ঢাকা চকবাজারে একদিন।। 10% Beneficiary @shy-fox
যদিও এসেছি ড্রইং করার জিনিস পত্র কিনতে কিন্তু আরও ভেরাইটিস প্রোডাক্ট দেখে ঘুরে দেখতে ইচ্ছে করল নতুন কি কি এসেছে দেখার জন্য। সময় কম থাকার কারনে খুব বেশি জায়গা ঘুরে দেখতে পারিনি। তবে বেশ কিছু জিনিস আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। একটা কথা বলে রাখি চকবাজারে কিন্তু বেশিরভাগ জিনিস পাইকারি বিক্রি করে এবং দাম অনেক কম। যেমন বেলুন কিনবেন ১০০ টার প্যাকেট কিনতে হবে, মাথার বেন্ড কিনবেন ৫০ টা একসাথে কিনতে হবে, পেন্সিল কিনবেন পুরো বক্স কিনতে হবে। আরেকটি কথা বলি এখানে যেহেতু পাইকারি ভাবে বিক্রি করে দাম নিয়ে বাড়াবাড়ি খুব একটা এখানে চলে না। মোটামুটি ফিক্সড প্রাইসেই বিক্রি করে।
ঢাকার ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মধ্যে চকবাজার, গুলিস্তান, গাউসিয়া-নিউ মার্কেট, ইসলামপুর এগুলো অন্যতম। উপরের ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন চকবাজার কতটা ব্যস্ততম জায়গা। যদিও আরও ভিড় থাকে মার্কেট কিছুক্ষণ পর বন্ধ হয়ে যাবে তাই লোকজন কিছু কমেছে। দিনের বেলা মানুষ আর রিকশার জন্য হাটাই দায় হয়ে যায়।
আমার প্রধান যে উদ্দেশ্য ছিল ড্রইং আইটেম কিনা সেখানেই আপনাদের প্রথমে নিয়ে যাই। এখানে যে গলিটার ছবি দেখা যাচ্ছে এই গলিতে অনেকগুলো লাইব্রেরি দোকান আছে। আপনারা চাইলে বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে দামের পার্থক্য দেখতে পারেন কারন দামের পার্থক্য থাকে। আমি স্কেচ পেন্সিল এক বক্স, কালার পেন্সিল এক বক্স, একটি সারপনার, একটি হার্ড বোর্ড, একটি স্কেল কিনেছি। আমার এলাকাতে এগুলো কিনতে গেলে ৯০০-১০০০ টাকার কমে বিক্রি করতো না কিন্তু আমি এখান থেকে ৪০০ টাকায় পেয়েছি।
এখানে ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের টেডি বিয়ার পাওয়া যায়। দামও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আমার হাতে ছোট টেডি বিয়ারটি আমার মেয়ের জন্য কিনেছি। দাম নিয়েছে ১২০ টাকা। ১৫০ টাকা চেয়েছিল আমি বারগেইন করে দাম কমিয়েছি। টেডি বিয়ারটি সিংগেল বিক্রি করেছে তাই দাম কমানো গিয়েছে। এই টেডি বিয়ার আপনি আর্চিজ গ্যালারি বা কোন শোপিসের দোকান থকে কিনতে গেলে কমপক্ষে ৩০০-৪০০ দামের ট্যাগ দিয়ে রাখবে এবং ফিক্সড প্রাইস।
এই ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে বেলুন এবং বারথডে আইটেম। চকবাজারে বেলুন এবং বারথডে আইটেম গুলো অনেক সস্তায় পাওয়া যায়। ৮০ পিস বেলুন কিনেছি মাত্র ৬০ টাকায়। এই বেলুন আমি এর আগে প্রতি পিস কিনেছি ৫ টাকায়। চিন্তা করে দেখেছেন, দামের হেরফের কত?
