বাসায় চিকেন তান্দুরি বানানোর মজাদার রেসিপি।। 10% beneficiary to @shy-fox
তান্দুরি বানাতে যা যা লেগেছে
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
মুরগী | ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ১ টি |
পেয়াজ বাটা | ১.৫ কাপ |
আদা বাটা | ১ টেবিল চামচ |
রসুন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাবাব মশলা | ১.৫ টেবিল চামচ |
গরম মশলা | ১/২ টেবিল চামচ |
জিরা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
মরিচ গুড়া | ১.৫ টেবিল চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
আমের আচার | ১.৫ চা চামচ |
টমেটো কেচাপ | ২ টেবিল চামচ |
লবন | ১ টেবিল চামচ |
লেবুর রস | ১/২ চা চামচ |
জর্দার রং | ১ চিমটি |
তেল | পরিমান মত |
তান্দুরি বানানোর প্রস্তুতপ্রনালী
ধাপ ০১
প্রথম ধাপে আমি আস্ত মুরগী ভাল করে পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রেখেছি।
ধাপ ০২
এই ধাপে মুরগীটি ছুরি দিয়ে কয়েকটি জায়গাতে কেটে দিয়েছি যেন মশলা এবং স্মোক ভাল করে প্রতিটি জায়গায় ঢুকতে পারে।
ধাপ ০৩
এই ধাপে আমি মশলাগুলো একটি বড় পাত্রে নিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ ০৪
তারপর মাখানো মশলা তে আস্ত মুরগী রেখে দিয়েছি এবং মশলা ভাল করে মুরগীর ভিতরে এবং বাহিরে প্রতিটি জায়গায় মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ ০৫
এই ধাপে মুরগীটি মেরিনেট অবস্থায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা রেখে দিয়েছি।
ধাপ ০৬
এই ধাপে মাংসের মধ্যে একটা স্মোকি ফ্লেভার আনার জন্য একটি কাঠ কয়লা ভাল করে আগুনে পুড়িয়ে গরম করে নিয়েছি।
ধাপ ০৭
এই ধাপে যে পাত্রে মাংস উঠিয়ে রাখা হয়েছে সেখানে একটি স্টিলের বাটিতে গরম কাঠ কয়লাটি দিয়ে তার উপর একটু তেল ছিটিয়ে দিয়েছি। এতে ধোয়া তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ঢাকনি দিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট রেখে দিয়েছি, যেন ধোয়াটা মাংসের মধ্যে ঢুকে যায়। তখন একটি সুন্দর স্মোকি ফ্লেভার আসে।
ধাপ ০৮
এই ধাপে একটি কড়াইতে পরিমান মত তেল দিয়েছি। তেল গরম হয়ে আসলে কয়লার স্মোক থেকে তোলে মেরিনেট করা আস্ত মুরগিটি কড়াই তে দিয়ে দিয়েছি। অনেক আলগা মশলা থাকে, সেগুলো মুরগী থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আলাদা একটি পরিষ্কার পাত্রে রেখে দিয়েছি। এই মশলার সুন্দর একটি ব্যবহার আছে যা আমি পরে দেখাচ্ছি। তারপর ঢাকনি দিয়ে কড়াই ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ ০৯
এই ধাপে কিছুক্ষণ পর ঢাকনি তুলে দিয়েছি এবং দেখা যাচ্ছে মুরগী থেকে কিছু পানি বেরিয়ে এসেছে। এই অবস্থায় আমি আরও কিছু পানি দিয়ে দিয়েছি যেন মুরগিটি সিদ্ধ হয়।
ধাপ ১০
এই ধাপে মুরগী ভাল করে সিদ্ধ হয়ে গেলে সেটি একটি ফ্রাই প্যানে নিয়ে কিছুটা তেল দিয়ে দিয়েছি। তারপর একটু ভাজা ভাজা হওয়ার জন্য আমি কয়েকবার উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দিয়েছি। এই ধাপে সুস্বাদু চিকেন তান্দুরিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
ধাপ ১১
এই ধাপে আলগা যে মসলাটি আমি আলাদা পাত্রে রেখে দিয়েছিলাম, সেই মশলাটি আলাদা করে কড়াইতে চুলায় দিয়ে ভুনা করে নিয়েছি। এই ভুনা মসলাটি আমি রেস্টুরেন্টের মত পরিবেশন করার জন্য করেছি। কারণ রেস্টুরেন্টে এইরকমই ভুনা মশলা সার্ভ করে দেয়।
শেষ ধাপ
শেষ ধাপে চিকেন তান্দুরির সাথে পরিবেশন করার জন্য আমি একটি সালাদ বানিয়ে নিয়েছি। সালাদে শসা, টমেটো, ধনিয়া পাতা, টক দই দিয়ে মিশিয়ে তারপর মাখিয়ে নিয়েছি। এইবার আমি একটি সুন্দর পাত্রে চিকেন তান্দুরি, ভুনা করা মশলা আর সালাদ পরিবেশন করে নিয়েছি।
ডিভাইস | ভিভু |
---|---|
মডেল | ওয়াই ২১ |
ক্রেডিট | @miratek |
বিষয় | চিকেন তান্দুরি রান্নার রেসিপি |
চিকেন তান্দুরিটি খুবই মজার ছিল। একদম রেস্টুরেন্টের ফ্লেভার এসেছিল। স্মোকি ফ্লেভারও রেস্টুরেন্টের মতই ছিল।
আজ এই পর্যন্ত। আশা করি আমার তান্দুরি চিকেন বানানোর রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
