একটি মনিটরের আত্মকাহিনী।।পর্ব ০১।। 10% beneficiary to @shy-foxsteemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি।

মানুষের জীবনে চলার পথে অনেক ভাল কিছু যেমন ঘটে তেমনি খারাপ কিছুও ঘটে। সেই ভাল আর খারাপের মিশ্রনেই জীবন চলে যায়। আমার সাথে রিসেন্টলি ঘটা একটি ছোট ঘটনা আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করছি।

20221019_182711.jpg



প্রায় আট মাস আগে আমি কম্পিউটারের জন্য নতুন মনিটর কিনেছি এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যানের স্টার টেক নামক কোম্পানির শো-রুম থেকে। নতুন মনিটর কিনে বেশ আনন্দের সহিত কাজ করছি। কম্পিউটারে আমি সাধারনত অফিসের কিছু কাজ করি, আর এমনিতে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করি আর ছোটবেলার কিছু ভিডিউ গেম খেলি। ছোটবেলার ভিডিও গেম শুনে হাসার দরকার নেই। আমার খুব ভাল লাগে খেলতে। আপনারা অনেকেই যারা ২০০২-২০১০ এই সময়ে কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন তারা জানবেন এই গেম গুলোর নাম বললে। কয়েকটি গেমের নাম আমি বলছি- ডি এক্স বল, এন এফ এস ২, রোডরাশ, মুস্তাফা গেম, ভুতের একটি গেম খেলতাম ডেথ কি যেন নাম।

20221019_182825.jpg



যাই হোক আমার বাংলা ব্লগে জয়েন করার পর আমি কম্পিউটার দিয়ে অনেক পোস্ট করেছি। বিশেষ করে মুভি বা সিরিজ রিভিউ গুলো আমি কম্পিউটারেই রেডি করি। এর অন্যতম কারন আমার বেশিরভাগ মুভি বা সিরিজ দেখা হয় নেটফ্লিক্সে। যেহেতু মুভি বা সিরিজ রিভিউতে স্ক্রিনশট দিতে হয় সেক্ষেত্রে আমাকে কম্পিউটারেই স্ক্রিনশট নিতে হয়। এর আগে একটি পোস্টে আমি বলেছি কেন আমি কম্পিউটারেই নেটফ্লিক্সের স্ক্রিনশট নিতে হয়।

20221019_182849.jpg



যাই হোক আমি মানি হাইস্ট নামের একটি টিভি সিরিজের রিভিউ দিচ্ছিলাম। প্রায় এক মাস আগের কথা। আমি মানি হাইস্ট সিরিজের ১০ এবং ১১ তম পর্বের রিভিউ দেয়ার জন্য মন স্থির করেছি। সিরিজ রিভিউর বেপারে একটু এক্সট্রা সজাগ থাকতে হয় কয়েকটি কারন আছে সেগুলো হচ্ছে আগের দেখা থাকলেও পুরোটা আবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে তারপর রিভিউ লেখা লাগে, সিরিজের কাস্টিং ভাল করে দেখে তারপর লিখতে হয়, রেটিং দেয়ার সময় অনেক বুঝে তারপর দিতে হয়, আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বেপার থাকে যা স্কিপ করা যায় না। অফিস থেকে বাসায় গিয়েই ফ্রেশ হয়ে বসে পরেছি রিভিউ দিব বলে। বসার আগেই চা চেয়েছি কারন খুব মনযোগ দিতে হবে আর চা হচ্ছে আমার মনযোগের একটা সাপোর্টিং আইটেম। আমি পি সি তে বসেছি এবং ইতিমধ্যে চা চলে এসেছে। চায়ে চুমুক দিয়েই পিসি অন করলাম।

20221019_182739.jpg



সি পি ইউ অন হয়ে গেল কিন্তু মনিটরে তাকিয়ে দেখি আলো নেই। কি হল? মনিটরের পাওয়ার বাটন অন অফ করে দেখলাম, না কোন পাওয়ার আসছে না। সি পি ইউ ম্যানুয়ালি অফ করে আবার চালু করলাম। এইবারেও কোন রেস্পন্স নেই মনিটরের। তখনো তেমন সিরিয়াসলি নেই নি। ভাবলাম হয়ত কেবল কানেকশন লুজ হয়ে গিয়েছে। মনিটরের পিছনের দুটি কেবলই খুলে আবার লাগিয়ে আবার সি পি ইউ অন করেছি। না এইবারও কোন রেস্পন্স নেই। পরে সি পি ইউ বের করে পিছনের সব তার খুলে মনিটরের তার খুলে আবার লাগিয়ে সি পি ইউ অন করেছি। এইবারও অন হচ্ছে না। এইবার আমার মাথায় চিন্তা ঢুকে গেল। আমি ভাবলাম সি পি ইউ ত পাওয়ার পাচ্ছে তাহলে কি মনিটর গেল। আমি বাসায় এক প্রকার রাগারাগি করলাম। ভাবলাম বাসায় কেউ ধরে নষ্ট করেছে কিনা। শুনলাম না কেউ সারাদিন ওই রুমে যায়নি। রাত প্রায় ১১ টা বেজে গিয়েছে। আমি তখন শিউর হলাম আজ আর রিভিউ রেডি করতে পারছি না। সাথে সাথে এক বড় ভাইকে ফোন দিলাম যে কিনা এই মনিটর কিনতে সাহায্য করেছিলেন। উনি বললেন আগামীকাল মাল্টিপ্ল্যান এ নিয়ে আসুন। চলবে....

