ভাইরাল মাসুদ || নাটকের রিভিউ || 10% Beneficiary To @shy-fox

mdsamad (64)Verified Member 🇧🇩in আমার বাংলা ব্লগ • 3 years ago

হ্যালো..!!
আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুরা,
আমি বাংলাদেশ থেকে @mdsamad
আজ শনিবার, নভেম্বর ০৬/ ২০২১

আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি বাংলা নাটক রিভিউ করবো। আমার রিভিউ করা বাংলা নাটকের নাম হলো " ভাইরাল মাসুদ "।

🎥"ভাইরাল মাসুদ "🎥

^{স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে}

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ

নাটকের নাম	ভাইরাল মাসুদ।
পরিচালক	শিখর শাহনিয়াত।
অভিনয়	মোশাররফ করিম, সিফাত তাহসিন, মেহেদী আকাশ, সেলজুক ত্বারিক ,নিকুল কুমার মন্ডল, আনোয়ার হোসেন।
দৈর্ঘ্য	৪১মিনিট।
ভাষা	বাংলা।
মুক্তির তারিখ	২৮.০৫.২০২০ইং।

নাটকের সারসংক্ষেপঃ

নাটকের শুরুতে দেখা যায় মোশারফ করিম ও তার স্ত্রী তাদের বাসার বাইরে বারান্দায় বসে আছে চেয়ার পেতে। আর ঠিক তখনই দেখা যায় যে মোশারফ করিম একটা মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে তার বউ এর ইন্টারভিউ নিচ্ছিল। প্রথম পর্যায়ে তাকে ইংলিশে ইন্টারভিউ নিতে দেখি। কিন্তু পরবর্তী সময় দেখা যায় তার বউ ইংলিশ পারেনা তাই পরে আবার বাংলাতে ইন্টারভিউ নিতে দেখা যায়। বিষয়টা খুব হাস্যকর ছিল, এই ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় তাদের মধ্যে হাসাহাসি চলছিল। এভাবে কিছুক্ষণ ইন্টারভিউ নেওয়ার পর মোশারফ করিম জানতে পারে তাদের গ্রামে একটা নাটকের দল এসেছে। যারা তাদের নাটকের শুটিং এখানে শুরু করছে। এ কথা শোনার পর সে তার বউ এর ইন্টারভিউ নেয়া বন্ধ করে দেয় এবং সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এবং তার বউকে রেখে সেখানে চলে যায়।

এবার সে চলে আসে নাটকের শুটিংয়ের কাছে। এসে দেখে যে তার গ্রামের শহর থেকে লোক এসেছে নাটকের শুটিং করার জন্য। এবং সেখানে এসে সে নাটকের নায়ক-নায়িকার সাথে সাক্ষাৎ কারে। নাটকের ডাইরেক্টর যখন নাটকের কিছু কথা নায়ক কে বুঝিয়ে দিচ্ছিলো। ঠিক সেইসময় মোশারফ করিম ছবি তোলে। এই ছবি তোলা দেখে নাটকের নায়ক কিছুটা বিরক্ত বোধ হয়। কিন্তু পরবর্তী সময় যখন নায়ক ডাইরেক্টর ডায়লগ গুলো ভুল বলতে থাকে। এটা দেখে মোশারফ বিরক্ত বোধ হয় আর বলে আপনি পুরোটাই ভুল বলছেন।

এই কথা বলার পর তাদের মধ্যে একটু মনোমালিন্য হয় এবং একপর্যায়ে ঝগড়া লেগে যায়। তখন মোশারফ করিম বলে তাদের গ্রামে এসে তার উপর মাস্তানি দেখানোর জন্য গালাগালি করতে থাকে। আর এই সমস্ত দৃশ্য তখন আর একজন মানুষ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে ভাইরাল করে দেয়।

এর পরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পারি যে মোশারফ করিমের যে গালাগালি ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। সেই বিষয়টি মোশারফ করিম জানে না। তবে সে যখন একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার জন্য যায় তখন মানুষজন তাকে ঘিরে ধরে এবং তার কাছে এসে সবাই ছবি তুলতে চাই । তখন মোশারফ করিম জিজ্ঞেস করে কেন আপনার এগুলো করছেন। তখন তারা ভেঙে বলে আপনি যে নাটকের টিমকে লাগালি করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন সেই ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর এর জন্য আমরা আপনাকে সেলিব্রিটি হিসেবে মানি। এর পরে দেখা যায় মোশারফ করিমের কাছে বিভিন্ন রকমের লোকজন আসে এবং তার বক্তব্য ও ইন্টারভিউ নেয় এবং তার জন্য তাকে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে থাকে।

এর পরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পারি যে মোশারফ করিমের বউয়ের কাছে একজন প্রতিবেশী আসে এবং তাকে জিজ্ঞেস করে যে আপনার স্বামী কি কাজ করে সেইসব জিজ্ঞেস করে। তখন বলে যে আমার স্বামী একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তারপর থেকে লোকজন তাকে নিয়ে যায় এবং তাকে দিয়ে ভিডিও বানায়। আর এই সবের জন্য মানুষ থাকে টাকা দেয়। তখন প্রতিবেশী বলে আপনার স্বামী যেসব ভিডিও বানাইছে ভিডিও কি আপনি দেখেছেন। আসলে আপনার স্বামী অনলাইনে মানুষকে গালাগালি এবং খারাপ কথাবার্তা বলে। আর এইসবের জন্য মানুষ টাকা দেয়। এইসব কথা শুনে মোশারেফের বউয়ের মন খারাপ হয়। তারপর প্রতিবেশী চলে যায়।

এর পরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পারি মোসারফ করিম যখন বাসায় আসে তখন তার বউ বলে তুমি আর এইসব ভিডিও বানাওনা কারণ এসব গালাগালি ভিডিও দেখে মানুষ আমাদের খারাপ বলে। এই বিষয়টার মোশারফ করিম চিন্তা ভাবনা করে। আর বলে যে আমি যে ভিডিওর জন্য ভাইরাল হয়েছে এটি হচ্ছে খুবই খারাপ কারণ গালাগালির মাধ্যমে মানুষ ভাইরাল হলে সেটি নিজেদের প্রতি কুফল বয়ে আনে। আর তাই সিদ্ধান্ত নেয় সে আর এরকম ভিডিও তৈরি করবে না ।

এরপর সে আর একটি ভিডিও তৈরি করে এবং সেই ভিডিওতে বলে দেয় যে তার মত যেন এমন গালাগালি ভিডিও আর কেউ না তৈরি করে এবং এরকম ভিডিও কেউ না দেখে। এবং সে সবার কাছে হাত জোড় করে মিনতি করে।

এর পরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পারি সে বাসায় ফিরে আসে এবং আসে তার মোবাইল ফোনটি আবার বার করে। এবং সে আগের মত আনন্দ-বিনোদন করার জন্য মোবাইল দিয়ে তার বউয়ের সাথে অনলাইনে ভিডিও গান বানায়। আর এভাবেই পুরো নাটকটি শেষ হয়।

ব্যক্তিগত মতামতঃ

আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুযায়ী নাটকটি হাস্যকর ছিল। তবে তার সাথে কিছু শিক্ষামূলক হচ্ছিল। যে বর্তমান সময়ে অনলাইনে ভালো মন্দ সবকিছুই ভাইরাল হয়। তবে সেগুলোর একটা সাইড ইফেক্ট পড়ে ব্যক্তিগত জীবনে। যেটির প্রকৃত বাস্তব এই নাটকের মধ্যে তুলে ধরেছে। যার জন্য নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।