আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনারা অনেকেই জানেন খাওয়ার প্রতি আমার অন্যরকম একটা আকর্ষণ কাজ করে। বিভিন্ন রকমের খাবার খেতে আমার খুব ভাল লাগে। সাধারণত দুপুরে খাওয়ার পর আর রাতে খাওয়ার আগে মাঝের এই সময়টাতে অনেকটা গ্যাপ থাকে। আমার জানামতে মেডিকেল সাইন্স বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের ৪ ঘন্টা পর পর কিছু না কিছু খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের মাঝখানে সময়টাতে হালকা কিছু খাবার খাওয়াটা জরুরী বলে আমি মনে করি। আমি যদি আমার কথা বলি আমার বিকেলে বা সন্ধ্যায় হালকা কিছু খেতেই হবে তা না হলে আমার মন এবং শরীর দুটোই খারাপ লাগে। আসলে ছোটবেলা থেকেই অভ্যাস তাই। আর বিকেলের নাস্তায় স্ন্যাকস জাতীয় খাবার আমার খুব বেশি পছন্দ যেমন পেয়াজু, আলুর চপ, পাকোড়া এই খাবার হলে আমার বেশি ভাল লাগে। তো দুই দিন আগে বাজারে শীতের সবজি বাঁধাকপি দেখে মনে হল অনেকদিন বাঁধাকপির পাকোড়া খাওয়া হয় না । অমনি একটি বাঁধাকপি কিনে বাসায় নিয়ে আসলাম। গতকাল সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাসায় গিয়ে দেখি খাওয়ার মত তেমন কিছু নেই। পরে ফ্রিজ খুলে বাঁধাকপিটা দেখতে পাই। তখনই মাথায় চিন্তা আসলো বাঁধাকপি দিয়ে তো পাকোড়া বানানো যায়। কিছুদিন আগে আমার এক কাজিনের বাসায় চিড়া এবং বাঁধাকপি দিয়ে বানানো পাকোড়া খেয়েছিলাম। খুবই ক্রিসপি এবং মজার ছিল । চিড়া দেয়াতে ক্রিসপি একটা ভাব আসে কিন্তু ভিতরে আবার নরম। মিৎসেফে দেখি চিড়া আছে। ডিসিশন নিয়েছি চিড়া এবং বাঁধাকপি দিয়ে পাকোড়া বানিয়ে দেখি। যেই চিন্তা সেই কাজ। বুঝতে পারছেন তাহলে আমি আজ আপনাদের সাথে চিড়া এবং বাঁধাকপি দিয়ে পাকোড়া বানানোর রেসিপি শেয়ার করব ।
উপকরণ |
চিড়া |
বাঁধাকপি |
গাজর |
ডিম |
কাঁচা মরিচ |
পেঁয়াজ |
ধনিয়া পাতা |
গোল মরিচ |
লবণ |
রান্নার প্রণালী
ধাপ ০১
প্রথমে আমি চিড়া ভাল করে ধুয়ে ঝরা দিয়ে রেখেছি। পাশাপাশি বাঁধাকপি এবং গাজর কুচি করে কেটে একসাথে মিশিয়ে ধুয়ে রেখেছি। তারপর চিড়ার মধ্যে বাঁধাকপি আর গাজর দিয়েছি।
ধাপ ০২
এই ধাপে আমি ধনিয়া পাতা সহ অন্যান্য মসলা দিয়েছি এবং ভাল করে মথে মেখে নিয়েছি।
ধাপ ০৩
এই ধাপে আমি ডিম দিয়ে দিয়েছি এবং ভালো করে মথে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ ০৪
এই ধাপে আমি চুলায় আগুন জ্বালিয়ে তাতে করাই বসিয়ে পরিমাণমত তেল দিয়েছি।
ধাপ ০৫
এই ধাপে আমি মেখে রাখা পাকড়া আঙ্গুল দিয়ে গোল শেপ করে গরম তেলে দিয়েছি। একপাশ হালকা বাদামি হয়ে গেলে উল্টে দিয়েছি।
ধাপ ০৬
এই ধাপে পাকোড়া ভাজা হয়ে গেলে একটি ঝুড়ি চামচ এ নিয়ে তেল ঝড়িয়ে দিয়েছি।
শেষ ধাপ
এই ধাপে আমি সুন্দর একটি পাত্রে ক্রিসপি পাকোড়া গুলো পরিবেশন করেছি।
ডিভাইস | ভিভো |
মডেল | ওয়াই ৩৩ |
বিষয় | ক্রিসপি পাকোড়া রেসিপি |
ক্রেডিট | @miratek |
একটি ইনফরমেশন দিয়ে রাখি কেউ যদি একটু ভাল বাইন্ডিং আনতে চান তাহলে ময়দা ব্যবহার করতে পারেন ।
আশা করি আমার বাঁধাকপি আর চিড়ার পাকোড়া আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে ।
ওরে ভাই এত সুন্দর আয়োজন যে হবে একটা বার তো বলবেন 😳😳😳,, যত জ্যামই হোক না কেন ছুটে চলে যেতাম 😊। চিড়া দিয়ে পাতা কপির যে এমন পকোড়া হতে পারে এই প্রথম দেখলাম ভাই। দারুন লোভনীয় লাগছিল এক কথায়। আমার দারুন লেগেছে আয়োজন টা। যদি কখনো আপনার মত ধৈর্যধারী হতে পারি তাহলে অবশ্যই একদিন চেষ্টা করব। 😊🙏
অবশ্যই ভাই চলে আসুন একদিন। আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমার ভাল লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাঝে মাঝে এমন এমন ইউনিক রেসিপি দেখি, যেটা দেখে মাথা ঘুরে যায়। যেমন আজকের এই বাঁধাকপি ও চিড়ার পাকোড়া। আসলে আপনার কাজিন এর বাসায় চিড়া এবং বাঁধাকপির পাকোড়া খাওয়ার পরে নিজেরও মাথায় তাহলে এটি চলে এসেছে। আর নিজেই ট্রাই করে ফেলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া কাজিনের বাসায় খেয়ে আমার ভাল লেগেছিল। তাই আমিও বাসায় বানিয়ে দেখলাম। আমার কাছে ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আগামীবার অন্যরকম কোন ইউনিক রেসিপি উপহার দেবেন এই কামনা করি ধন্যবাদ।
