কফি লাইম জ্যুস এন্ড স্মুদি কর্নারের এর রিভিউ।। 10% beneficiary for @shy-fox

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। প্রতিদিনের মত আজও এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম লালবাগ কেল্লা ঘুরতে। রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। যেতে যেতে বিকেল ৪ঃ৪০ বেজে গিয়েছিল। আমি জানতাম ৬টা পর্যন্ত সময় আছে। কিন্তু যাওয়ার পর শুনলাম ৫টা বাজে কেল্লা বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের আর টিকেট দেয়নি। যাওয়ার সময় আবার আরেক কান্ড। উবার নিয়ে গিয়েছিলাম। যখন উবার ঠিক করি তখন ডিসপ্লে তে ভাড়া দেখাল ২৮২ টাকা, আর যখন ভাড়া দিতে যাব তখন ডিসপ্লে তে আসল ৪৫০ টাকা। এই যে ১৬৮ টাকা কোন নোটিশ ছাড়াই বেশি তার কোন জবাব নেই। ড্রাইভার কে জিজ্ঞেস করাতেই উত্তর আসে কোম্পানিকে ফোন দেন। আমি জানি সেখানে ফোন দিলেও অনেক নিয়ম কানুন বুঝিয়ে দিবে, এইজন্য আর বাড়তি ঝামেলায় যাইনি। তবে ফেরার পথে সেই বাড়তি ভাড়া পোষানোর জন্য এক রিকশা করে তিনজন এসেছি সেই লালবাগ থেকে ওয়ারি তে মাত্র ১৫০ টাকায়। যাই হোক অপ্রাসঙ্গিক হলেও মনের কষ্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম, শান্তি লাগছে। এই একরাশ মন খারাপ নিয়ে চলে এলাম নিজের এলাকা ওয়ারি তে। সবার চেহারা মুখে অন্ধকার। এই অবস্থায় বাসায় চলে গেলে মন আরও খারাপ হয়ে যাবে।

তাই ভাবলাম কিছু একটা খেয়ে তারপর যাই। তারপর একটি জ্যুস বারে ঢুকলাম। আমি আজ সেই জ্যুস বারের রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। জ্যুস বারের নাম কফিলাইম জ্যুস এন্ড স্মুদি কর্নার।
কথা বলে জানতে পারলাম এই দোকানের বয়স প্রায় ৪০ বছর।

জ্যুসের দোকান খুব বেশি বড় না। ঢুকতেই সুন্দর কিছু জ্যুসের ছবিসহ ওয়ালপেপার দেখা যায়। তার ছবি আমি উপরে শেয়ার করেছি। এই ওয়ালপেপার গুলোর দিকে তাকালেই খুব খেতে ইচ্ছে করে। তৃতীয় ছবিটিতে এই দোকানের যেগুলো একদম স্পেশাল তার ছবি দেয়া আছে।

তারপর ভিতরের পরিবেশটা ভাল করে দেখে নিলাম। এখানে যারা কাজ করছে তাদের দেখা যাচ্ছে। সবাই ড্রেস কোড মেইনটেইন করেছে। তাদের মেশিনারি গুলো এবং খাবার বানানোর মেটেরিয়ালস একদম সামনেই আছে। কেউ যেন হাইজিন নিয়ে প্রশ্ন না করতে পারে সে কারনেই হয়ত একদম ওপেন প্লেসে সব বানাচ্ছে। আমি খেয়াল করলাম সত্যিই অনেক পরিষ্কার।

আমি ঢুকেই মেন্যু কার্ড চেয়েছি দেখার জন্য কি খাওয়া যায়। মেন্যু কার্ড এ অনেক কিছুর অপশন আছে। কোনটা ছেড়ে কোনটা খাব তাই নিয়ে দিধাদন্দতায় ভুগছিলাম।

আমার মেয়ের জন্য একটি ম্যাংগু জ্যুস অর্ডার করলাম। আর আমার জন্য চকোলেট হট কফি অর্ডার করলাম। এখানে সাইজ বুঝার জন্য পানি দিয়ে বিভিন্ন সাইজের গ্লাস পানি দিয়ে ভরা আছে।

আমার মেয়ে অনেক মজা করে তার জ্যুস খেল। আমিও মাথা ব্যথার কারনে কফিটা মিস করছিলাম। তাই মজা করে একদম হট কফি খেয়ে নিলাম।

এই জ্যুস এর দোকানে মজার একটি জিনিস দেখলাম সেটি হল এরা রুস্টেড কাজু বাদাম বিক্রি করে যা খুব মজার।


যদিও ঘুরাঘুরি এঞ্জয় করতে পারিনি কিন্তু কিছুটা প্রশান্তি আমরা পেয়েছি এই জ্যুস বারে ঢুকে। তারপর হেটে হেটে বাসায় চলে এসেছি। বাসায় এসে আমি আশ্বস্ত করলাম খুব শীগ্রই আমরা আবার যাব লালবাগ কেল্লায়।

ডিভাইস	স্যামসাং
মডেল	এ ৫০ এস
ফটোগ্রাফার	@miratek
লোকেশন	(https://what3words.com/trophy.clasping.groups)
বিষয়	জ্যুস বার রিভিউ

আজ এই পর্যন্ত। আবার আপনাদের সামনে আসব নতুন কোন টপিক আর নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। ধন্যবাদ সবাইকে।