রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো হাতপাখা।। 10% beneficiary to @shy-fox
আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজ আমি সম্পূর্ণ নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজ আমি রঙিন কাগজ দিয়ে একটি ফ্যান তৈরি করে দেখাব। আমি বলে রাখি এটি আমার বাংলা ব্লগে আমার প্রথম রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো ডাই পোস্ট।
উপকরণ |
---|
মিষ্টি রাঙের কগজ |
হলুদ কাগজ |
গ্লিটারিং কাগজ |
কাচি |
আঠা |
হার্ড বোর্ড |
পাখা তৈরির পদ্ধতি
প্রথমে আমি মিষ্টি রঙের ৩ টি A4 সাইজ কাগজ নিয়েছি।
তারপর প্রতিটি কাগজ ছবির মত চারবার পর্যায়ক্রমে ভাজ করে নিয়েছি ।
ভাজ খুললে ছবির মত এলোমেলো ভাজ দেখা যাবে।
তারপর একবার একদিকে ভাজ তারপর আবার অন্যদিকে ভাজ দিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণ ভাজগুলো ছবির মত করে নিয়েছি।
তারপর সমান ভাবে মাঝখানে ভাজ দিয়ে ছবির মত করে রেখে দিয়েছি।
প্রতিটি কাগজের মাঝের ভাজে আঠা লাগিয়ে কোন কিছু দিয়ে চাপ দিয়ে রেখেছি যেন আঠা ভাল করে লাগে।
তারপর তিনটি ভাজ করা কাগজকে আবার আঠা লাগিয়ে জোড়া দিয়েছি এবং কিছুক্ষন এভাবে চাপ দিয়ে ধরে রেখেছি।
তারপর একটি হলুদ A4 সাইজের কাগজ নিয়ে তাকে দুটি সমান ভাগে ভাজ করে মাঝখানে কেটে নিয়েছি। তারপর প্রতিটি কাগজকে আবার হাত দিয়ে ঘুরিয়ে আঠা লাগিয়ে ছবির মত করে নিয়েছি, যাকে আমি পাখার হাতল হিসেবে ব্যবহার করব।
এই পর্যায়ে আমি হাতল এবং পাখার অংশের আঠা শুকানোর জন্য রেখেছি। পাশাপশি আমি একটি গ্লিটারিং কাগজ লাভ শেপে কেটে নিয়েছি যা পাখার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করব।
পাখার অংশগুলো খুলে মাঝে পাখার হাতল দুটি আঠা দিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিয়েছি এবং আঠা শুকানোর জন্য কিছুক্ষণ রেখে দিয়েছি।
এই পর্যায়ে আঠা শুকিয়ে এলে আমি লাভ শেপের গ্লিটারিং কাগজের পিছনের কাগজ খুলে পাখার মাঝখানে লাগিয়ে দিয়েছি। আমার হাতপাখা তৈরি সম্পন্ন হয়েছে।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
মডেল | এ ৫০ এস |
ক্রেডিট | @miratek |
বিষয় | রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো ফ্যান |
যেহেতু এটি আমার প্রথম কাগজ দিয়ে বানানো ডাই প্রজেক্ট সেহেতু আমি আশা করব আপনারা আমাকে সুন্দর মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন। কোন ভুল থাকলে অবশ্যই ধরিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
ওয়াও দারুন রঙিন কাগজের হাতপাখাটা দেখে সত্যি ই অনেক ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছে। এত সুন্দর একটি অরগেমি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমার বানানো রঙিন কাগজের হাতপাখা আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগছে। এই ধরনের অরিগামি আমি আরো বানানোর চিন্তা করছি। ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া,রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি আমার বাংলা ব্লগে প্রথম ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি কথা বলতে কি মিষ্টি রঙের কাগজের সাথে হলুদ গ্লিটার পেপারের সংমিশ্রণে হাত পাখা টি বেশ সুন্দর হয়েছে।ভাইয়া,খুবই নিখুঁতভাবে আপনি রঙিন কাগজ গ্লিটার পেপার দিয়ে হাত পাখা তৈরি করেছেন,আর এই হাত পাখা তৈরি করার প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া, শুভকামনা রইল আপনার জন্য
সবার ডাই পোস্টগুলো দেখে মনে হচ্ছিল পারব। তাই কাগজ এনে বানানোর চেষ্টা। কাগজ যে কিছু নষ্ট হয়নি তা না। তবে সবশেষে মোটামুটি তৈরি করেছি এটাই ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপু উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য।
প্রথম কাগজ দিয়ে তৈরি ডাই পোস্ট হলেও অনেক সুন্দর হয়েছে।এত গরমের দিনে কাজের লাগবে আপনার তৈরি করা ফ্যান।কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট দেখতেছি ইদানীং। আপনার পোস্ট আমার অনেক ভাল লেগেছে।
