উচ্চতর ভালোবাসা || নাটকের রিভিউ || 10% Beneficiary To @shy-fox
আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুরা,
আমি বাংলাদেশ থেকে @mdsamad
আজ রবিবার, অক্টোবর০৩/ ২০২১
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি বাংলা নাটক রিভিউ করবো। আমার রিভিউ করা বাংলা নাটকের নাম হলো " উচ্চতর ভালোবাসা"।
🎥"উচ্চতর ভালোবাসা"🎥
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাটকের নাম | উচ্চতর ভালোবাসা। |
---|---|
পরিচালক | সাজিন আহমেদ বাবু। |
অভিনয় | মোশাররফ করিম, জাকিয়া বারী মোমো। |
দৈর্ঘ্য | ৪৪ মিনিট। |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ০৩.০৬.২০২০ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপঃ
এই নাটকে মোশারফ করিমের নাম থাকে রাসেল সাহেব । এবং সে ব্যাংক অফিসে চাকরি করে। নাটকের প্রথমে দেখা যায় যে সে একটি কেক হাতে তার অফিসে আসে। বিশেষ করে তার অফিসের বস অর্থাৎ আর ম্যাডামের জন্মদিন উপলক্ষে সে একটি কেক নিয়ে আসে এবং সেটি সবার সাথে একসাথে সেলিব্রেশন করে। কেক কাটার পর সে সবার সাথে একত্রিত ভাবে ছবি তোলে। এবং তারা অনেক আনন্দ ও মজা করেছে।
সেলিব্রেশন শেষ করার পর ফ্রি টাইমে। সে তার অফিস কলিগের সাথে দাঁড়িয়ে যখন চা খাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় সে তার অফিস কলিং এর কাছ থেকে জানতে পারে যে তার ম্যাডাম হচ্ছে অবিবাহিত। এবং তার ম্যাডামের জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে। তারপর সে তার ম্যাডামের অফিসে যাই। ম্যাডামের কাছে গিয়ে সমস্ত ঘটনা ঘটে বলে। কেমন পাত্র তার পছন্দ তার জিজ্ঞেস করে ম্যাডামকে। ম্যাডাম তার বর্ণনা দেয়। এবং বলে অবশ্যই আমি চেষ্টা করে দেখব আপর মনের মতো পাত্র খুঁজে আনার জন্য। এরপরে অফিস শেষ হয়ে যায়। এবং অফিস থেকে বেরিয়ে যায়।
এবার সে বাসায় গিয়ে প্রচন্ড পরিমানে ভাবে তার অফিসের ম্যাডামের জন্য কেমন পাত্র খুঁজেবে। যেসব কন্ডিশন দিয়েছে তার মধ্যেই সে তার ম্যাডামের সকল কন্ডিশন দেখতে পায়। এরপর সে অফিসে আসে এবং তার ম্যাডামকে কাছে সর্বপ্রথম একটা রিজাইন লেটার দেয়। এবং সে বলে ম্যাডাম পাত্র তো আমি পেয়ে গেছি এবং আপনার পছন্দ হবে কিনা জানিনা। তারপর সে নিজেকে বলে আমি হলাম পাত্র। এই কথা বলার পরপরই ম্যাডাম রেগে যায়। রেগে যাওয়ার পর আর ম্যাডাম তাকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা শোনাতে থাকে। তারপর মোশারফ করিম সে তার অফিস ছেড়ে চলে যায়।
এরপর দেখা যায় যে তার অফিসের বস পাত্র খোঁজার জন্য নিজেই ঘোরাঘুরি করে। একসময় দেখা যায় একটি পাত্রে সাথে দেখা করার জন্য একটি রেস্টুরেন্টে যায়। এবং তার সাথে কথাবার্তা বলে। এই কথাবার্তা বলে তারপর চলে যায় এবং ম্যাডাম চলে যাওয়ার পর সেখানে আবার মোশারফ করিম আসে। মোশারফ করিমের সে তখন সে তার সম্পর্কে বল এবং বলে সে তার ম্যাডামকে ভালবাসে এবং তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক আছে এবং সেই সুবাদে সে তাকে কিছু ছবিও দেখায়। এক কথায় তার বিবাহ ভাঙার জন্য মোশারফ করিম উঠেপড়ে লাগে।
এরপর মোশারফ করিম বাসায় আসে। এবং তার বন্ধুদের সাথে আলাপ আলোচনা করে। তারা একটা ব্যবসার তৈরি করবে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করবে। এই বিষয়ে তাদের সাথে কথাবার্তা হয় এবং তার বন্ধুরা তাতে সহমত দেয়। এবং এক পর্যায়ে তারা একটি অফিস ভাড়া নেয় এবং সেখানে তারা তাদের নতুন কার্যক্রম শুরু করতে থাকে।
