আই এম আন্ডার এরেস্ট || নাটকের রিভিউ || 10% Beneficiary To @shy-fox
আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুরা,
আমি বাংলাদেশ থেকে @mdsamad
আজ শনিবার, নভেম্বর ২৭/ ২০২১
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি বাংলা নাটক রিভিউ করবো। আমার রিভিউ করা বাংলা নাটকের নাম হলো "আই এম আন্ডার এরেস্ট "।
🎥"আই এম আন্ডার এরেস্ট "🎥
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাটকের নাম | আই এম আন্ডার এরেস্ট। |
---|---|
পরিচালক | মুরসালিন শুভ। |
অভিনয় | মোশাররফ করিম, নুসরাত ইমরোজ তিশা, শহীদুল্লাহ সবুজ, শেখ মাহবুবুর রহমান। |
দৈর্ঘ্য | ৪৯ মিনিট। |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ৩০.০১.২০২০ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপঃ
নাটকের সারসংক্ষেপঃ
এই নাটকে মোশাররফ করিম নাম থাকে তিতুমীর। নাটকের শুরুতে দেখা যায় মোশারফ করিম এবং তার কিছু দলবল আসে একটি সবজির দোকান এবং সেখানে এসে দোকান দারকে হুমকি দিতে থাকে এবং বলতে থাকে আমি তোর দোকান ভাঙচুর করব এবং এই বিষয়ে তুই পুলিশকে ফোন দিবি এবং পুলিশকে ফোন দিয়ে বলবি সাথী ম্যাডাম বলে যে পুলিশ অফিসার আছে তাকে তুই বাঁচানোর জন্য আসতে বলবি।
এরপর দেখা যায় মোশারফের কথামতো দোকানদার পুলিশকে ফোন করে এবং তার কাছে আকুতি মিনতি করে যেন তাকে বাচায়। ঠিক তখনই পুলিশের সাথী ম্যাডাম গাড়ি নিয়ে সেখানে আসে। তখন পুলিশকে দেখে মোশারফ করিম ও তার দলবল সবজিগুলো নষ্ট করতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে ম্যাডাম তাদের থামতে বলে। এবং সেখানে গিয়ে বলে যে কেন তোমরা এমন করছ। তখন মোশারফ করিম এগিয়েছে বলে আপনি আমাকে গ্রেপ্তার করেন। আমি এসব করতে বলেছি তখন ম্যাডাম মোশারফ করিম কে বাদ দিয়ে তার দলবলকে এরেস্ট করতে চায়। এই দৃশ্য দেখে তার দলবল পালিয়ে যায়। তখন মোশারফ করিম নিজে থেকে আত্মসমর্পণ করে পুলিশের ভ্যানে গিয়ে বসে। তখন পুলিশের সেই ম্যাডামকে বলে আমি তো আপনাকে এরেস্ট করবো না। কেন আপনি গাড়িতে উঠেছেন। মোশাররফ করিম গাড়ি থেকে নামতে চায় না। তখন একটি কনস্টেবল তাকে জোর করে নামিয়ে দেয়। তারপর পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়।
এর পরের দৃশ্যে আমরা দেখিয়ে মোশারফ করিম তার বাসায় বসে তার দলবলের একজনের সাথে পরামর্শ করছে। যে কিভাবে তার ম্যাডামের কাছে এরেস্ট হয়ে হাজতে ভর্তি হয়ে থাকতে পারে। আসলে মোশারফ করিম হচ্ছে ওই পুলিশের ম্যাডামকে ভালোবাসে। আর তাই সে নিজে থেকে চাচ্ছি যে যেকোন উপায়ে এরেস্ট হয়ে পুলিশের জেলে থাকতে পারে। যাতে করে সে ম্যাডামের সাথে সারাক্ষণ দেখা করতে পারে কথাবার্তা বলতে পারে।
এবার পরের দৃশ্য দেখি মোশারফ করিম কনস্টেবলের সাথে পরামর্শ করে নিজের হাতে হ্যান্ডকাপ লাগা এবং ম্যাডামের কাছে আসে। এবং বলে আমি একজন অপরাধী তাই আমাকে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে নিয়ে এনেছে। আর এখন আপনার দায়িত্ব আমাকে লকআপে পুরে রাখা। কিন্তু ম্যাডাম তাকে লকআপে রাখতে চায় না। তাকে ছেড়ে দিতে বলে। এই কথার অর্ডার দেয়ার পর ম্যাডাম চলে যায়। তখন মোশাররফ কনস্টেবলের সাথে পরামর্শ করে নিজেই জেলের তালা খুলে তার মধ্যে বন্দী হয়ে থাকে।
