শিং মাছের ঝোল রেসিপি || 10% Beneficiary To @shy-fox
আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুরা,
আমি বাংলাদেশ থেকে @mdsamad
আজ শুক্রবার , নভেম্বর ০৫/ ২০২১
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে শিং মাছের ঝোল রেসিপি শেয়ার করব আপনাদের সামনে । চলুন শুরু করা যাক ।
 |  |
|---|
ধাপ - ০১
 |  |
|---|
রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ
১/ ৫ টি শিং মাছ
২/ পরিমাণ মত লবণ
৩/ রান্নার তেল
৪/ কিছু পরিমাণ ঝাল বাটা
৫/ রসুন+সরিষা+জিরা বাটা
৬/ পিয়েজ
৭/ ধনিয়ার গুড়া
৮/ সামান্য পরিমাণ আদা
৯/ হলুদ
ধাপ - ০২
প্রথমে আমি শিং মাছ গুলো ভালো করে কেটে, ধুয়ে পরিষ্কার করি। তার পর মাছ গুলোতে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মত এভাবে রেখে দেয়।
ধাপ - ০৩
 |  |
|---|
মাছগুলো ৫থেকে ১০ মিনিট রাখার পর এবার আমি আকার উপর কড়া বসিয়ে তার মধ্যে তেল ঢেলে দেয়। তেল ঢেলে দেয়ার পর তেল যখন গরম হয়ে যায় তখন তার মধ্যে এই সমস্ত মাছ গুলো দিয়ে ভালো ভাবে ভাজি করি।
ধাপ - ০৪
 |  |
|---|
মাছগুলো ভাজি করা হয়ে গেলে এবার আমি সেগুলো তুলে রাখি। তারপর আবার কড়াতে তেল দেয়। তেল দেওয়ার পর রান্নার জন্য যে সকল মশলাপাতি গুলো ছিল সেগুলো সব কড়ার মধ্যে ঢেলে দেয়। এবার একটা খুন্তি দিয়ে আমি সেগুলো ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে থাকি যতক্ষণ না পর্যন্ত মসলা গুলোর একটা ভালো রকমের কালার না আসে।
ধাপ - ০৫
মসলাগুলো ভালো রকমের একটা কালার আসার পর এবার আমি আমার ভাজা শিং মাছ গুলো কড়ার ভিতর দিয়ে দেয়। এবার আমি একটা খুন্তি দিয়ে সেগুলো মসলাগুলো সাথে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে থাকি। যাতে করে মাছগুলো সাথে মসলাগুলো ভালোভাবে মিশে যায়। এভাবে প্রায় ৪ মিনিট ধরে নাড়াচাড়া করতে থাকি।
ধাপ - ০৬
মাছগুলোর সাথে মসলা ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পর এবার আমি কড়ার ভেতর পানি ঢেলে দেই। যাতে করে মাছের ঝোল তৈরি করা যায়। এভাবে পানি ঢালার পর প্রায় ৭ থেকে ৮ মিনিট ধরে আমি আবারো জাল দিতে থাকি। আর এভাবে জাল দেয়ার পর আমার শিং মাছের ঝোল তরকারি একদম পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে যায়।
ধাপ - ০৭
শিং মাছের ঝোল তরকারি পরিপূর্ণভাবে তৈরি হওয়ার পর। এবার আমি সে গুলো কড়া থেকে একটি পাত্রে ঢেলে রাখি।
ধাপ - ০৮
পাত্রে ঢেলে রাখার পর এবার আমি সর্বশেষ শিং মাছের ঝোল তরকারি এই ছবিটি তুলি। আর এভাবে আমি আজকে শিং মাছের ঝোল তরকারি রেসিপি তৈরি করেছি।
এই পোস্টটির ১০% রিওয়ার্ড @shy-fox কে উৎসর্গ করা হয়েছে। আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে আমার রেসিপির পোস্টটি। লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালোবাসা নিবেন
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ
শিং মাছ খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। শিং মাছ খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
শিং মাছের ঝোল রেসিপি আপনি অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন আর তৈরির প্রতিটি ধাপ এবং ছবি এত সুন্দর ভাবে দিয়েছেন যা দেখে যে কেউ রেসিপিটি তৈরি করতে পারবে।
আপনার শিং মাছের রেসিপি দেখে এই রেসিপি দিয়ে রুটি খাইতে মন চাইছে। আমি আসলে দুপুরের লাঞ্চ করেছি শিং মাছ এবং রুটি দিয়ে।
খুব সীমিত ফটোগ্রাফির মাধ্যমে খুব ইউনিক এবং চমৎকার মানের পোস্ট করেছেন। রেসিপিটি খুবই ভালো লেগেছে
শিং মাছ আমার খুবই প্রিয়। আর শিং মাছের ঝোল খেতে আমি খুব পছন্দ করি। আপনি দারুণভাবে শিং মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওয়াও! কি সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শিং মাছের ঝোল রেসিপি আমারও খুব প্রিয়। আর বিশেষ করে শিং মাছটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটা মাছ।
শিং মাছের ঝোল রেসিপি আমার অনেক পছন্দের ভাই খেতে দারুন লাগে। আর আপনি চেষ্টা করবেন রেসিপির শেষের ছবিটা সবার উপরে দেওয়ার জন্য তাহলে পোস্ট টি আর ও সুন্দর হবে ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
শিং মাছ খুবই সুস্বাদু একটি মাছ।আসলে সব মাছই সুস্বাদু তবে সাদের কিছুটা ভিন্নতা অবশ্যই রয়েছে।আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।আর ধাপ গুলো চমৎকার ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা রইলো।
ছবির ডেটালস দিতে ভুলে গিয়েছেন।পরবর্তি থেকে একটু খেয়াল রাখবেন।ধন্যবাদ।
আপনার শিং মাছের তরকারি টি খুবই সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।শিং মাছ প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই উপকারী একটি মাছ ।এর প্রচুর পুষ্টি গুণ রয়েছে ।আপনি খুব চমৎকার করে আপনার রান্নাটি সম্পন্ন করেছেন। তবে আমি শিং মাছ কখনো ভেজে রান্না করিনি ।আপনারটাই প্রথম দেখলাম। মনে হচ্ছে ভেজে রান্না করলেও আপনার তরকারিটা খুবই মজার হয়েছে ।ধন্যবাদ আপনাকে ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। শিং মাছের ঝোল রেসিপি টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শিং মাছ আমার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে শিং মাছ যখন ভুনা করা হয় তখন আরো বেশি ভালো লাগে। যদিও একটু কাঁটা থাকে তবে কাঁটা খুবই নরম যার কারনে খেতে তেমন বেশি বেগ পেতে হয়। এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি যে রেসিপিগুলি ভাগ করেছেন তা খুব ভাল, এবং ব্যাখ্যাগুলিও খুব বিশদ। ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