ভ্রমণ।। রমনা পার্কে এক বিকেলে।। শেষ পর্ব।। 10% beneficiary to @shy-fox
আমি আগের পোস্টে বলেছি আমাদের গন্তব্য হচ্ছে বাচ্চাদের প্লে গ্রাউন্ডের দিকে। আমার মেয়েকে ছেড়ে দেয়ায় সে নিজেই হেঁটে প্লে গ্রাউন্ডের দিকে যাচ্ছিল। আসলে একটাই রাস্তা তাই সেদিকেই যেতে হবে। কিছুদূর গিয়ে বড় একটি গাছ দেখে ছবি তুলতে ইচ্ছে করল। আমরা প্লে গ্রাউন্ড দেখতে পাচ্ছিলাম।
আমরা প্লে গ্রাউন্ডের একদম কাছে যেতেই দেখলাম একটা ছোট পুকুরের মত এবং একটি ছোট কালভার্ট এর মত। সেই পুকুরের একটি সুন্দর ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত প্লে গ্রাউন্ড চলে এসেছি । অনেকদিন পর এসেছি বলে চিনতেই পারছিলাম না শুরুতে। অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমি শুনেছিলাম সুন্দর করেছে কিন্তু এতটা পরিবর্তন ভাবতে পারিনি। আমি ছোট করে একটু বিবরণ দিচ্ছি। এখানে বাচ্চাদের জন্য দোলনার ব্যবস্থা আছে, স্লাইডিং এর জন্য কয়েকটি অপশন আছে, রোপ্ ক্লাইম্বিং এর একটি ছোট জায়গা রেখেছে যেখানে একটু বড় বাচ্চারা দড়ি ধরে উপরে উঠতে পারবে। আরো কিছু মজার এবং ভিন্ন রকম খেলার অপশন রেখেছে যেগুলো সব ধরনের বাচ্চারাই পছন্দ করবে। আরো একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে জায়গাটি অনেক পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন। আমি আপনাদের সাথে কিছু ছবি শেয়ার করছি।
এই প্লে গ্রাউন্ডে আমার মেয়ে সবচেয়ে বেশি যেটা মজা পেয়েছে তা হল একটি ছোট ঘর। সেখানে সে একদিকে ঢুকে আরেক দিকে বের হয় এটা তার খুব মজা লেগেছে এবং কয়েকটি বাচ্চা ভেতরে একসাথে বসে খেলাধুলা করার মত জায়গা আছে।
সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থেকে আমরা খুঁজতে লাগলাম বসার জন্য কোন একটি খালি জায়গা। কিছুদূর হাঁটতেই একটি সুন্দর খালি জায়গা পেয়ে গেলাম। আমরা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় একটি বেডশীট নিয়ে বের হয়েছিলাম যেন কোথাও বসে সময় কাটাতে পারি। সেই খালি জায়গাতে গিয়ে বেডশিট বিছিয়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। কিছুক্ষণ পর বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া বল মেয়েকে দিলাম খেলতে। মেয়ে একা খেলবে না সে আমাকেও সাথে নিল।
খেলতে খেলতে একপর্যায়ে চোখ পরল কিছু চারা গাছের দিকে। একজন লোককে দেখে জিজ্ঞেস করাতেই বললেন এই চারাগুলো বিভিন্ন সময়ে আমরা এখানে লাগিয়ে রাখি। যখন বড় হয় তখন পার্কের ভিতরে ফাঁকা জায়গা দেখে লাগিয়ে দেই এবং সেগুলি বড় হয়ে এরকম সুন্দর গাছে পরিনত হয়। শুনে আমার খুব ভালো লাগলো।
ডিভাইস | অপ্পো |
---|---|
মডেল | এ ৫৭ |
ক্রেডিট | @miratek |
বিষয় | ভ্রমণ |
what3words location | https://what3words.com/disprove.rinses.toffee |
আশা করছি আমার রমনা পার্কের ভ্রমণ পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
যা প্লেগ্রাউন্ড দেখলাম আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে আপনার মেয়ে এখান থেকে আদেও বের হতে চেয়েছিল কিনা। কতটা জোর করে ওকে বার করতে হয়েছে এখান থেকে সেটা ভেবেই হাসি পেয়ে যাচ্ছে। আজকালকার শহরের গেঞ্জির পরিবেশে বাচ্চাদের জন্য এই ধরনের পার্ক কতটা যে জরুরী সেটা অনেকেই বোঝেনা। কিন্তু যারা বোঝে তারা অবশ্যই বাচ্চাদের সুযোগ করেন দেয় । মাঝে মাঝেই ওকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন দাদা। খুশি হয়ে যাবে।
আসলেই তাই আমার মেয়ে সেই ছোট ঘর থেকে আসবেই না। পরে জোর করে তাকে আনতে হয়েছে। দিদি গিঞ্জি লিখতে গিয়ে মনে হয় গেঞ্জি লিখেছেন পারলে ঠিক করে নিবেন। ধন্যবাদ দিদি।
প্রায় একবছর হয়ে গিয়েছে আমি রমনাপার্কে ঘুরে আসলাম। আমার কাছে রমনাপার্কের এই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। আগে অনেক যাওয়া হতো কিন্তু এখন আর সেই সময় হয়না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আবার সেই মনোরম পরিবেশ দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আমরা যারা ঢাকায় থাকি তাদের জন্য এই ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখন রমনা পার্ক অনেক সুন্দর হয়েছে আগের থেকে । ঘুরে যেতে পারেন। ধন্যবাদ আপু।
রমনা পার্কে অনেক সুন্দর সময় পার করলেন। সময়ের কারণে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। বিশেষ করে এসব পার্ক গুলোর মধ্যে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা থাকলে তারা খেলা করতে খুব পছন্দ করে। তবে আপনার বাচ্চার খেলা ধুলার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে সেই অনেক মজা করলেন। আর আপনার প্রথম পর্বগুলো আমার দেখা হয়নি। আজকের পর্বটি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দরভাবে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
রমনা পার্কে অনেক সুন্দর সময় পার করলেন। সময়ের কারণে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। বিশেষ করে এসব পার্ক গুলোর মধ্যে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা থাকলে তারা খেলা করতে খুব পছন্দ করে। তবে আপনার বাচ্চার খেলা ধুলার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে সেই অনেক মজা করলেন। আর আপনার প্রথম পর্বগুলো আমার দেখা হয়নি। আজকের পর্বটি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য।
রমনা পার্কে গেলে প্রকৃতির ছোঁয়া পাওয়া যায়। বাচ্চারা খুব মজা করে এমন পরিবেশে।মেয়ে অনেক আনন্দ পেয়েছে দেখেই বুঝতে পারছি।অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বলেছেন দালান এর ঢাকায় রমনা তে গেলে প্রকৃতির ছোঁয়া পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আপনার সোনামনি তো অনেক ছোট মানুষ সে মনে হয় প্লে গ্রাউন্ডে ঢুকে নিজে নিজে বের হতে পারে নাই। তবে প্লে গ্রাউন্ড টা অনেক সুন্দর ছিল। বাবু মনে হয় অনেক মজা করেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।