রিভিউ। হেপী আওয়ার চাইনিজ এন্ড ফাস্টফুড। 10% beneficiary to @shy-fox
এই রেস্টুরেন্ট নারিন্দা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ৫০ গজ সামনে। আমার বাসা থেকে খুব বেশি দূর নয়। ওয়ারী থেকে রিকশায় ৩০ টাকা নিয়েছে। এখন ত রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা দিতে হয়। রেস্টুরেন্টের সামনে নেমে দ্রুত ভিতরে ঢুকে গেলাম। ভিতরের জায়গা মোটামুটি বড় মনে হয়েছে। সব জায়গায় সোফা সেট করা। ভালো লেগেছে দেখে।
আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাচ্চা কে খেলাঘরে দিয়ে সময় কাটানো। কিন্তু ভাগ্য খুবই খারাপ যে আজ তাদের এখানে রাতে পার্টি আছে বলে বাচ্চাদের খেলার জোন বন্ধ রেখেছে।
আমার মেয়ের খুব মন খারাপ হল। কি আর করা তাকে বললাম চিকেন খাওয়াব। ভিতরের ডেকোরেশন মোটামুটি ভাল করেছে। সোফা হওয়াতে আমাদের জন্য ভাল হয়েছে কারণ বাচ্চা খুব কমফোর্ট ফিল করে । মেন্যু কার্ড নিয়ে খাবারের অর্ডার করে দিলাম।
খাবার আসতে আসতে আমি ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর কিছু ছবি তুলে নিলাম। আমার কাছে কিছু ইউনিক জিনিস চোখে পড়েছে । তার মধ্যে কিছু ছবি আমি শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
বাচ্চা নেমে বারবার খেলার জায়গার সামনে যাচ্ছিল। আমিও বাধা দিচ্ছিলাম না কারণ সে আরো মন খারাপ করবে। কিছুক্ষণ পর খাবার চলে এসেছে। আমরা সেট মেন্যু সিলেক্ট করেছিলাম, সাথে মেয়ের জন্য আলাদা একটি ফ্রাই এবং সফট ড্রিংকস অর্ডার করেছিলাম।
খাবারের ব্যাপারে যদি বলি সব খাবার ভাল ছিল না। ফ্রাইড রাইস টা মোটামুটি ছিল, চিকেন ভাল ছিল, চায়নিজ ভেজিটেবল মোটামুটি ছিল। সবচেয়ে ভাল ছিল কলসলো টা। সব মিলিয়ে খাবার মোটামুটি ভাল ছিল। তবে বাচ্চাদের খেলার জায়গা, সুন্দর পরিবেশ এবং খাবার মিলিয়ে আমি ১০ এ ৮ দিব।
লাস্ট মনে হল এদের কফি খেয়ে দেখি। কফিটা অসাধারণ ছিল। কফি কিন্তু সব রেস্টুরেন্টে ভাল হয় না। কফি বানানোর মধ্যেও কিন্তু আর্ট আছে। ত কফি খেয়ে মন ভালো হয়ে গেল। শেষে নিজের একটি ছবি তুলে নিলাম।
বের হওয়ার সময় আমাকে একটি কার্ড দিয়ে দিল এবং বলল এখানে কোন বুকিং বা হোম ডেলিভারি প্রয়োজন হলে এই নাম্বারে কন্টাক্ট করার জন্য।
| ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ |
|---|---|
| বিষয় | রেস্টুরেন্ট রিভিউ |
| ক্রেডিট | @miratek |
| লোকেশন | নারিন্দা, ঢাকা |
আশা করছি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ সবাইকে।
বর্তমান বাচ্চারা অনেক টেলেন্ট তাদের কিছু বলতে হয় না।কারণ আপনি হয়তো শীতের জন্য বাইরে যাবেন না কিন্তু বাচ্চাদের জন্য যেতে হলো।আপনারা দেখছি হেপী আওয়ার চাইনিজ এন্ড ফাস্টফুড ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো বাচ্চাদের খেলার জোন বন্ধ থাকায়। যাইহোক খাবার গুলো মোটামুটি ভালোই ছিল। কফি খেয়ে অবশেষে মনটা আরো অনেক ভালো হয়েছে যেন অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া?
