||সোনার ডিম পাড়া মুরগির কিছু গল্প||১০%@shy-fox এর জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৯/২০২৪

IMG_20240409_182024.jpg


হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । অন্যদিন আমি আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট ,ড্রাই পোস্ট বা ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়। আজকে আমি আমার সোনার ডিম পাড়া মুরগির গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি ।আমি সোনার ডিম পাড়া মুরগি এই কারণে বলেছি কারণ আমার মুরগি অনেকগুলো ডিম পাড়ে ।ডিম পাড়তে লাগলে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টা ডিম পেরে থাকে ।তাহলে আমি সোনার ডিম পাড়া মুরগি বলবো না তো কি বলবো বলেন? আমার এই মুরগিটা আমার আম্মু দিয়েছিল ।আমাদের যখন আলাদা করে দেয় তখন আমি নতুন করে আবারও সংসার শুরু করেছিলাম। তখন আমার আম্মু এই ছোট মুরগিটা দিয়েছিল। সেই ছোট মুরগিটা আমি অনেক লালন পালন করতাম লালন পালন করতে করতে মুরগিটা অনেক বড় হয়ে গেল। বড় হয়ে যেয়ে অনেকগুলো ডিম পেরে সেই ডিম থেকে অনেকগুলো বাচ্চা হয়েছিল। অনেক চমৎকার লাগতো যখন আমি খাবার খেতে দিতাম তখন বাচ্চা গুলো অল্প অল্প একটু করে খাবার খেত ।এমনিতেই আমার পশু পাখি পালন করতে অনেক ভালো লাগে ।এগুলোর মধ্যে আমি অন্যরকম আনন্দ খুঁজে পায়।যখন খাবার খেতে দেই তখন সবগুলো একসঙ্গে এসে খাবার খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে ।তখন পশুপাখি গুলো দেখে বুখটা ভরে যায়।

IMG_20240409_212242.jpg

মুরগিটা ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে বাচ্চা গুলো আস্তে আস্তে অনেক বড় করে ফেলল ।আমার মুরগিটা আসলেই অনেক চালাক কোন বিড়াল বা কাক যদি বাচ্চা নিতে আসে তাহলে ওর কাছ থেকে বাচ্চা নিতে পারে না। বাচ্চা নিতে গেলে ঠুকিয়ে দেয় ।এমনকি মানুষ পাশ দিয়ে গেলেও মানুষকে ঠুকিয়ে তাড়িয়ে দেয় । বাচ্চা গুলো যখন মাঝারি সাইজের হয়ে যায় তখন আমি বাচ্চাগুলো একটা খাঁচায় রেখে তাদেরকে খাবার খেতে দিয়ে অনেক বড় করে ফেলি। আমি একবার এই সোনার ডিম পাড়া মুরগির বাসা প্রায় পাঁচ হাজার টাকার মুরগি বিক্রয় করছিলাম ।আমি তেমন একটা মুরগি বিক্রয় করি না ।যখন দেখি অনেকগুলো হয়ে গিয়েছে মানুষ যখন এসে জোর করে তখন আমি দু-একটা বিক্রয় করে থাকি ।সব থেকে মজার ব্যাপার হলো আমি সোনার ডিম পাড়া মুরগিটা একবার বিক্রয় করে দিয়েছিলাম ।আমাদের বাড়ির পাশের এক ভাবি কিনেছিল ।সকাল প্রায় সাতটার দিকে এসে মুরগিটা কিনে নিয়ে গিয়েছিল। মুরগিটা বিক্রয় করার পর আমার অনেক খারাপ লাগছিল। কেননা আমি অনেক ছোট বাচ্চা থেকে মুরগিটা পালন করেছি ।সেজন্য অনেক মায়া লাগছিল মুরগিটার জন্য। তাই আমি ভাবির কাছে বলি ভাবি মুরগিটা আমাকে ফেরত দাও ।ভাবি বলল কেন তুই বিক্রয় করে দিয়ে আবার কেন ফেরত নিতে চাচ্ছিস। আমি বললাম না ভাবি আমি বিক্রয় করবো না। আমাকে ফেরত দাও আমার অনেক মায়া লাগছে মুরগি টার জন্য ।ভাবি অনেক ভালো সেজন্য মুরগিটা আমাকে ফেরত দিয়েছিল। অন্যজন হলে বলতো মুরগিটা কেটে ফেলেছি ।যাইহোক মুরগিটা বাড়িতে এনে কয়েক দিন পর মুরগিটা ডিম পাড়তে শুরু করে। সোনার ডিম পাড়া মুরগিটা প্রায় ২৬ টা ডিম পারে ।

