ঘুরাঘুরি। অনেক বছর পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। 10% beneficiary to @shy-fox
মেলায় যখন পৌঁছাই তখন ৯:৩০ বাজে। মেলার স্টল খোলা হয় ১০ টা থেকে। ক্ষুধা লেগেছিল তাই সকালের নাশতা সেরে নিলাম। তারপর ১০ টা বাজে মেলার টিকেট কেটে নিলাম ৪০ টাকা করে প্রতি জন।মেলার গেট দিয়ে ঢুকে দেখলাম বিশাল এক সম্মেলন কেন্দ্র।
কেন্দ্রের ভিতরে এবং বাহিরে দুই জায়গাতেই স্টল বসেছে। আমরা ডিসিশন নিয়েছি আগে মেলার বাহিরের স্টল গুলো ঘুরে দেখব। ডান দিক থেকে দেখা শুরু করলাম। সকালে এসেছি তাই লোকজন কম ছিল। আসলে এত স্টল বসে সব স্টলের রিভিউ দেয়া ত সম্ভব নয়। আমি স্পেশাল এবং পরিচিত কিছু দোকান এবং পণ্যের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ থাকে এই দিল্লি এলুমিনিয়াম এর পন্য। দেখতে যেমন সুন্দর দাম ও অনেক বেশি। কিন্তু দেখলে এত লোভ জেগে যায় যে না কিনে থাকা যায় না। যখনই মেলায় যাওয়া হয় এখান থেকে কিছু কেনা হবেই। প্রতিবার আমাদের সংসারের জন্য কিনি এবার প্রথম মেয়েকে নিয়ে মেলায় গিয়েছি তাই তার জন্য কিছু জিনিস কিনেছি।
হোমট্যাক্স এর অনেক শোরুম মেলায় থাকে এর মধ্যে একটির ছবি আমি শেয়ার করেছি। ইরানি শোরুম প্রতি বছরই থাকে।
উপরের দোকানে খুব সুন্দর ফ্লোর ম্যাট, পাপস এবং অনেক গর্জিয়াস ম্যাট দেখা যাচ্ছে।
একটি স্যুট এবং কটির দোকানের চিত্র। এখান থেকে যেকোন কালারের কটি কিনতে পারবেন ।
উপরের ছবি দুটির সব জিনিস পার দিয়ে তৈরি। দেখুন কত সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করেছে পাট দিয়ে অথচ আমাদের পাট শিল্প আজ বিলুপ্ত প্রায়।
উপরের ছবিগুলোতে বোঝা যাচ্ছে মেঘনা গ্রুপ অনেক সুন্দর সাজিয়েছে তাদের শোরুম।
মেলায় যাব আর আর এফ্ এল্ এবং বেঙ্গল প্লাস্টিকের শোরুমে যাব না টা কি হয়। দুটি দোকানেই ১৫% করে ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। মোটামুটি অনেক জিনিস কিনে নিলাম। কারণ তাদের জেনারেল শোরুম গুলোতে কোন ডিসকাউন্ট দেয় না।
তারপর গেলাম নেসলের শোরুমে এবং সেখানে বাচ্চাদের খেলার জায়গা দেখে আমার মেয়ে গিয়ে লাফিয়ে পড়ল। নেসলে এবং টেস্টি ট্রিট থেকে কিছু খাবার কিনে খেলাম।
বাহিরের স্টলগুলো আরো কিচুক্ষণ ঘুরে মেয়ের জন্য পুতুল আর কিছু খেলনা কিনলাম। তারপর ভাবলাম বাহিরের অনেক স্টল ত ঘুরেছি এবার ভিতরে কি আছে দেখা যাক।
ভিতরের স্টলে ঘুরে খুব একটা ভাল লাগেনি কারণ আগের বাণিজ্য মেলায় সব স্টল বাহিরে ছিল। তারপরও দেখার জন্য কিছুক্ষণ ঘুরলাম।
বাহির হয়ে মনে হল মেলায় এত সুন্দর সুন্দর আইস্ক্রিম শপ আসে এবং বিভিন্ন দোকানের আইস্ক্রিম টেস্ট করে দেখা হয়। এখন যেহেতু শীত এবং আমার ঠান্ডা লেগে আছে তাই ভাবছিলাম আইস্ক্রিম খাব না। পরে আর লোভ সামলাতে পারলাম না। পরিবারের দুজনকে ইগলুর চকলেট কোন আইস্ক্রিম কিনে দিয়ে আমি গিয়েছিলাম সেভয় এর নতুন ফ্লেভার টেস্ট করব বলে কিন্তু আমার কাছে ভাল লাগেনি।
সবশেষে একটি খালি জায়গায় কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে তারপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। এই খালি জায়গাতে চেয়ার রাখা হয়েছে যেন দর্শনার্থীরা বসে রেস্ট নিতে পারে। আসার সময় সরাসরি সি এন জি পেয়ে গিয়েছি। আমি আর মেয়ে রাইম বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম।
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ |
---|---|
বিষয় | ঘুরাঘুরি |
ক্রেডিট | @miratek |
What3words location | https://what3words.com/tasty.deflated.beak |