এখানে কিছু লাইটিং আইটেমের ছবি দিয়েছি। ছবিগুলো দেখেই বুঝতে পেরেছেন ঘর বা বিয়েবাড়ি বা দোকান সাজানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের লাইটিং আপনি এখানে পাবেন এবং অনেক ভেরাইটিস পাওয়া যায় এখানে।
বিয়েতে বা গায়ে হলুদে মেয়েদের সাজানোর
আর্টিফিশিয়াল গয়না, বিয়ের বা গায়ে হলুদের বা কোন পার্টিতে ঘর সাজানোর অনেক জিনিস এখানে পাওয়া যায়।
এই দোকানে ফিশিং এর জন্য যত রকমের ফিশিং টুলস লাগে প্রায় সবই আছে। এই ধরনের স্পেসিফিক ফিশিং আইটেমের দোকান আমি সচরাচর দেখি না।
চকবাজারে অনেক ধরনের খেলনা পাওয়া যায়। সময়ের কারনে আমি সব জায়গাতে যেতে পারিনি। তবে কিছু খেলনার আইটেমের ছবি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। এখানে বেশিরভাগ খেলনাও কিন্তু পাইকারি বিক্রি করে। আমি এখান থেকে একটি খেলনা কেরাম বোর্ড কিনেছি।
চকবাজারের আরেকটি মজার বেপার হচ্ছে এখানে আপনি পাইকারি ভাবে ফুড গ্রেড রঙ কিনতে পারবেন। বিভিন্ন রকমের রঙ এখানে পাওয়া যায়। মোটামুটি এক দোকান থেকেই আপনার পছন্দের রঙ খোজে পাবেন। এই রঙ বিভিন্ন খাবার কালারফুল করতে ব্যবহৃত হয়।
চকবাজার এসে এত ঘুরাঘুরির পর খিদে লেগে যায়। তাই এখানে শপিং করতে এসে না খেয়ে খুব কম লোকই যায়। আমি চকবাজার আসলে যেখানে বেশিরভাগ খাওয়া হয় তা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। একটি হচ্ছে জ্যুসের দোকান। এই নুরানী কোল্ড ড্রিংকস এর লাচ্ছি আর লেবুর শরবত খুবই বিখ্যাত। আরেকটি হচ্ছে হোটেল আমানিয়া। এই দোকানে স্ন্যাকস আইটেম বেশি পাওয়া যায়। তবে এদের খাবার সুস্বাদু এবং ফ্রেশ।
আরও অনেক কিছু এখানে পাওয়া যায় যা আমি সময়ের জন্য কাভার করতে পারিনি যেমন মেয়েদের অর্নামেন্ট, ব্যাগের দোকান, জুতার দোকান। আমার জানা মতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় জিনিসপত্রের অনেক বড় সাপ্লাই এখান থেকে যায়।*
আজ এই পর্যন্ত। আমার পোস্ট পড়ে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের অনুভূতি জানাবেন ।
আমি মীর আতিক আল ফারুক। আমি বাংলাতে কথা বলতে, লিখতে ও পড়তে খুব ভালবাসি। বাংলা ভাষা আমার অহংকার। আমি বাংগালী হিসেবে গর্বিত।
সুন্দর কিছু অভিজ্ঞতা কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ওই এলাকা গুলোতে থেকে মার্কেট করা ভালো লাগে। কারণ দাম তুলনামূলক ভাবে কম এবং সবকিছু পাওয়া যায় হাতের মুঠোয়। আগে আমার অফিস ছিল লালবাগ তখন প্রায় সময় এই এলাকা গুলোতে ঘুরা ঘুরি করা হতো।এই অঞ্চল গুলোতে খাবার এর কোন অভাব নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর কিছু মূহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চকবাজারে শপিং করে সত্যিই অনেক মজা বিশেষ করে দামে জেতা যায়। লালবাগের পাশেই চকবাজার, আপনার তাহলে চকবাজার ঘুরার অভিজ্ঞতা আছে। অনেক ধরনের খাবারও পাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমিও গিয়েছি এত সরু রাস্তা যে ২টা রিক্সা যেতেই কস্ট হয়।তবে বেশী কিছু,কিনতে গেলে চকবাজার ভাল।তবে মানসিকভাবে প্রস্ততি নিয়ে যেতে হয় যে,বাসায় সময়মত ফেরা হবে না।
আপনি ঠিক বলেছেন রাস্তা খুবই সরু। অনেক ঘুরতে হয় তাই সময় নিয়ে যাওয়াই ভাল। ধন্যবাদ আপু।
ভাই পুরানা স্মৃতি তাজা হয়ে গেল।কিনি আর না কিনি ঘোরা টাই অনেক মজার ছিল ভাই।যদিও আপনি শপিং ও করে ফেলেছেন।ধন্যবাদ পুরান ঢাকার পুরানো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
এখানে এসে কেনাকাটা না করে ঘুরাঘুরি করলেও খারাপ লাগবে না। আমি মেয়ের জন্য কিছু খেলনা আর আমার কিছু ড্রইং এর জিনিসপত্র কিনেছি। আপনার পুরনো কিছু সৃতি মনে করিয়ে দিতে পেরে নিজের কাছে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেকগুলো ছবি দেখালেন একত্রে। প্রত্যেকটা ছবি খুব সুন্দর লাগলো দেখে। ভালো লাগলো আপনার এই ঘোরাফেরা। ধন্যবাদ ভালো কিছু সুন্দর ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি দাদা এখানে রঙ বেরঙ্গের অনেক কিছু পাওয়া যায়। এগুলো দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে।আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে। আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর কিছু মুহূর্ত ছবির মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ দাদা।
ভালো উপস্থাপনা। আপনি জানেন আমার অবস্থাও আপনার মতই হয়েছে। এখানে এসে ছোটবেলার ড্রয়িং এর পোকা টা মাথায় নড়ে উঠেছে। আমআর যদিও রং আগেই কেনা ছিলো। তবে আরো কিছু নতুন জিনিস অর্ডার করেছি।
ড্রইং খুব মজার একটি শখ আমার। খুব ভাল লাগে। অনেকদিন পর আবার ধরেছি তাও খারাপ লাগছে না। আপনিও শুরু করে দিন। ধন্যবাদ দিদি।