ক্যারেক্টার ঢিলা|| নাটকের রিভিউ || 10% Beneficiary To @shy-fox
আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুরা,
আমি বাংলাদেশ থেকে @mdsamad
আজ সোমবার, নভেম্বর ২২/ ২০২১
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি বাংলা নাটক রিভিউ করবো। আমার রিভিউ করা বাংলা নাটকের নাম হলো "ক্যারেক্টার ঢিলা "।
🎥"ক্যারেক্টার ঢিলা "🎥
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাটকের নাম | ক্যারেক্টার ঢিলা। |
---|---|
পরিচালক | মাইদুল রাকিব। |
অভিনয় | মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি, শামীমা নাজনীন, এস এম আশরাফুল আলম, জয়নাল জ্যাক, হিমেল, জাহিদ।। |
দৈর্ঘ্য | ৪৯মিনিট। |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ০৪.১১.২০২১ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপঃ
নাটকের সারসংক্ষেপঃ
নাটকের শুরুতে দেখা যায় যে মোশারফ করিম ও তার স্ত্রী একসাথে একটি রিক্সায় করে বাজারের দিকে রওনা হয়েছে । ঠিক সেই সময় মোশারফ করিম ও তার স্ত্রীর মধ্যে গল্পগুজব হচ্ছিল। রিক্সায় করে যেতে যেতে হঠাৎ করে মোশারফ করিমের ভাবির সাথে দেখা হয়। তখন সে রিক্সা থেকে ঝাঁপ মেরে তার সাথে দেখা করে এবং বলে ভাবী কেমন আছে আপনি তো আর আমার দোকানে যান না। আসলেই ভাবি ছিল মোশারফ করিমের দোকানের একজন ক্রেতা। আর মোশারফ করিম ছিল শাড়ি ব্যবসায়ী। মোশারফ করিমের এমন বিষয়টি দেখে তার স্ত্রী রাগ করতে থাকে তবে তাকে কিছু বলে না।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় মোশারফ করিমের শাড়ির দোকানে একটি ভাবি আসে শাড়ি নেওয়ার জন্য। তখন সে এবং তার কর্মচারী দুজনে মিলে তাকে আদর আপ্যায়ন করে ,যাতে করে তার দোকান থেকে শাড়ি নেয় । অনেকগুলো শাড়ি দেখে কিন্তু লাস্ট পর্যন্ত সে শাড়ি নেয় না । তখন সে মনে করে যে কিভাবে তার শাড়ী বেশি বিক্রি করা যায় । তখন সে বিষয়েও বের করে যে তার দোকানে খরিদ্দার সকলের সাথে একপ্রকার সম্পর্ক তৈরি করবে। এরপর থেকে তার দোকানে যে শাড়ি নিতে আসে তার সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি করে এবং তার সমস্ত কাজে হেল্প করতে থাকে পথে-ঘাটে যেখানে দেখা হয়। যাতে করে তার শাড়ী অতিরিক্ত বিক্রি হয়।
এবার পরের দৃশ্য দেখে যে মোশারফ করিম ও তার কর্মচারী দুইজন দোকান বন্ধ করে রাতে বাসায় ফিরছে। ঠিক সেই সময় তারই এক ভাবী বাজারের ব্যাগ হাতে বাসায় যাচ্ছে। তখন সে তাকে হেল্প করতে যায় কিন্তু এখানে ঘটনা ঘটে মোশাররফ এর স্ত্রীরির বড় বোন তাকে দেখে। এবং বলে যে এত রাতে আরেকটা মেয়েকে বাজার হাতে করে দিয়ে আসতেছে। বিষয়টা মোশারফ এর স্ত্রীর বড় বোন ভালো চোখে দেখেনা । তখনই সে বাসায় যাই গিয়ে তার বোনকে সব বলে দেয় এবং তাদের মধ্যে একটা ভেজাল বেঁধে যায়। তখন মোশারফ এর উপরে নজর রাখে যে তার স্বামী কি করে ।তখন তাকে বোঝায় দেখো এটা আমার ব্যবসা । আমার ব্যবসাটি হচ্ছে মেয়েদের নিয়ে তাই আমার মেয়েদের সাথে বেশি মিশতে হয় । আর এর জন্য তুমি আমাকে খারাপ ভেবো না ।এ কথা বোঝানোর পর ও তার বউ কোনভাবেই বোঝেনা।
এর পরের দৃশ্য দেখে দে মোশারফ এর বউয়ের বড় বোন তার বউকে ডেকে নিয়ে যায় কিছু পরামর্শ করার জন্য। তখন তাকে বলে যেমন মেয়েদের সাথে তোর স্বামী মিশে ঠিক তেমনি ভাবে তাকে শায়েস্তা করার জন্য তুই তোর বন্ধুবান্ধবের সাথে মিশবি। যাতে করেও ওর কিছুটা খারাপ লাগবে। তখন সে আপনা আপনি মেয়েদের থেকে দূরে থাকবে।