এই ফ্যান যেন কাজে না লাগে তাই প্রত্যাশা করি কারন তাহলে সারাদিন বিদ্যুৎ থাকেবে না।আমার পোস্ট আপনার ভাল লেগেছে এটাই আমার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ আপু।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা হাতপাখার ডিজাইন টি অসাধারণ হয়েছে। যা দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা আপনার প্রথম হাতের কাজ। এই ধরনের কাজে সত্যিই অনেক দক্ষতার প্রয়োজন আছে যা আপনার মধ্যে আছে ভাইয়া। আশাকরি আপনি আগামীতে আরও অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। সুন্দর হাতপাখা টি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইল।
আমি বেশ কয়েকটি কাগজ দিয়ে আগে চেষ্টা করেছি তারপর বানিয়েছি। এই কাজ করতে গিয়ে দেখলাম একটু মনযোগ দিয়ে করলে সিম্পল কাগজের ডাই সহজে বানানো যায়। ধন্যবাদ আপু।
বাহ ভাই একদম সময় উপযোগী একটি জিনিস বানিয়েছেন।চারদিকে যেহারে লোডশেডিং চলছে তাতে বর্তমানে হাতপাখা খুবই দরকারি।অনেক সুন্দর হয়েছ।মনে হচ্ছে না এটা আপনার প্রথম ডাই প্রজেক্ট। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি হাতপাখা বানানোর পদ্ধতি ধাপে ধাপে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।
জী ভাই এখন এর থেকে জরুরি জিনিস আর নেই আমাদের দেশে। স্টেপগুলো সহজ আছে তাই চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে বানানোর জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
এই গরমে হাতপাখা আসলেই অনেক প্রয়োজনীয়। আপনি রঙ্গীন কাগজ দিয়ে ধাপে ধাপে একটি হাতপাখা বানানোর বিষয়টি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
যেভাবে বিদ্যুৎ যায় প্রতিদিন তাতে হাতপাখার বিকল্প নেই। তবে এই পাখা দিয়ে বাতাস করা যাবে না।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর হাত পাখা তৈরি করেছেন। আসলে হাত-পা তৈরি দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর ভাবে তৈরি করা যায় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি চেষ্টা করেছি ভাইয়া সুন্দরভাবে হাতপাখা তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার বাংলা ব্লগে রঙিন কাগজ দিয়ে এটি আপনার প্রথম ডাই পোস্ট জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। প্রথম ডাইপোস্টটি খুবই চমৎকার বানিয়েছেন ।রঙিন কাগজ দিয়ে হাতপাখা তৈরি করেছেন এটি দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছে। মাঝের লাভ টি দেখতে অনেক বেশি চমৎকার হয়েছে। পরবর্তীতে আপনার কাছে আরো নতুন নতুন ডাই পোস্ট দেখতে পাব আশা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমি চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে পাখা বানিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে জেনে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
রঙিন পেপার ব্যবহার করে আপনি খুব সুন্দর ভাবে পাখা প্রস্তুত করেছেন দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।।
আপনার ভাস করার পদ্ধতিটা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলাম খুবই সুন্দর ভাবে কাজটি করেছেন নিখুঁত হয়েছে।
আপনার প্রস্তুত করা দৃশ্যটি দেখে বোঝারই উপায় নাই যে আপনি এই প্রথম ডাই পোস্ট প্রস্তুত করলেন।।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভবিষ্যতে আরো ভালো ভালো এরকম ডাই পোস্ট আপনার কাছ থেকে আশা করি।।
রঙিন কাগজ ব্যবহার করে খুবই সুন্দর একটি হাতপাখা তৈরি করেছেন আপনি। পাখার উপরের দিকে মাঝখান বরাবর লাভ দেওয়ার কারণে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে। এটি তৈরি করতে আপনার অনেক সময় লেগেছে মনে হচ্ছে। এরকম ডাই পোস্ট তৈরি করতে যেমন ভালো লাগে দেখতেও তেমনি ভালো লাগে। এরকম পরবর্তী পোস্ট দেখার অপেক্ষায় থাকবো।