রিভিউ। রয়াল কিচেনে চাপ খাওয়া। 10% beneficiary to @shy-fox
রেস্টুরেন্টের নাম রয়াল কিচেন ক্যাফে এন্ড বার বি কিউ। এই রেস্টুরেন্টে আসলে যাওয়ার কথা ছিল না। একদিন আমার এক রিলেটিভ বলল লার্মিনী স্ট্রীটে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছে সেখানে একদিন যেতে পারেন। তাই সেদিন এই রেস্টুরেন্টে যাওয়া। রেস্টুরেন্টের বাহিরের গেট আপ দেখে ভালই মনে হয়েছে। আগে গ্রিল চাপের হোটেলগুলো একটু সিম্পল বা পুরনো ধাঁচের হত কিন্তু ইদানিং এই দোকানগুলোও অনেক চাকচিক্য করে ।
রেষ্টুরেন্টে ঢুকে মনে হল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ এসেছি কিন্তু আসলে এটা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট না। ভাবার কারণ হচ্ছে ভেতরের ইন্টেরিয়র এবং সিটিং এরেঞ্জমেনট। রেস্টুরেন্টের ভিতরে সুন্দর সোফা সাজিয়েছে কাস্টমার বসার জন্য। দেয়ালে সুন্দর ওয়ালপেপার লাগিয়েছে । কাঠ দিয়ে সুন্দর গোল্ডেন কালারের ফ্রেমের জন্য আরো সুন্দর লাগছে। পুরো একটি দেয়াল জুড়ে মিরর দেখে আমার মেয়ে মিরর এর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, তাকে কোন ভাবেই আনা যাচ্ছিল না । যখন টেবিলে খাবার এসেছে তখন সে এসেছে।
কিছু পেইন্টিং এর ছবি দেখে ভাল লাগল। রেস্টুরেন্টের মালিকের রুচি আছে বলা যায় কারণ এই গ্রিল চাপের রেস্টুরেন্টে পেইন্টিং ঝুলানো দূরের কথা ডেকোরেশন ও করে না।
এক কোণে দেখলাম সুন্দর ফুল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। আরেকটি বিষয় ভাল লেগেছে প্রতিটি সিটিং এর উপরের দিকে স্পট লাইটের অপশন রেখেছে। আমার কাছে ভিতরের ইন্টেরিয়র দেখে অনেক পছন্দ হয়েছে ।
এখানে ইউনিক একটি ব্যাপার দেখলাম সেটি হচ্ছে একটি সিংগেল পারসন এর বসার জায়গা করেছে। আমার কাছে ব্যাপারটি দেখে খুব কিউট মনে হল।
খাবার অর্ডার করার পূর্বে একটু দেখে নিলাম কি কি আছে । যা পাওয়া যায় তার কিছু ছবি শেয়ার করছি। তবে আমরা যেহেতু মুরগীর চাপ খেতে গিয়েছিলাম সেহেতু চাপ অর্ডার করেছি।
এরই মধ্যে চাপ আর রুটি অর্ডার করেছিলাম। ছবি তুলতে তুলতে খাবার চলে এসেছে। আসলে অনেক ক্ষুধা ছিল আর তাই ভাল করে ছবি তোলা হয়নি। তাও কিছু ছবি তাড়াহুড়ো করে তুলেছি এবং তা শেয়ার করছি।
সবসময় মুরগীর চাপ আস্ত খেয়ে থাকি । কিন্তু এবার একটু ভিন্নরকম করে প্রসেস করা চাপ খেয়েছি। আমার কাছে খাবার খুব ভাল লেগেছে। রুটি ও খুব সফ্ট ছিল। এখানে চাপ অন্যান্য জায়গার মতই ১০০ টাকা করে রাখে আর রুটি ২০ টাকা করে।
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ |
---|---|
বিষয় | রেস্টুরেন্ট রিভিউ |
লোকেশন | ওয়ারী, ঢাকা |
ক্রেডিট | @miratek |
আশা করি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
অতিশয় লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আর এই রেসিপি বর্ণনা পড়ে তো বুঝতে পারলাম খুবই ভালো লাগার একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ওখানে। আমিও কিছুদিন আগে মারুফের সাথে গিয়েছিলাম চিকেন ফ্রাই খাওয়ার জন্য। তবে এমন উন্নত জায়গায় যাওয়া হয়নি। তাই লোভনীয় অনুভবটা থেকে গেল মনের মধ্যে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চাপ খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। তবে মাঝে মাঝে বাসায় তৈরি করা হয়। আমার বোন বেশ ভালোভাবে বাসায় তৈরি করতে পারে।
রেস্টুরেন্টের ভেতরের পরিবেশ এবং সাজিয়ে রাখা পেইন্টিং গুলো সত্যি অনেক সুন্দর। ভেতরটা একেবারে সাজানো গোছানো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। আস্ত মুরগির চাপ এর চেয়ে প্রসেস করা চাপ খেতেই বেশি ভালো লাগে। ভাইয়া আপনার শেয়ার করা রেস্টুরেন্ট রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
ভিতরের ইনটেরিয়র ডিজাইন পুরাই দারুণ। চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকেও পারফেক্ট। মালিকের যে ভালো রুচি দেয়ালের পেইন্টিং দেখেই বুঝা যাচ্ছে। যে কাউকে রেস্টুরেন্ট এর ভিতরের ডিজাইন আকর্ষণ করবে।
চাপ আমার অনেক বেশি পছন্দ মাঝেমধ্যে আমরা হোটেলে গিয়ে খাই যদিও রয়েল কিচেনে কখনো যাওয়া হয়নি। বা হবে কিনা তাও জানিনা। তবে রয়েল কিচেনের আর্কিটেকচারাল ডিজাইন গুলো খুবই চমৎকার লাগলো।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে রিভিউ আকার তুলে ধরার জন্য।
খাবারের থেকেও ভেতরের পরিবেশটা খুব সুন্দর ছিল।আসলে রেস্টুরেন্টের ভেতরকার পরিবেশ সুন্দর হলে বসে খাওয়ার ইচ্ছাটাও প্রবল হয়। তবে এক পিস রুটি ২০ টাকা, এটা একটু বেশি হয়ে গেছে।