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বলতে এমন একটি জায়গা কে বুঝায় যেখানে মন ভোলানো অনেক কিছুর সমাহার থাকে যেখানে চোখ ধাঁধানো বিভিন্ন সামগ্রী দেখতে পাওয়া যায়। আপনি তো বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আমার মনে হয় সবকিছুর মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগার একটা অনুভূতি পার করেছেন আইসক্রিম খাওয়ার মধ্য দিয়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বর্ণনা করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বলতে এমন একটি জায়গা কে বুঝায় যেখানে মন ভোলানো অনেক কিছুর সমাহার থাকে যেখানে চোখ ধাঁধানো বিভিন্ন সামগ্রী দেখতে পাওয়া যায়। আপনি তো বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আমার মনে হয় সবকিছুর মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগার একটা অনুভূতি পার করেছেন আইসক্রিম খাওয়ার মধ্য দিয়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বর্ণনা করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
স্মার্ট কাজ যারা করে তারাই তো স্মার্ট । নিজের ঢোল নিজেই পেটালেন হাহাহা। মেলা স্থান সরিয়ে নেয়ার পর আমার আর যাওয়া হয়নি। আমার কাছে মনেহয় আগের জায়গাটেই মেলার জন্য ভালো ছিল। অতদুর গিয়ে মেলা দেখতে ইচ্ছে করেনা। আপনার লেখা বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলছেন ভাইয়া সবার ক্ষেত্রে একই রকম অবস্থা দিন যত যাচ্ছে কাজের চাপ তত বেশি বেড়ে যাচ্ছে।করার কিছু নেই যত অবহেলা করব ততই কাজের চাপ বেড়ে যাবে তাই ফেলে না রেখে রুটিন অনুযায়ী কাজ করে ফেললে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।মাঝে মাঝে যদি এভাবে পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হয় তাহলে মনের মধ্যে কিছুটা হলেও চাপ কমে যায় ভালো লাগে।আমরা যখন গিয়েছিলাম ঢাকায় তখন বাণিজ্য মেলা দেখি নাই তবে আপনার ফটোগ্রাফি মাধ্যমে দেখে আফসোস হচ্ছে।দারুন একটি মেলায় আনন্দ উপভোগ করছেন এবং শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বানিজ্য মেলায় অনেক বছর হয় যাই না। আপনি পরিবার নিয়ে গেলেন দেখে খুব ভাল লাগলো। আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখে নিলাম।দেখে মনে হয় এখন কার পরিবেশ একটু বেশি ভাল। আপনার মেয়ে তো দেখছি খুব আনন্দে আছে ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
আমার মনে হচ্ছে ওয়ারী থেকে বেশ কম টাকায় আপনারা সিএনজি পেয়েছেন।তারপর বিআরটিসিএর ডাবল ডেকারে করে আপনারা মেলায় পৌঁছান সকাল ৯.৩০ মিনিটে। তার মানে আপনারা সকাল ৮.০০ মধ্যে মেলার জন্য বাহির হয়েছেন। যাক অবশেষে আপনারা ১৮০০ টাকার ভাড়া ৩৫০ টাকায় গেলেন। ছক্কা তো মারলেন। ভাইয়া আমার ভাল লাগছে যে, আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলা আমার শ্বশুর বাড়ির কাছে হচ্ছে। মেলার দিল্লী প্যাভেলিয়ান, আর এফ এল এর শোরুম, নেসলে শোরুম এ্বং হুম টেক্স সহ অনেক প্যাভিলিয়ন তো ঘুরলেন। দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেশ মজা করেছেন। তবে একটি কথা আসিক্রীম তো খেলেন কিন্তু আইসক্রীম ড্যান্স তো দিলেন না। হা হা হা
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গত বছরও এই জায়গাতেই বাণিজ্য মেলা হয়েছিল। আমি গত বছর গিয়েছিলাম। এবার যাওয়ার তেমন কোন প্ল্যান নেই। গত বছরে ভালো অভিজ্ঞতার পাশাপাশি খারাপ কিছু অভিজ্ঞতাও হয়েছিল। যাইহোক পরিবারের সবাই মিলে বেশ সুন্দর কিছু সময় পার করেছেন। এই বাণিজ্য মেলায় সব কিছুর দামই আকাশ ছোঁয়া। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।