লঞ্চে পদ্মা নদী ভ্রমণ ও বিচিত্র অভিজ্ঞতা পর্ব নং-১//@ shy-fox 10% beneficiary
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো ও সুস্থ আছি। আশা করি আপনারাও অনেক ভালো ও সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে লঞ্চে পদ্মা নদী ভ্রমণ ও বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করবো।
আমার বাড়ি নড়াইল জেলায়।এই জেলার মানুষ দুই দিক দিয়ে ঢাকা যেতে পারে। দৌলোদিয়া-পাটুরিয়া ঘাট পার হয়ে আর মাওয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাট পার হয়ে।দুই ঘাটেই পদ্মা নদী। বিভিন্ন কাজে ঢাকায় যাওয়ার জন্য আমি মাওয়া ঘাট পার হয়ে ঢাকায় যায়। আমরা সবাই জানি পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পথে।আগামী ২৩ জুন ২০২২ তারিখে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার কথা। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। ফেরিতে পার হতে বেশি সময় লাগে। এজন্য আমি সাধারণত লঞ্চে যাতায়াত বেশি করি। লঞ্চে বর্তমানে ৪৫ টাকা ভাড়া নেয়। এখানে অনেক স্পিডবোর্ড ও চলাচল করে। লঞ্চ, স্পিডবোট, ফেরি ৩ টিতেই মানুষ নদী পার হতে পারে। লঞ্চে পদ্মা নদী পার হতে যেমন ভালো লাগে আবার ভয় ও করে। লঞ্চে পার হলে অনেক মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। যা মনের ভিতর আলাদা প্রশান্তি দেয়। আবার লঞ্চ গুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে। মাত্রা অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই এর ফলে প্রায় লঞ্চ দুর্ঘটনা হয় এবং অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। যখন পদ্মা ব্রিজ চালু হয়ে যাবে তখন আর লঞ্চে যাতায়াত করা হবে না, নদীর আশপাশের মনমুগ্ধকর দৃশ্য আর দেখতে পাবো না এজন্য খারাপ লাগবে । আবার ঢাকায় দ্রুত যেতে পারবো এজন্য খুব ভালো লাগবে। পদ্মা সেতু চালু হলে মানুষের অনেক কর্মঘন্টা বেঁচে যাবে। পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার মাইলফলক স্থাপিত হবে।
লঞ্চের ছাঁদে দাড়িয়ে আমি।
যাত্রী বোঝাই একটি লঞ্চ।
ফেরিতে বাস,ট্রাক মাইক্রো উঠেছে ও পাশে ২ টি স্পিডবোট দেখা যাচ্ছে।
একটি বালুবাহী কার্গো ও স্পিডবোট দেখা যাচ্ছে।
কিছু নাস্তা করি।
ছোট একটি ট্রলার যাচ্ছে। চরের ফসল,গাছপালা দেখা যাচ্ছে।
Device:oneplus 8
Location: https://what3words.com/healthcare.ferrying.publics
আশা করি আপনাদের সবার ভাল লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
নতুন কিছু নিয়ে পরবর্তীতে দেখা হবে।সবার সুস্থতা কামনা করছি।
ইতি-
@mdjubaar
সত্যি বলতে ভাইয়া আমি কখনো লঞ্চ স্টিমার বা নৌকায় চড়ে নি। আমার সেগুলোতে চড়তে অনেক ভয় লাগে কখন সেগুলো উল্টে যায়। আর আপনি সেই পরিবেশ অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার আনন্দময় মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই লঞ্চ ভ্রমণ যেমন আনন্দের তেমনি আতংকের।
অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। লঞ্চে করে পদ্মা নদী ভ্রমণ। আমার এখনো লঞ্চের ভ্রমণ করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমার অনেক ইচ্ছা আছে এরকম লঞ্চ ভ্রমণ করার। আপনি সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারনভাবে তুলেছেন। মনে হচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। লঞ্চের মধ্যে দাঁড়িয়ে নাস্তাও করলেন দেখলাম। আমাদের মাঝে এরকম একটা মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।