IMG_20240409_182805.jpg

আমি ডিম গুলো বসাবো বলে একটা একটা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছি। ফ্রিজে রাখলে ডিম গুলো অনেক ভালো থাকে ।এখন যেমন গরম পড়ছে এই গরমে ডিম বাইরে রাখলে সম্ভবত ডিম গুলো নষ্ট হয়ে যায়। মুরগি টার বয়স প্রায় তিন বছর আজও মুরগিটা বেঁচে ছিল ।সবথেকে দুঃখের বিষয় হলো গতকাল সকাল থেকেই মুরগিটা একটু অসুস্থ ছিল। মুরগিটাকে আমি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ায় সুস্থ হয়ে যাবে বলে। মুরগিটার যখন শরীর খারাপ ছিল তখন আমার অনেক খারাপ লাগছিল। কেননা এতদিন ছোট বাচ্চা থেকে মুরগিটা পালন করে আসছি। আজ যদি দুনিয়া থেকে মুরগিটা চলে যায় তাহলে অনেক কষ্ট পাবো। আমাদের বাড়ির আশপাশের মানুষেরা বলে তোর মুরগিটা অনেক ভালো রে। তোর মুরগিটা অনেকগুলো ডিম পাড়ে অন্যান্য মুরগি ১০ থেকে ১৫ টা ডিম পাড়ে তার বেশি পারে না ।মুরগিটার ওষুধ খাওয়ানোর পর আমি একটা খাঁচায় মুরগিটা রেখে দিই ।সকালে উঠে দেখে মুরগিটা সুস্থ আছে কিছুক্ষণ পর দেখি মুরগিটা মাড়া গেছে। আসলেই কোন পশু পাখি যদি নিজের হাতে পালন করা হয় সেটি যদি মারা যায় বা অসুস্থ থাকে তাহলে অনেক কষ্ট লাগে ।কষ্ট লাগলেও কিছু করার নেই সবাই তো আর সারা জীবন বেঁচে থাকতে আসে না। এটা আমাদের সবাইকে মেনে নিতে হবে।

🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹

Sort:  
 4 months ago 

সত্যি এই মুরগী টি সোনার ডিম পাড়া মুরগির থেকে কম কিসে। দারুণ নাম রেখেছেন আপনি।নামের সাথে মিল আছে।এত্তো এত্তো বড়ো বড়ো ডিম দিতো আপনার মুরগিটি। আসলে কিছু পশুপাখি বাড়িতে পালন করলে তাদের প্রতি মায়া হয়ে যায়। বিক্রি করার পর মায়া থেকেই আবার ফেরত এনেছেন মুরগিটি। ফেরতও দিয়েছেন ভালো মানুষ জন্য। আপনার সোনার ডিম পাড়া মুরগির অসুস্থতার কথা শুনে ও মারা যাওয়ার কারণে খুব খারাপ লাগলো আপু।আসলে সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে আর সেজন্য মেনেও নিতে হবে। তবুও মন তো মানে না।ধন্যবাদ পোষ্টটি ভারাক্রান্ত মনে লিখে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

আপনার মতই একই ঘটনা আমার মায়ের সঙ্গে ঘটেছিল। আমার একটি মুরগি ছিল যেটা আমার মায়ের প্রিয় এবং খুবই শখের ছিল। একদিন সকালবেলা মুরগির ঘরে গিয়ে দেখে সেই মুরগিটি মারা গিয়েছে। আমার মা খুব কান্না করে ছিল মুরগিটার জন্য। খুব খারাপ লাগলো আপু আপনার শখের মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনাটি পড়ে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 66217.53
ETH 3316.11
USDT 1.00
SBD 2.70