ফটোগ্রাফি।। কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি।। 10% beneficiary to @shy-fox
আগেও বলেছি বেশ কিছুদিন ধরে অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দিনকাল। আগে দিনের বেলায় পোস্ট করে দিতাম কিন্তু এখন বাসায় এসে চিন্তা করে পোস্ট সিলেক্ট করতে হয়। তারপর সেই পোস্ট রেডি করে প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হয়। আজও বসে ভাবছিলাম কি পোস্ট করা যায়। তেমন কিছু রেডি ছিল না। পি সি তে মোবাইল থেকে নেয়া ছবিগুলো স্ক্রল করতে করতে কিছু ছবি দেখে মনে হল শেয়ার করা দরকার। যেই ভাবা সেই কাজ। আজ আপনাদের সাথে আমার তোলা রেন্ডম কিছু ছবি শেয়ার করছি। আরেকটি কথা বলে রাখি এই ছবিগুলো আমার রিসেনটলি ভেঙ্গে যাওয়া স্যামসাং মোবাইল দিয়ে তোলা। সেই মোবাইল আমি খুব মিস করি। অনেক পছন্দের ছিল। এই মোবাইল এর স্মৃতি নিয়ে অন্য একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
কিছুদিন আগে আমি আমার গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। বাড়ি যেতে যেতে রাত হয়ে গিয়েছিল। গিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছি। সকালে উঠে যখন উঠানে আসলাম দেখি একটি গাছ মনে হয় আকাশ ছুয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমার দেখতে খুব ভাল লাগল। শহরের গাছগুলোর এরকম একা দাড়িয়ে থাকা খুব একটা দেখা যায় না। ঘর থেকে মোবাইল এনে উপরের ছবিটি ফ্রেমবন্দী করে নিলাম।
এই ছবিটিও বাড়িতে গিয়ে তোলা। এই ছবি তোলার পিছনে ছোট একটি ঘটনা আছে। আমাদের বাড়িতে মোটামুটি অনেক গাছ আছে। প্রথম ছবিটি তোলে হাটছিলাম। কখনো পুকরের দিকে তাকাচ্ছিলাম, আবার কখনো গাছের দিকে, আবার কখনো মুরগীগুলোর বিচরণ দেখছিলাম। হঠাত উপরে তাকিয়ে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার কাছে মনে হল একটি বিশাল বাদুর ঝুলে আছে আমার থেকে কয়েক হাত উপরে। দেখি আপনারা বলতে পারেন কিনা এটি কি? তখন মনে হল একটি ছবি তুললে খারাপ লাগবে না। ছবি তুলে দেখি বাদুরের দৃশ্যের পিছনে আকাশসহ ছবিটি দেখতে ভালই লাগছে।
সেদিন বাসা থেকে অফিসের উদ্যশ্যে রওনা দিয়ে বের হয়েছি। নরমালি বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে টিকাটুলি পর্যন্ত যেয়ে অফিসের ট্রান্সপোর্ট এ উঠি। কিন্তু সেদিন বের হয়ে দেখি হাতে অনেক সময় আছে মানে আমি একটু আগেই বের হয়ে গিয়েছি। তা ভাবলাম সময় যেহেতু আছেই শুধু শুধু ৩০ টাকা রিকশা ভাড়া না দিয়ে আজ হেটে যাই। হাটত হাটতে বল্ধা গার্ডেনের পাশে যেতেই মনে হল যেন কতদিন এই গার্ডেন দেখিনা অথচ প্রতিদিন এই গার্ডেনের পাশ দিয়ে যাই। এই বল্ধা গার্ডেনের আবার বিশাল ইতিহাস। এ নিয়ে অন্য একদিন বলব শুধু এতটুকু বলি এই গার্ডেনে শত বছর পুরনো গাছ আছে এবং অনেক দুর্লভ কিছু গাছ আছে। যাই হোক বাহিরের দিক থেকে বল্ধা গার্ডেনের দেয়াল সহ একটি ছবি তুলে নিলাম। বল্ধা গার্ডেনে এর দুটি অংশের একটিতে ঢুকা যায় তবে টিকেট কেটে ঢুকতে হয়।
সেদিন যাত্রাবাড়ী ফ্লাই ওভার দিয়ে হেটে নামছিলাম। বেশ অনেক জায়গা হেটে নামতে হয় নিচে। হাটতে হাটতে আকাশের দিকে তাকাতে ভাল লাগল। হঠাত দেখি আকাশে ছোট কি যেন দেখা যায়। পরে বুঝতে পারলাম কি এটা। সাথে সাথে ছবি তুলে নিলাম। যদিও এখানে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না তবে আমি বলি সেটি ছিল একটি বিমান।
ফ্লাইওভার দিয়ে কিছুক্ষন হাটার পর সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। তখন দেখি ল্যাম্প পোস্ট গুলো একসাথে জ্বলে উঠল। দেখে ভাল লেগেছে তাই একটি ছবি তুলে নিলাম।
