এক বৃষ্টিস্নাত গোধূলি লগ্নের মুহূর্ত।। @miratek
সাধারনত আমার অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় কিছু না কিছু কেনাকাটা থাকেই। সেটা হতে পারে ডাল, হতে পারে মেচ বক্স, হতে পারে শাক-সবজি। আজ বাসা থেকে চাহিদা আসছে চাপাতা। মুদি দোকান আমার বাসা থেকে একটু দূরে। আমি যখন মুদি দোকানে চাপাতা কিনতে যাই তখন একদম শেষ বিকেল। আকাশ কিছুটা মেঘলা। চাপাতা কিনে বাসার দিকে রওনা দিলাম দেখি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নামছে। তাড়াহুড়ো করলাম না। আগের মতই হেটে চললাম। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টির পরিমান বেড়ে গেল। একদম ঝুম বৃষ্টি না তবে ভিজে যাওয়ার মত অবস্থা। এত গরমের মধ্যে একটু বৃষ্টি পেয়েছি লুকিয়ে থাকলে হবে? আমি হেটেই চলেছি। জ্বর আসবে আসুক পরে দেখা যাবে। কানে হেডফোনটা আগেই লাগানো ছিল। গান শোনতে শোনতে মনের আনন্দে ভিজে হেটে চললাম।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
মডেল | এ ৫০ এস |
ফটোগ্রাফার | @miratek |
বাসার সামনে গিয়ে দেখি চায়ের দোকান টা খোলা। কি যে খুশি হয়েছি বলে বোঝাতে পারব না। দোকান টা ছোট। রাস্তার একদম পাশে হওয়াতে দাঁড়ানোর জায়গাটাও নেই। অন্যদিন চা খেলে চায়ের দোকানের পেছনে একটু খালি যায়গা আছে সেখানে চা হাতে নিয়ে চলে যাই কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে কখনো চা খাইনি। বৃষ্টির সময় চা খেলে হয় মাথায় ছাতা ছিল অথবা উপরে ছাদ ছিল। কোন একদিন চেষ্টা করতে হবে। যাই হোক মামাকে বললাম এক কাপ চা দাও। উনি জানে আমি কি চা খাই। এখানকার মালাই দুধ চা আমি বেশি খাই। চা হাতে পেলাম। দোকানের একটু বাড়তি অংশ আছে তার নিচেই দাড়ালাম, যেহেতু আর কেউ নেই দাড়াতে সমস্যা হয়নি। গরম ধোঁয়া উড়ছে চায়ের কাপ থেকে। চায়ে চুমুক দিতেই কি যে এক ফিলিংস এসেছে বলে বোঝাতে পারব না।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
মডেল | এ ৫০ এস |
ফটোগ্রাফার | @miratek |
চা খেতে খেতে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলাম। দেখছিলাম আমার মত পাগল আর আছে কিনা। তা দেখতে গিয়ে আমি মজার কিছু দৃশ্য দেখেছি এবং ছবি তোলেছি যা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। ছবি তোলতে গিয়ে মোবাইলে পানি পড়ছিল তাই সব ছবি ভাল করে তোলতে পারিনি আর ছবি তোলার পর খেয়াল করলাম বৃষ্টির কারনে ছবিগুলো কিছুটা অন্ধকারময় এসেছে।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
মডেল | এ ৫০ এস |
ফটোগ্রাফার | @miratek |
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভ্যানে করে ফল বিক্রেতা তার ফলসহ ভ্যান ফেলে এক বাসার সানসেটের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। তার আর আজ মনে হয় বিক্রি ভাল হবে না।যদিও ফলের পরিমাণ দেখে মনে হচ্ছে বেশিরভাগ ফলই বিক্রি করেছে।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
মডেল | এ ৫০ এস |
ফটোগ্রাফার | @miratek |
মা আর ছেলের এক অপরুপ দৃশ্য আমি ক্যামেরাবন্দী করেছি। একই ছাতার নিচে মা ছেলে যাচ্ছে। লাল ছাতায় মনে হচ্ছে ছবিটা ফুটে উঠেছে। মা সন্তানের যে অটুট এক বন্ধন তা কিন্তু এখানে স্পষ্ট। মা ছাতার এক প্রান্তে থেকে (আমি দেখছিলাম উনার একপাশ ভিজে যাচ্ছিল) বাকি বেশিরভাগ জায়গা দিয়ে রেখেছে ছেলেকে যেন সে ভিজে না যায়।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
মডেল | এ ৫০ এস |
ফটোগ্রাফার | @miratek |
এখানে এক রিকশাওয়ালা ভাই বৃষ্টির মধ্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছে যেন রিকশা চালানো বন্ধ না হয়। ছবি দেখে বোঝা যায় সে মাথায় পলিথিন বেধে তার উপর গামছা বেধে এই বৃষ্টির মধ্যে নেমে পরবে রিকশা চালাতে। হয়ত আজ রাতে খাওয়ার জন্য যত টাকা দরকার তা এখনো পায়নি।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
মডেল | এ ৫০ এস |
ফটোগ্রাফার | @miratek |
এই ছবি দেখে মনে হচ্ছে এই ব্যক্তি বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় দরকারী কোন কিছু করতে যাচ্ছে।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
মডেল | এ ৫০ এস |
ফটোগ্রাফার | @miratek |
সন্ধ্যা হওয়ার আগে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের লাইট জ্বলে উঠল। এই দৃশ্য দেখেই মনে হল সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। তাড়াতাড়ি চা শেষ করে বিল দিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
ডিভাইস | স্যামসাং |
---|---|
মডেল | এ ৫০ এস |
ফটোগ্রাফার | @miratek |
বাসায় ঢুকার পথে এই ছবি তুলেছি। বাসার চিকন গলির রাস্তা বৃষ্টির পানিতে চিক চিক করছে।
আজ এই পর্যন্তই। আবার আসব নতুন কিছু নিয়ে। আশা করি আমার এই মুহূর্তগুলো আপনাদের ভাল লাগবে।
আমি মীর আতিক আল ফারুক। আমি বাংলায় বলতে, লেখতে ও পড়তে ভালবাসি। বাংলা আমার অহংকার। বাংগালী হিসেবে আমি গর্বিত।