি তবে একটি ইন্টারভিউর মাধ্যমে। তারেক বলল ঠিক আছে তুমি আগামীকাল সকাল ১১ টায় হেড অফিস চলে আস। লোপা পরদিন সকালে শাহেদ গ্রুপের অফিসে গেল। অফিস দেখে লোপার মাথা নষ্ট। এত বড় আর এত সুন্দর অফিস সে আর দেখেনি। গিয়ে বসার কিছুক্ষণ পর ইন্টারভিউ বোর্ডে তাকে ডাকা হল। বোর্ডে তুহিন আর তারেক ছিল। তারা লোপাকে কিছু প্রশ্ন করল। এর মধ্যে অনেক গুলোই লোপা পেরেছে কিন্তু কিছু কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। লোপাকে বাহিরে বসতে বলে তুহিন আর তারেক কিছুক্ষণ কথা বলল । কিছুক্ষণ পর লোপাকে তারেক ডেকে পাঠাল এবং লোপাকে এপয়েন্টমেন্ট লেটার দিয়ে বলল তুমি সত্যিই ভালো করেছ ইন্টারভিউ তে। তুমি ৭ দিনের মধ্যে যেকোন দিন জয়েন করতে পার।
লোপা খুশি হয়ে বাসায় গিয়ে বাবা মা কে খবরটা দিল। মিম শুনেও অনেক খুশি হল। দুদিন পর লোপা অফিস জয়েন করল। অফিসে ঢুকার পর তারেক এসে লোপাকে একাউন্ট ম্যানেজার এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। একাউন্ট ম্যানেজার লোপাকে দেখে অবাক হয়ে গেল কারণ একাউন্ট ম্যানেজার জানত লোপা রিজেক্ট হয়েছে।
চলবে...
আশা করি আমার গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের ভাল লেগেছে। আবার আসব তৃতীয় পর্ব নিয়ে। ধন্যবাদ সবাইকে।
লোপার ভালবাসা প্রাপ্তি আজকের পর্ব পড়ে ভালো লাগলো।লোপা পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কি হবে জানা খুবই ইচ্ছে করছে। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম । আপনি খুব সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
লোপার ভালোবাসা প্রাপ্তি এই গল্পটির প্রথম পর্ব ও আমি পড়েছিলাম। আমার কাছে প্রথম পর্বটি যেমন ভাল লেগেছিল দ্বিতীয় পর্বটিও তেমনি ভালো লেগেছে। তারেক এবং তুহিন লোপা রিজেক্ট হওয়ার পরেও চাকরিতে রেখেছে কেন। রক্ত দেওয়ার কারণে কি তারা লোপাকে চাকরি দিয়েছে?? যাইহোক আশা করছি পরের পর্ব কিন্তু খুবই তাড়াতাড়ি সকলের মাঝে নিয়ে আসবেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় কিন্তু থাকবো আমি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।
শাহেদ গ্রুপ রক্তের জন্যই জব অফার করেছে কিন্তু লোপা এইভাবে জব নিতে রাজি না। শেষ পর্যন্ত ইন্টারভিউ দিয়েই জয়েন করেছে এবং সে ভাল অফার পেলে এখান থেকে চলে যাবে । ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শেষ পর্যন্ত লোপা চাকরি পেয়েছে জেনে খুবই খুশি হলাম। লোপা কিন্তু এমনি এমনি চাকরিতে জয়েন করতে চায়নি। সে চেয়েছিল সবাই তার দক্ষতা যাচাই করে চাকরিতে জয়েন করাতে। আমি ভাবছি পরের পর্বে কি আসতে চলেছে। যখন অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এর সাথে লোপার দেখা হয়। আমার কাছে কিন্তু অসাধারণ লেগেছে আপনাদের গল্পটি পড়ে। খুবই মনোযোগ দিয়ে আমি আপনার এই গল্প পড়েছিলাম যেন গল্পের মাঝেই হারিয়ে গিয়েছিলাম আমি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু গল্পের পুরো পর্ব পড়ে সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।