ফ্লাইওভার দিয়ে নামার সময় সায়েদাবাদের ঠিক উপরের অংশ পার হব এই সময় রেললাইনের দিকে চোখ পড়ল। কিছুক্ষন তাকিয়ে দেখলাম রেললাইনে মানুষের হাটাহাটি, বাচ্চাদের খেলা। হঠাত দয়াগঞ্জের ওদিক থেকে এক ট্রেন আসছিল আর সবাই তাড়াতাড়ি করে রেললাইনের পাশে চলে যেতে লাগল। তখন কয়েকটি ছবি তুলেছি কিন্তু রেলসহ ছবিগুলো খুব ঝাপ্সা এসেছে তাই দূরে থাকা রেলের ছবি শেয়ার করলাম। রাতের বেলায় ছবি এমনিতেই একটু ঘোলা আসে।
সেদিন গিয়েছিলাম ধানমন্ডি ১০/এ তে। রিকশা করে যাচ্ছিলাম। জিগাতলা পার হওয়ার সময় রাস্তা এত ফাকা দেখে খুব ভাল লাগল। আগে যখন এদিক দিয়ে ইউনিভার্সিটি যেতাম তখন জ্যামে এই জিগাতলায় এক থেকে দেড় ঘন্টা বসে থাকতে হত। ফাকা রাস্তা দেখে একটি ছবি তুলে নিলাম। অবশ্য সেদিন শুক্রবার ছিল।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
মডেল | এ ৫০ এস |
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
ক্রেডিট | @miratek |
আশা করি আমার শেয়ার করা ছবিগুলো আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে। আসলে ফটোগ্রাফি করতে ও দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। বাদুরের দৃশ্যের পিছনে আকাশসহ ছবিটি দেখতে ভালই লাগছে।বল্ধা গার্ডেনের দেয়ালসহ ছবি দেখলাম,এর ইতিহাস হয়তো পরবর্তীতে জানবো।ধন্যবাদ
আপনার ভাবনাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করে অনেক ভালো করেছেন ভাইয়া। না হলে এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছেই থেকে যেত আমরা দেখতে পেতাম না। আসলে ভাইয়া আপনার শেয়ার করা গাছটি দেখে মনে হচ্ছে যেন আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল ।রাতের বেলার আলোক বর্ষণ যেটা সত্যিই অনেক সুন্দর এবং উপভোগ্য। যেটা করতে আমিও পছন্দ করি এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এটা কি জানিনা তবে আমার কাছেও কেন জানি মনে হচ্ছে এটি বাঁদূর। আশা করি আপনি এর সঠিক টা আমাদেরকে জানাবেন। যাইহোক তাছাড়া সবগুলো ফটোটাকে বেশ সুন্দর হয়েছে। ঠিক করেছেন ৩০ টাকা রিক্সা ভাড়া না দিয়ে প্রকৃতি টাকে হাঁটতে হাঁটতে খুব সুন্দর উপভোগ করেছেন।
আপনি ঠিক বলেছেন সময়ের অভাবে আমাকেও কি পোস্ট করব কি পোস্ট করব না এটা ভাবতে ভাবতে অনেক সময় চলে যায়।শেষমেষ পোস্ট রেডি করে, ছবি আপলোড করে এটা আবার প্ল্যাটফর্মে দিয়ে পোস্ট করতে অনেক সময় চলে যায়।ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।দেখে ভালো লাগলো। আশা করি ভবিষ্যতে আরো খুব সুন্দর কিছু আপডেট ফটোগ্রাফি আমাদেরকে দিতে পারবেন।
আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি খুবই মুগ্ধ হলাম। মনে হচ্ছে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের ফটোগ্রাফি দেখছি।ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে সাথে আমাদের মাঝে খুব চমৎকার বর্ণনার উপস্থাপন করেছেন। আপনার পুরো পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
আপনাদের এই সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। ট্রেন আসার দৃশ্য টা দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। আকাশের ছবি সব সময় ই আমার ভাল লাগে।আর হে মোবাইল নিয়ে স্মৃতি লিখে জানাবেন।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু
সাবজেক্ট নির্বাচন অনেক ইম্প্রুভ হয়েছে ভাই।ছবি গুলোও সুন্দর ছিল।বেশ ভালভাবেই সাবজেক্টকে ফুটিয়ে তুলেছেন।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর ফটোগ্রাফ গুলো শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফি গুলো মোটামুটি ছিল তবে বর্ণনা চমৎকার ছিল।আর সবগুলো ফটোগ্রাফির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জোস ছিল 5 নম্বর ফটোগ্রাফি টি।