সাদা মানুষ || নাটকের রিভিউ || 10% Beneficiary To @shy-fox
আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুরা,
আমি বাংলাদেশ থেকে @mdsamad
আজ শনিবার, অক্টোবর ০৯/ ২০২১
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি বাংলা নাটক রিভিউ করবো। আমার রিভিউ করা বাংলা নাটকের নাম হলো " সাদা মানুষ"।
🎥"সাদা মানুষ"🎥
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাটকের নাম | সাদা মানুষ। |
---|---|
পরিচালক | সুমন আনোয়ার। |
অভিনয় | মোশাররফ করিম, ফারিয়া শাহরিন, সাহেদ আলী, সাইকা, মোশাররফ হোসেন আবুল। |
দৈর্ঘ্য | ৩৮ মিনিট। |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ২২.০৫.২০২১ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপঃ
নাটকের সারসংক্ষেপঃ
নাটকে মোশারফ করিমের নাম থাকে কামাল এবং তার নায়িকার নাম থাকে পলি । সর্বপ্রথম নাটকে দেখতে পাই যে মোশারফ করিম গ্রামের রাস্তা ধরে হাঁটছে। এই সময় এক মুরুব্বী চাচা সাথে তার দেখা হয়। এবং সেই চাচা তাকে বলে যে তুমি গত পাঁচ দিন ধরে বাসায় ছিলে না। তোমার মা খুব চিন্তিত করছে। এবং আরো জিজ্ঞেস করে তোমার সাথে এই মেয়েটিকে। তখন মোশারফ করিম বলে যে এর নাম পলি আর গত রাতে তার সাথে পরিচয়। চাচা তার সম্পর্কে জানতে চাই বলেই স্টেশন থেকে পরিচয় আর তাই বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বাসায় কয়েক দিন থাকবে। এই কথা বলার পর চাচা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং বলে যে তার কোনো পরিচয় নেই। সে স্টেশনে থাকে তুমি তো বেশ খারাপ হয়ে যাচ্ছ । এভাবে তো চলতে দেয়া যাবে না। এবং গ্রামের মধ্যে এভাবে যাকে তাকে নিয়ে আসা যাবে না। এ কথা বলে তাদের মধ্যে হালকা মনোমালিন্য হয়। তারপরও মোশারফ করিম বলে মেহমান হিসাবে আমি তাকে নিয়ে এসেছি আমার বাসায় নিয়ে যাব। এবং বেশ কয়েকদিন তাকে রাখবো তারপর দিয়ে আসবো। মেহমানকে এখন নিয়ে এসে এখন আবার দিয়ে আসা যাবেনা। চাচা রাগান্বিত হয়ে তাদের পথ ছেড়ে চলে যায় এবং মোশারফ করিম তখন তাকে নিয়ে বাসায় চলে যায়।
বাসায় নিয়ে গিয়ে প্রথমে তার মায়ের সাথে তাকে সাক্ষাৎ করে দেয় এবং বিস্তারিত ঘটনা তার মাকে খুলে বলে। এই মেয়েটা থাকে স্টেশনে। গতরাতে তার সাথে আমার পরিচয় এবং তাকে আমি একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তাই তাকে বাসায় নিয়ে এসেছি এবং তাকে ভালো করতে চাই। তার মা তখন তার সমস্ত কিছু মেনে নিয়ে তাকে সাদরে ঘরে আদর আপ্যায়ন করতে থাকে।
কিন্তু অপরপক্ষে দেখা যায়। গ্রামে সেই মুরুব্বী চাচা। গ্রামের সমস্ত লোককে বলে বেড়াচ্ছে মোশারফ করিমের নষ্ট মেয়েকে গ্রামে নিয়ে এসেছে এবং সে তার বাসায় তুলেছে এই বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারছে না। যে কোন ভাবেই হোক মেয়েটিকে আমাদের গ্রাম থেকে তাড়াতে হবে। এই কথা বলে গ্রামের মানুষজনকে একসাথে জড়ো করতে থাকে।
এবার নাটকে আমরা দেখতে পারি। গ্রামের বেশ কয়েকজন মানুষ মিলে মোশারফ করিমের বাড়িতে আছে। এবং বাসার বাইরে থেকে চিৎকার করে বলতে থাকেন ঐ মেয়েকেই বাসায় রাখতে দেওয়া যাবে না। যেভাবেই হোক মেয়েকে বিতাড়িত করতে হবে এ কথা শোনার পর মোশারেফের মা বাসা থেকে বের হয়ে আসে এবং বলে যে এ হলো আমার বাসার মেহমান। আমি চাইলে রাখতে পারি আবার বের হয়ে যেতে বলতে পারি। তোমরা বলার কে এবং আমি চাই আমার বাসায় থাক। এই সব কথা বলার সাথে সাথে সবাই চুপ হয়ে যায় এবং তার কিছুক্ষণ পর সবাই সেখান থেকে চলে যায়।
পরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পারি যে গ্রামের সকল মানুষ মিলে গ্রামের এর চেয়ারম্যান এর কাছে গেছে এবং গিয়ে বলে যে মোশারফ সাহেবের বাড়ি যে মেয়েটি আছে সে ভাল না। রাস্তার মেয়ে না খারাপ মেয়ে। তার মতন মেয়ে আমাদের গ্রামে থাকতে পারেনা। এই সব বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরে। চেয়ারম্যান তখন তাদের কথায় শুনে বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে মোশারেফের বাড়িতে আসে। এবং মেয়েটার বিষয় নিয়ে মোশারেফের বাড়ির উপরে একটা শালির বসে।