বাচ্চাদের খেলার যোন এর কথা ভেবেই গিয়েছিলাম। বন্ধ থাকায় মেয়ের পাশাপাশি আমার ও খারাপ লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমরা যেহেতু বাহিরে বের হয়ে সন্ধ্যার পর। তাই রাতের খাবার হিসেবে সব সময় এই সেট মেনুটা আমাদের খাওয়া হয়। আর শেষে কফি খেয়েছেন দেখছি ঠিক আপনার ভাইয়ার মতো। খুব ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে খাবারের রিভিউ দেওয়ার জন্য।
শুভ ভাইয়ার পোস্ট আমি দেখি। আপনারাও অনেক খাওয়া দাওয়া করেন রেস্টুরেন্টে। ভাইয়া অনেক ভোজন রসিক মানুষ সাথে আপনিও। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাপী আওয়ার চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এর ডেকোরেশন বেশ দারুণ হয়েছে।আপনি প্রতি শুক্রবারে পরিবারকে নিয়ে সময় দেন এবং বাইরে ঘোরাফিয়া করে খেয়ে আসেন বেশ ভাল।মাঝে মাঝে এভাবে পরিবারকে সময় দিয়ে ঘোরাফেরা করলে মনটা ফ্রেশ থাকে।তবে একটা কথা না বললে নয় সেটা হচ্ছ খাবারের মেনু টা দারুণ ছিল এবং কফি দেখে তো আমার লোভ হচ্ছে খাওয়ার।
আমি চেষ্টা করি পরিবার নিয়ে শুক্রবার একটু ঘুরতে যেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাচ্চাদেরকে এরকম কোথাও নিয়ে গেলে, তারা খেলাধুলা করতে বেশি পছন্দ করে। যাই হোক খেলার জোন বন্ধ রেখেছে শুনে আপনার মেয়ের মন খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে, আসলে মন খারাপ হওয়ারই কথা। ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চারা সোফায় বসে খেতে খুব কমফর্টেবল ফিল করে। সবশেষে কফিটা দেখে আসলেই বেশ মজাদার মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমানে বাচ্চাগুলো যেন ঘরে থাকতেই চায় না। বন্ধের দিনগুলোতে তারা চায় ঘুরে বেড়াতে। কিন্তু বাবুটার ভাগ্য খারাপ যদি হ্যাপি আওয়ার রেস্টুরেন্টে গেলেন ,কিন্তু বাচ্চার জন্য হতে হলো আনহ্যাপি। কিন্তু রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইন টা কিন্তু বেশ সুন্দর ছিল। মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে বাহিরে সময় কাটাতে যাওয়াটাও বেশ ভালো একটি পদক্ষেপ। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টের রিভিউ করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাচ্চারা ঘুরতে গেলে খেলাধুলা করতে পারলে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু রেস্টুরেন্টে বাচ্চাদের খেলার জোন টি বন্ধ থাকাতে মেয়েটির মন খারাপ হয়ে গেল।আপনি হ্যাপী আওয়ার চায়নিজ রেস্টুরেন্টে হ্যাপী হ্যাপী মুড নিয়ে ছিলেন।ভাইয়া আপনি প্রতি শুক্রবার পরিবার নিয়ে ঘোরেন এটা খুব ভাল লাগে আমার। তবে আপনি যেখানেই যান না কেন রেস্টুরেন্ট বা ফাস্টফুড টা কম খাবেন।আর না খেলে আরো ভাল হয়। অনেক ভাল সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। ফেরার সময় তারা আপনার হাতে তাদের কার্ড দিয়ে দিল।কারন তারা হোম ডেলিভারি ও দেয়,বেশ ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ আপু মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
প্রতি শুক্রবার পরিবার কে নিয়ে বাইরে যাওয়া,সময় দেওয়া খুবই ভাল একটি উদ্যোগ ভাই।এতে ভাতিজির মন ভাল থাকবে।আবার পারিবারিক বন্ড শক্তিশালী হবে।রেস্টুরেন্ট এর ইন্টেরিয়র টা আসলেই অনেক সুন্দর।ভাল সময় কাটিয়েছেন,প্লে জোন টা খোলা থাকলে ভাবির সাথে আরো বেশ সময় কাটত।কিন্তু ব্যাড লাক।যাই হোক সুন্দর মোমেন্ট ও সুন্দর রেস্টুরেন্ট টির রিভিয় শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।