ভাইয়া আপনি কি কখনো রেস্টুরেন্টের কাজ টাজ করেছেন নাকি! নইলে রেস্টুরেন্ট স্টাইলে চিকেন তান্দুরি কোথা থেকে শিখলেন। এত লোভ লাগাচ্ছেন এগুলো দেখে তো একেবারে জিভে পানি চলে এসেছে ।আপনার পেট ব্যথা করলে কিন্তু আমার দোষ নেই। মাই গড এতগুলো ধাপে ধাপে আস্ত মুরগি দিয়ে তান্দুরি বানিয়েছে। রেস্টুরেন্টে না গিয়ে আপনার বাসায় যাওয়া উচিত। আগে দাওয়াত করলেন না কেন তাহলে তো চলেই যেতাম। পরিবেশন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। এই ঝাকানাকা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
না আপু কোন রেস্টুরেন্টে কাজ করিনি তবে রেসিপির আইডিয়া নেয়ার জন্য অনেক সোর্স আছে। আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভাল লেগেছে জেনে আমার খুবই ভাল লাগছে। সমস্যা নেই আমার পেট ব্যথা হবে না। একদিন চলে আসুন আমি এই রেসিপি বানিয়ে আপনাকে খাওয়াব। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
একদম রেস্টুরেন্ট স্টাইলে চিকেন তান্দুরি প্রস্তুত করেছেন দেখতে খুবই খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে লোভ সামলানো যাচ্ছে না।।
চিকেন তান্দুরি আমার খুবই খুবই ফেভারেট মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া হয় তবে আপনার মতো করে কখনো বাসায় প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি।।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপিটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলাম বাসায় একবার সময় করে প্রস্তুত করে খেতে হবে এরকম ভাবে।।
আমি চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে প্রস্তুতপ্রণালী আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। তান্দুরিটি সত্যিই রেস্টুরেন্টের মতই লেগেছিল খেতে। আপনি বাসায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই আপনি বেশ ভালো একটি কাজ করেছেন রেস্টুরেন্টের ১০০০ টাকার তান্দুরী চিকেন আপনি বাসায় বানিয়ে ফেললেন আড়াইশো টাকায় । বেশ ভালই করেছেন আপনি ।তান্দুরি চিকেন বেশ চমৎকার করে তৈরি করেছেন , যেটি দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে । খুবই সুস্বাদু হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে । মশলা গুলো খুব সুন্দর করে মেখে নিয়েছেন , চার পাঁচ ঘন্টা মেরিনেট করে রাখার জন্য মনে হয় এর ভেতরে মশলাটা বেশ ভালোভাবে ঢুকে গিয়েছে । আবার স্মোকি ফ্লেভার আনার জন্য কয়লা ব্যবহার করেছেন । বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপু আপনি আমার পুরো পোস্ট পড়ে কমেন্ট করেছেন দেখে ভাল লাগছে। আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে জেনে আমার খুবই ভাল লাগছে। সব জিনিসের মত রেস্টুরেন্টে খাবারের দামও বেড়েই যাচ্ছে তাই একবার বাসায় চেষ্টা করা। কয়লা দিয়ে ভালই স্মোকি ফ্লেভার এসেছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
খরচ কমানোর জন্য অনেক সহজে চিকেন তান্দুরি ঘরে তৈরি করলেন। মনে হচ্ছে রেস্তটুরেন্ট মত খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়ছে। মজার একটা রেসিপি শেয়ার করছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
তান্দুরি খেতে কিন্তু রেস্টুরেন্টের মতই লেগেছিল। খরচ কিন্তু সত্যিই অনেক কমে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
চিকেন তান্দুরি আমাদের blacks দার খুব পছন্দের। যদিও আমি তেমন একটা খাইনা। আমার কাছে ফিস কাটলেট খুব ভালো লাগে। তবে আমি মাঝেমধ্যে যখন বানিয়ে খাই তখন সেটা হয় মাইক্রোওভেনে অথবা কাঠ কয়লার আগুনে। এভাবে কখনো বানিয়ে খাওয়া হয়নি। নতুন পদ্ধতিতে তন্দুরি বানানো শিখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
কখনো সুযোগ পেলে blacks দাদাকে চিকেন তান্দুরি বানিয়ে খাওয়াব। আমি চুলায় করেছি। মাইক্রোওভেনে করা হয়নি। ধন্যবাদ দাদা।
চিকেন তান্দুরি তো ভালো ই বানালেন। খেতে খুব মজা হয়েছিল দেখেই বুঝতে পারছি। সুন্দর করে ধাপে ধাপে আপনি রেসিপি শেয়ার করলেন, দেখে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। 😋😊
সত্যিই খেতে খুব ভাল হয়েছিল। বিশেষ করে স্মোকি ফ্লেভারটা একদম রেস্টুরেন্টের মত এসেছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।