ডিভাইসস্যামসাং
মডেলএ ৫০ এস
ক্রেডিট@miratek


আজ এই পর্যন্ত। সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Sort:  
 2 years ago 

আসলে নিজের প্রয়োজনের জিনিসগুলো নষ্ট হয়ে গেলে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। মুভি রিভিউ করতে গিয়ে আপনি দেখতে পেলেন আপনার মনিটরে আর আলো আসছে না তখন আসলেই মাথায় আর ঠিক থাকে না। তাড়াতাড়ি এটা মাল্টিপ্লান এ নিয়ে যান ভাইয়া আর ঠিক করে নিয়ে আসুন।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, প্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হলে যতক্ষন না ঠিক হয় টেনশন কাজ করে। লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

কোন কাজ করার সময় যদি কাজের জিনিসগুলো ঠিক মতো কাজ না করে তবে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আর ইলাক্ট্রনিক্স জিনিস যেকোন সময় খারাপ হতে পারে। মনিটর নিয়ে আপনার বিড়ম্বনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

এটা ঠিক বলেছেন ইলেকট্রনিক্স জিনিস খারাপ হবে কিন্তু এত তাড়াতাড়ি নষ্ট হলে ভাল লাগে না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

আপনার মত আমিও মুভি দেখতে অনেক পছন্দ করি, আপনি ঠিক কথা বলেছেন মনোযোগ দিতে হলে চা টা অনেক ভালো একটি সাপোর্ট করে বিশেষ করে চাই চুমুক দিয়ে যদি কাজে বসে যাওয়া যায় তাহলে কাজটা অনেক মনোযোগ সহকারে করা যায়।
আপনি পোষ্টের মধ্যে যে গেমগুলোর নাম উল্লেখ করেছেন আসলে এই গেমগুলোর সম্পর্কে আমি তেমন একটা অবগত নয় কেননা 2010 সালের দিকে কম্পিউটার কেন মোবাইলটাও হাতে ধরিনি 😅, যাই হোক কাহিনীটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

 2 years ago 

আমি ভাই এক সময় অনেক মুভি আর সিরিজ দেখেছি এখন কাজের চাপে আর দেখা হয় না। তাও যেগুলো ভাল লাগে দেখি এবং রিভিউ দিয়ে শেয়ার করা চেষ্টা করি। এই গেমগুলো আমার খুব ফেভারিট ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার মনিটরের সমস্যাটা আমি আগে থেকেই জানি। আপনি বলেছিলেন। আমিও ২০১৮ সালে আমার ব্যবহার করা ল্যাপটপটা এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যানের স্টার টেক নামক কোম্পানির শো-রুম থেকে নিয়েছিলাম। এখনও আলহামদুলিল্লাহ ভালই সাপোর্ট দিচ্ছে। ইলেট্রিকেল জিনিষ ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। আপনার পোষ্ট পড়তে গিয়ে কয়েকটি গেইমের নাম জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

স্টার টেক এমনিতে ভাল কোম্পানি তবে এটা আমার ভাগ্য না কি বুঝলাম না।গেম গুলো খুব পুরনো কিন্তু মজার। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, জীবনে চলার পথে অনেক বাধা সৃষ্টি হয়।তাছাড়া এই ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো যখন তখন সমস্যা দেখা দেয়।ছোটদের গেম খেলতে আমার ও বেশ ভালো লাগে তবে আমি ওইসব গেম সম্পর্কে জানি না।আশা করি আপনার মনিটরের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

 2 years ago 

এই গেমগুলো পি সি গেম এবং অনেক আগে খেলতাম। এখন কেউ খেলতে দেখি না তবে আমার এখনো ভাল লাগে খেলতে। মনিটর ঠিক করে নিয়ে এসেছি কিভাবে তা আজ বলব। ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

আমাদের প্রিয় মেশিনগুলো যার সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি আছে যদি নষ্ট হয়ে যায় তখন আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। আমার এমন মন খারাপ হয়ে গেছিলো যখন আমাদের ওয়াশিং মেশিন টা চলছিলো না। আমার মোটেই ইচ্ছে হচ্ছিলো না যে ওকে পাল্টানো হোক। অনেক্ষণ ধরে আমি মেশিনটা কে পরিস্কার করে তারপর চালু করি। এখন দিব্যি চলছে। যাক নতুন মনিটর কিনে আপনার কাজ টা যে হয়েছে সেটাই আসল।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.034
BTC 64333.84
ETH 2760.35
USDT 1.00
SBD 2.65