আমার কাছে চিড়া এবং বাঁধাকপি দিয়ে বানানো পাকোড়া খেতে ভাল লেগেছিল। খুবই ক্রিসপি এবং সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি ভাইয়া আমার বাংলা ব্লগ মানে ইউনিক রেসিপি। চিড়া দিয়ে বাঁধা কফির পাকোড়া চমৎকার একটি রেসিপি। আসলে চিড়া আর বাধাকফি দিয়ে যে পাকোড়া তৈরি করা যায় তা আমার জানা ছিল না।আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম অবশ্যই একদিন ট্রাই করবো।প্রতি ধাপ আপনি সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। যাইহোক আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি চেষ্টা করেছি নতুন এই রেসিপি ফলো করে সুন্দরভাবে বানিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য । ধন্যবাদ আপু।
শীতকালে এইরকম মচমচে বাঁধাকপির পাকোড়া আমার কাছে ভালোই লাগে খেতে। আমার আম্মুও মাঝে মাঝে বাসায় তৈরি করে। তবে কখনো চিড়া ব্যবহার করা হয়নি। একদিন এভাবে ট্রাই করে দেখব। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া সুস্বাদু একটি পাকোড়া রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে এভাবে খেতে ভাল লেগেছে। আপনিও বাসায় বানিয়ে দেখতে পারেন। আমার মনে হয় খেতে ভাল লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
বাহ ভাই আপনি খুব ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সত্যি দেখে খুব ভালো লাগলো ।চিড়া আর বাঁধাকপি দিয়ে ক্রিসপি পাকোড়া দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার সুস্বাদু হয়েছে। আপনার প্রস্তুত প্রণালী দেখে খুব ভালো লাগলো অনেক দুর্দান্ত হয়েছে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমি চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে চিড়া আর বাঁধাকপি দিয়ে পাকোড়া বানিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আমি বাঁধাকপির পকোড়া শুনেছি, তবে চিড়া দিয়ে যে কোনো পকোড়া হয় তা কখনো শুনিনি। সে দিক দিয়ে আপনার রেসিপি ইউনিক। আপনার পকোড়া দেখতে খুবই ভালো লেগেছে। আমার ভালো লাগলো এমন একটা নতুন রেসিপি জানতে পেরে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি দাদা চিড়া দিয়ে বাঁধাকপির পাকোড়া আমার নিজের কাছেও ইউনিক লেগেছে। আমি প্রথমবার বানিয়েছি। ধন্যবাদ দাদা।
পেয়াজু, আলুর চপ, পাকোড়া এই খাবারগুলি আমারও খুবই পছন্দের।ভাইয়া দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন, ইউনিক ছিল।তাছাড়া শীতকাল আসতে না আসতেই বাঁধাকপি খাওয়ার মজাটাই আলাদা।আমি অবশ্য ধনিয়া পাতা খায় না, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধনিয়া পাতা না দিলে ফ্লেভার ভাল আসে না। ধন্যবাদ দিদি।
বা আপনি খুব সুন্দর করে চিড়া আর বাঁধাকপি দিয়ে পাকোড়া বানিয়েছেন। আপনার মত আমিও বিকালে কিছু হাতের নাস্তা খেতে খুব ভালো লাগে। আলুর চপ পেয়াজু পকোড়া এগুলো খুব প্রিয় আমার। তবে আপনার পাকোড়া গুলো দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে বিকেলে কিছু না খেতে পারলে ভাল লাগে না। আমার বানানো পাকোড়া এর রেসিপি আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
আসলে এই শীতের সময় টাতে নানা ধরনের পাকোড় বা বড়া ভাজি খেতে বেশ ভালোই লাগে ৷ আর আপনি তো বাঁধাকপি চিড়া গাজর ডিম দিয়ে কি সুন্দর করে পাকোড়া তৈরি করেছেন ৷ সত্যি বলতে একদম ইউনিক একটি রেসেপি ৷
ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার বানানো পাকোড়া আপনার ভাল লেগেছে বলে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।