একপর্যায়ে দেখা যায় মোশারফ করিমের নতুন অফিসে তার আগের ম্যাডাম আসে এবং এসে তাকে হুমকি-ধামকি দেয়া। কেন সে তার বিবাহ ভাঙছে। তখন সে বলে আমি আপনাকে ভালোবাসি। আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই। তাই এটি করার জন্য আমি আপনাকে কোন পর্যায়ে যে কোন কাজ করতে পারি। এবং তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং তারপর ম্যাডাম সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর দেখা যায় ম্যাডাম পুলিশে ফোন করে। এবং মোশারেপ করিমের বিষয় সে তাকে বলে। সে আমাকে হেনস্তা করছে, বিভিন্ন বিষয়। তাই তার নামে জিডি করা হয়। এই বিষয়টা মোশারফ করিম আগেই জেনে যায়। তাই পুলিশ তাকে খোঁজাখুঁজি করার আগেই মোশারফ করিম পুলিশের অফিসে হাজির হয়। এবং তাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। এবং তাকে কিছু বানিয়ে কথা বলে। সে কেক কাটার সময় যে তার সাথে পার্সোনাল ছবি তুলেছিলেন। সেই ছবিগুলো প্রমাণ হিসেবে পুলিশের অবস্থান দেখান এবং বলে যে আমি তাকে ভালোবাসি সেও আমাকে ভালবাসে। রাগের মাথায় আমাকে ছেড়ে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করতে চাচ্ছে। যদি রাগ কমে যায় তখন তো একসাথে দুটি জীবন নষ্ট হবে। তাই সে তার বিয়ে ভেঙে বেড়াচ্ছে ।
এরপর আমরা দেখতে পারি মোশারফ করিমের নতুন একটা কোম্পানির কাছে যাই। কিছু কাজের ডিলিট করার জন্য। এবং তারা তাকে একটা বড় পরিমাণ এর অফার করে এবং শর্ত হিসাবে বলে যে। সে তার ম্যাডামকে ভুলে যায়। এই কথা বলার পর মোশারফ করিম সেই অফিস ডিলটি ক্যানসেল করে। এবং বলে যে কোন পরিমাণ মূল্যে আমি আমার ম্যাডামকে ছাড়তে পারব না। কেননা আমি তাকে প্রচন্ড ভালোবাসি এবং আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। এই কথা বলার পর ডিল ক্যানসেল করে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।
এরপর দেখা যায় ম্যাডাম আবার তার অফিসে আসে এবং বলে যে আমি তোমাকে বিয়ে করতে রাজি আছি। তবে আমার কিছু শর্ত আছে। যেমন তাকে নতুন একটা ফ্ল্যাট দিতে হবে এবং তার জন্য দামী দামী জিনিসপত্র কিনতে হবে। আর প্রতিটি খরচে নিজে বহন করবে। একটি টাকাও খরচ করবে না সে। তখন মোসারফ সমস্ত কিছু শর্তে রাজি হয়ে যায়। এবং বলে যে আমি যে আপনাকে ভালোবাসি তার প্রধান কারণ হচ্ছে। আপনি দেশে একজন মানুষ আপনি দেশের সমস্ত কিছু ব্যবহার করেন এবং বিশেষ করে বাংলাদেশ বাড়ি বানায় না তাই আপনি একটি গাড়ি চালান বিদেশি। আর কিছু না এসব কারণের জন্য আমি আপনাকে ভালোবাসি এবং বিয়ে করতে চাই।
এরপরে দেখা যায় যে আমি তাদের দু'জনার বিবাহ যায়। তখন মোসারফ তাকে জিজ্ঞেস করে। প্রথম পর্যায়ে কেন আপনি রাজি হতে যাচ্ছিলে না। তখন সে বলে যে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম তুমি আমার অফিসের সাধারণ একজন কর্মচারী। আর আমি অফিসের বস। বস হয় কিভাবে আমি তোমাকে বিয়ে করব। তবে এখন আমি তোমার প্রতি পুরোপুরিভাবে সহমত। অফিসের বস থেকে এখন আমি তোমার বউ। আর এভাবেই এই নাটকটি শেষ হয়।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে নাটকের মধ্যে যেই বিষয়টা আমার কাছে ভালো লেগেছে। তা হচ্ছে জীবনে কখনো কোন কিছু পাওয়ার জন্য নিজেকে হার না মানা প্রচেষ্টা। যেমন মোশারফ করিম একজন অফিসের সাধারণ কর্মচারী ছিল। তবে সে ম্যাডামকে ভালোবাসতো। সে কোন সময় হাল ছাড়েনি যে কোনো মূল্যে বিবাহ করবে এবং লাস্ট পর্যায়ে দেখা গেছে সে তার সাফল্যে পৌঁছাতে পারেছে। তবে একপর্যায়ে সে একটি ডায়লগ বলে মোসারফ, যে আমি কোন সময় হারার পাত্র না একবার না পারলে আমি তা দরকার হয় শতবার চেষ্টা করবো। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে কোনো কিছু পাওয়ার উৎস আকাঙ্ক্ষা থাকলে একের পর এক কষ্ট মেহনত করে যেতে পারি। যাতে করে সফলতা আমাদের ধরা দেবেই। যেটি মোশারফ করিমের নাটকের মাধ্যমে করে বুঝিয়ে দিয়েছে।
ব্যক্তিগত রেটিংঃ
আমি নাটকটিকে ১০/৮দিতে চাই।
নাটকের লিংকঃ
এই পোস্টটির ১০% রিওয়ার্ড @shy-fox কে উৎসর্গ করা হয়েছে। আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে আমার পোস্টটি। লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালোবাসা নিবেন
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ
ইতি
মোঃ আব্দুস সামাদ