সালিশের সময় মেয়েটির সেখানে উপস্থিত ছিল। তখন মেয়েটি তার কথা তুলে ধরে। আমি খারাপ কেনো। আমি খারাপ এই সমাজের জন্যই। আমি খারাপ কারণ এই সমাজে আমাকে খারাপ করেছে। আমি যে খারাপ এটা সবাই জানে, তবে কেন আমার কাছে সবাই আসে। কেন আমাকে একটিবার কেউ ভাল হওয়ার সুযোগ দিতে চায় না। যখন আমাকে কেউ সুযোগ দিয়েছে কেন আমরা আবার সেই সুযোগ কেড়ে নিয়ে আমাকে খারাপের দিকে ধাবিত করছে। সেখানে অনেক কিছু কথাবার্তা হয়। মেয়েটির এইসব কথার উত্তর কেউ দিতে পারে না। সবাই নিস্তব্ধ হয়ে থাকে এবং এক সময় সকলের মাথা নিচু করে চলে যায়।
এরপর আমরা দেখতে পারি মোশারেফের মা তার ছেলে মোশারফ ও মেয়েটিকে বাসার ভেতর ডেকে নিয়ে গিয়ে বসায়। বসিয়ে তার মা আলমারী থেকে একটি শাড়ি ও কিছু গহনা বের করে করে মেয়েটির হাতে ধরিয়ে দেয়। আর বলে আমি আজকের মধ্যেই তোমাদের দুজনাকে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছি। এতে মেয়েটির সাথে সাথে কাঁদতে থাকে । এবং বলে এই প্রথম কেউ তাকে ভালো হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এতে মোশারফ করিমের রাজি হয়ে যায়।
এবং নাটকের লাস্ট সিন আমরা দেখতে পারি যে মোশারফ করিম এবং মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায় এবং তারা একটা বাসর ঘরে প্রবেশ করে। আর এখানে কিছু কথাবার্তা হয়। আর এর মাধ্যমে নাটকের গল্পটি শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
ব্যক্তিগত মতামতঃ
সাদা মানুষ নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এখানকার কাহিনীটি আমার কাছে সবচেয়ে দারুণ লেগেছে। বিশেষ করে এখানকার কথাটা একদম বাস্তবতার সাথে মিলে যায়। কারণ কোন মানুষ জন্মগতভাবে খারাপ নয়। পরিস্থিতি সংঘ এবং পারিপার্শ্বিকতার কারণে মানুষ খারাপ হয়ে থাকে। ঠিক এমনি ভাবে যে মেয়েটিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যায়েছে। সে আসলেই খারাপ নয়। বর্তমান সমাজে তাকে খারাপ করে তুলেছে এবং যখন সেই খারাপ মানুষ থেকে একজন ভালো হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে তখনই তাকে আবার খারাপের দিকে ধাবিত করার জন্য সকলের মুষ্টি বদ্ধ ভাবে তার পিছনে লাগে। এই বিষয়টি একদম বাস্তবতার সাথে মিলে যায়। আমার মতে নাটকটি বেশ ভালো ছিল এবং শিক্ষামূলক একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে নাটকটি মধ্যে। যার জন্য আমার কাছে ভালো লেগেছে।
ব্যক্তিগত রেটিংঃ
ব্যক্তিগত রেটিংঃ
আমি নাটকটিকে ১০/৮দিতে চাই।
নাটকের লিংকঃ
নাটকের লিংকঃ
এই পোস্টটির ১০% রিওয়ার্ড @shy-fox কে উৎসর্গ করা হয়েছে। আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে আমার পোস্টটি। লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালোবাসা নিবেন
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ
ভালোবাসা নিবেন
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ
"সাদা মানুষ" নাটক রিভিউ টা খুব ভালো করে উপস্থাপন করেছেন। নাটকটি আমি দেখেছি আমার প্রিয় নাটকের মধ্যে এটি একটি। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল আপনার জন্য।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সাদা মানুষ নাটকটির রিভিউ অনেক সুন্দর ও ধারাবাহিকভাবে পেশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার রিভিউটি দেখে আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মোশাররফ করিম সত্যিই একজন দক্ষ অভিনেতা। "সাদা মানুষ" নাটকের রিভিউটি অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
নাটকটি নিয়ে সোসাল দুনিয়ায় অনেক পোস্ট দেখেছিলাম।সবাই বেশ ভালো মন্তব্য করেছিলা আপনার রিভিউ দেখে বুঝলাম কেনো সবাই এতো ভালো বলেছিলো।ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লেখার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।