এবার দেখা যায় মোশারফ করিমের বউ ও তার ছেলে বন্ধুদেরকে বাসায় ডাকে তাদের সাথে আড্ডা দেয় গান করে এবং আরও দেখা যায় যে মোশারফ করিম ও তার বউ যখন রিক্সায় যাচ্ছিল তখন পথে বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে যায়। তখন সে তাকে থামিয়ে তার সাথে কোলাকুলি করে। বিষয়টি মোশারফ করিমের নজরে আসে তবে সে প্রথম পর্যায়ে কিছুই বলে না।
এর পরের দৃশ্য দেখতে পারি যে মোশারফ করিমের বউ রাত্রে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। রাতে তার বন্ধুদের সাথে পার্টি করা জন্য। এবং অনেক রাত্র করে বাসায় ফিরে। ফিরে এসে দেখে তার স্বামী এখনও ঘুমায় নি। তখন তার স্বামী তাকে বোঝায় কেন তুমি এগুলো করছ। তখন তাদের মধ্যে হালকা ঝগড়া বাধে ঠিক সেই সময় তাদের বাইরে থেকে একটা শব্দ আসে তখনই মোশারফ করিম দরজা খুলে। দরজা খুলে দেখে যে তার বউ এর বড় বোন।
এবার পরের দৃশ্য দেখি দে মোশারফ করিমের বউয়ের বড় বোন হঠাৎ করে তাকে অনুরোধ করে। সে জেনো তার স্বামীকে বাঁচায় কারণ হিসেবে জানতে চাইলে সে বলে তার স্বামী অন্য আরেকটা মহিলার সাথে সম্পর্ক করেছিল এবং সেই সম্পর্কের জেরে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে। সে তাকে জামিন করে নিয়ে আসে। তখন মোশারফ করিম বলে যে এটা তো খারাপ সম্পর্কে আমি কোন হেল্প করতে পারবনা। তখন তার বউ ও তাকে রিকোয়েস্ট করে। তখন সে বলে ঠিক আছে আমার এক ভাবি আছে তার স্বামী একটা পুলিশ অফিসার। আমি তাকে বলে দেখি তখন তার সাথে কথা বলার পর রাজি হয়ে যায়। তখন মোশারফ করিম থানা এসে তার বড় বোনের স্বামী জামিন করে নিয়ে আসে। নিয়ে আসার পর মোশারফ করিম তখন তাদেরকে বলে মানুষের উপর দেখে তার চরিত্র বিচার করা ঠিক না। তোমরা যেমন আমার মেয়ে মানুষের সাথে বেশি কথা বলি এবং তাদের সাথে মিশি বলে। তোমরা আমাকে চরিত্রহীন ভেবেছিলে আসলে মানুষের এর চরিত্র উপর দেখে বোঝা যায় না। আর তাই তারা তখন ভুল বুঝতে পারে এবং মোশারফ করিম বউ তার কাছে ক্ষমা চায় এবং তখন হাসি মুখে থাকে ক্ষমা করে দেয় এবং এভাবেই নাটকটি সমাপ্তি হয়।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
ব্যক্তিগত মতামতঃ
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুযায়ী নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। কারণ নাটকটি একটি ভালো শিক্ষা ছিল, যে মানুষের উপর দেখে কোন সময় মানুষকে ভালো-মন্দ বিচার করতে নেয়। এই বিষয়টি নাটকের মধ্যে বেশ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। যাওয়ার জন্য নাটকটি আমার কাছে এত সুন্দর লেগেছে।
ব্যক্তিগত রেটিংঃ
ব্যক্তিগত রেটিংঃ
আমি নাটকটিকে ১০/৭দিতে চাই।
নাটকের লিংকঃ
নাটকের লিংকঃ
এই পোস্টটির ১০% রিওয়ার্ড @shy-fox কে উৎসর্গ করা হয়েছে। আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে আমার পোস্টটি। লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালোবাসা নিবেন
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ
ভালোবাসা নিবেন
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ
নাটকটি যদিও আমি কয়েকবার দেখেছি, অনেক ভাল লেগেছে আমার। আপনি সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন, পারফেক্ট ছিলো। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকুন ভাইয়া। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