এবার দেখা যায় মোশারফ করিম যখন জেলে বন্দী অবস্থায় থাকে। ঠিক তখনই তাদের দলের এক সদস্য মোশারফ করিমের জন্য ফুল নিয়ে আসে। যাতে করে সে পুলিশের ম্যাডামকে দিতে পারে। ঠিক তখনই পুলিশের ম্যাডাম যে ফুল নিয়ে আসে তাকে বের করে নিতে বলে কনেস্টেবলকে, তখন সে তাকে ধরে বের করে দেয়।
এবার পরের দৃশ্য আমরা দেখি যে পুলিশের ম্যাডাম মোশারফ করিমের সাথে কথা বলে, যে তুমি হয়তো আমাকে ভালোবাসো তাই এমনটি করছো। এইসব করে তুমি খুশি হচ্ছ কিন্তু আমার তো অসুবিধা হচ্ছে। কারণ আমি একজন পুলিশ অফিসার। আর তুমি আমাকে ভালোবেসে থাকো তাহলে এই কাজটি আর করোনা। তুমি বাসায় চলে যাও তখন দেখা যায় মোশারফ করিম জেলখানা থেকে বের হয়ে বাসার দিকে চলে যায়।
এর পরের দৃশ্য আমরা দেখি মোশারফ করিম বাসায় গিয়ে এভাবে দুই তিন দিন কাটিয়ে দেয়। তারপরে একদিন হঠাৎ করে এসে রাস্তায় হাঁটতে বের হয়। হঠাৎ করেই তার সামনে একটি লাশ পড়ে থাকে ঠিক সেইসময় পুলিশ আসে এবং এসে বুঝতে পারে সেই তাকে হত্যা করেছে। তখন এক কনস্টেবল তাকে বলে যে আপনি সাধারণ জেলে যাওয়ার জন্য একটি মানুষকে খুন করলেন । তখন তাকে আবার জেলে ভরে দেয়।
এবার আমরা পরের দৃশ্য দেখি যে মোশারফ করিম যখন জেলে বন্দি থাকে ঠিক তখনই পুলিশের ম্যাডাম আসে। ম্যাডাম এসে বলে যে তুমি যে খুন করেছো তার জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে। তখন সে বলে বাস্তবে আমি খুন করিনি। তখন ম্যাডাম বলে ঠিকই বলেছ তুমি কোন খুন করোনি কিন্তু এতদিন ধরে তুমি আমাকে বিরক্ত করে সেজন্য পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আমি তোমাকে এভাবে ফাঁসিয়েছি। তবে এর জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে। এবং এরপরে সাজা কাটানোর পর আমি তোমাকে আমার নিজের মতো করে আপন করে নেব। তখন মোশারফ করিমের কথায় রাজি হয়ে যায় এবং জেলের ভিতর গান শুরু করে। ম্যাডাম তাকে গান বলতে বারণ করে তারপরও সে শোনে না। তার পরবর্তী দেখা যায় যে বাকি কনস্টেবল ও তার সাথে গান শুরু করে দেয়। আর এই ভাবেই নাটকটি পরিসমাপ্তি ঘটে।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
ব্যক্তিগত মতামতঃ
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুযায়ী নাটকটি বেশ সুন্দর ছিল। নাটকটি সাধারণত প্রেমকাহিনীর। আর এই প্রেমকাহিনী হয় একজন পুলিশের ম্যাডামের সাথে। নাটকে তা বেশ চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। মানুষ প্রেমের জন্য কত কি না করতে পারে। একজন পুলিশের সাথে প্রেম করার জন্য সে একজন আসামী হয়ে যায়। আবার পক্ষান্তরে দেখা যায় পুলিশের ম্যাডাম তার প্রেমে পড়ে যায়। যা খুবই ভালো ভাবে নাটকের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত রেটিংঃ
ব্যক্তিগত রেটিংঃ
আমি নাটকটিকে ১০/৮ দিতে চাই।
নাটকের লিংকঃ
নাটকের লিংকঃ
এই পোস্টটির ১০% রিওয়ার্ড @shy-fox কে উৎসর্গ করা হয়েছে। আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে আমার পোস্টটি। লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালোবাসা নিবেন
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ
ভালোবাসা নিবেন
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