||ছোটবেলার শীতকালের সেই স্মৃতিগুলো ||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ শুক্রবার, অক্টোবর ২৮/২০২২
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথেনতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । বন্ধুরা, আমি প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি আজকে শীতকালের কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের শুনে অনেক ভালো লাগবে ।শীত মানে দখিনা হাওয়া, শীত মানে নতুন পোশাক , শীত মানে আগুন পোহানো ,শীত মানে মুড়ি মাখানো ,😋😋আসলেই শীত কাল আসলেই ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে ।আসলেই সেই দিনগুলো কখনো ভোলার নয় ।এখন শীতের মৌসুম চলছে ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো আবারো মনে পড়ে যায় ।আমার আজও মনে আছে যখন আমরা অনেক ছোট ছিলাম তখন আমাদের ক্ষেত থেকে ধানের নিচের অংশ যাকে আমাদের গ্রামাঞ্চলে বলে থাকে ধানের নাড়া ।সেগুলো আমরা ক্ষেত থেকে তুলে এনে থুয়ে দিতাম যখন সন্ধ্যা হতো তখন সবাই একসঙ্গে বসে আগুন পহাতাম। আসলে একসঙ্গে আগুন পোহানোর মজাই আলাদা যখন আমি হাইস্কুলে পড়তাম তখন রোজ ভোর বেলায় গণিত প্রাইভেট পড়ার জন্য সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূর পড়তে যেতাম। তখন ঘুম থেকে উঠতে খুব কষ্ট হতো। আমি প্রাইভেট পড়তে যেতে চাইতাম না কিন্তু আমার একটা বান্ধবী রোজ সকালে এসে আমাকে ডাকতো । সকাল সকাল না ওঠার জন্য আম্মুর হাতে অনেক বকুনি খেতাম ।এখন শীতকাল আবারও সেই দিনগুলো মনে পড়ে গেল।
আমি যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তাম তখন আমাদের স্কুল থেকে পিকনিকে নিয়ে গিয়েছিল ।আমিও পিকনিকে গিয়েছিলাম আসলে পিকনিক যাওয়ার মজাই আলাদা ।আমাদের স্কুল থেকে তিনটা বাস গিয়েছিল ।আমরা যে বাসে ছিলাম সেই বাসে আমরা আলাদাভাবে বক্স নিয়েছিলাম। আসলেই অনেক মজা করছিলাম বক্সের গানের তালে তালে আমরা অনেকেই নাচ্ছিলাম। অনেকেই আবার গানও গেছিল সারা রাত আমার অনেক মজা করছিলাম ।সব থেকে মজার ব্যাপার হলো আমরা কাগজের ছোট ছোট চিরকুটিতে গান ,কবিতা ও নাচ লিখে ভাঁজ করে রাখছিলাম এবং সেটা সবাইকে তুলতে বলা হয়েছিল ।যার ভাগ্যে যেটা পড়বে সে সেটা করে দেখাবে ।সারা রাত জার্নি করার পর অবশেষে আমার ভিন্ন জগতে পৌছালাম ।আসলে ভিন্ন জগতেযেয়ে ভিন্ন ভিন্ন অনেক জিনিস দেখলাম আসলেই ভিন্ন জগতে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। আমরা যখন সেখানে পৌছালাম চারদিকে কুয়াশায় ঢাকা ছিল। আমাদের বান্ধবীদের মধ্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল অনেকেইবমি করছিল ।আমারও অল্প একটু
বমি হয় সেজন্য আমি আগে থেকেই বমির বড়ি খেয়ে নিয়েছিলাম ।আর সাথে জ্বরের ওষুধ নিয়ে নিয়েছিলাম যাতে কোন অসুবিধা হলে আগে থেকেই খেয়ে নিতে পারি। তো আমরা যখন সেখানে পৌছালাম আমাদের রান্নারও ব্যবস্থা ছিল ।আসলেই পিকনিকে যে রান্না করে একসঙ্গে খাওয়ার মজাই আলাদা ।যেটা আমি আজও ভুলিনি রান্নাটা একটু পুড়ে গিয়েছিল তাই রান্নাটা আরো বেশি স্পেশাল হয়েছিল ।তাই পিকনিকের সেই স্মৃতি আমার আজও মনে আছে।
তো অনেক ঘোরাঘুরি করার পর অনেক কিছু কেনাকাটা করলাম। আসার সময় আমি আমার ছোট বোনের জন্য কিছু খেলনা ও কিছু ফল কিনে নিয়েছিলাম ।আর আমার জন্য কিছু রেশমি চুরি কিনেছিলাম এখনো আমার শেষ রেশমি চুরি গুলো অনেক যত্ন সহকারে রেখে দিয়েছি ।তো আমরা সন্ধ্যা বেলায় বাড়ি আসার উদ্দেশ্যে বাসে উঠেছিলাম ।তো সব থেকে খারাপ ব্যাপার হলো আমরা যখন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে তিনটা বাস রওনা হলো ।তখন একটা বাস নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ।আর দুইটা বাস বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে যখন রওনা দিল তখন আমাদের দুইটা বাসের আগে অন্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও ভিন্ন জগৎ ঘুরতে এসেছিল ।তারা ছিল আমাদের আগে হঠাৎ শোনা গেল আমাদের বাসের সামনের মাসে যে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী আছে সেই বাসে নাকি ডাকাত পড়েছে ।
আসলেই শুনে অনেক ভয় লাগছিল ভয় লাগায় স্বাভাবিক এমন ঘটনা আগে কখনো হয়নি। তখন আমাদের স্যার ম্যাডামরা বলল যাদের কানে গলায় স্বর্ণের জিনিস আছে তারা সবকিছু খুলে রাখতে। আর আমরা আগে থেকেই জানতে পেয়েছিলাম বলে আমাদের স্যার ম্যাডামরা আমাদেরকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়েছিল। তাই আমাদের সমস্যা হয়নি ।আসলেই সেদিনটার কথা মনে হলে আজও বুকের ভেতর কেমন করে ওঠে সেদিনের কথা আমার আজও মনে আছে।
ধন্যবাদ সবাইকে তখন আমার সাথে থাকার জন্য ।আশা করি আমার এই ছোটবেলার শীতকালের স্মৃতিগুলো আপনাদের পড়ে অনেক ভালো লাগবে। আজকের পর্যন্ত শেষ করছি আমাদের নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
আমাদের সবার জীবনেই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো রয়েছে। যেগুলো মনে করলে বেশ খারাপ লাগে যদি আগের দিনগুলো ফিরে পেতাম আবার। আপনার গল্পটি পড়ে প্রথম দিকে ভালই লাগছিল। কিন্তু পরে যখন ডাকাতের কথা শুনলাম তখন একটু ভয় লাগলো যে আপনারা তখন কি করেছেন। পরে দেখলাম আপনাদের ম্যাডাম আপনাদেরকে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। সত্যি বেশ দারুন একটি গল্প ছিল।
শীতের আমেজের এতকিছু বললেন আসল জিনিসটাই তো মিস করে ফেললেন। শীতের দিনে খেজুরের রসের যে মজা সেটি বলে বোঝানো যায় না। ছোটবেলায় এরকম পিকনিকে অনেক গিয়েছি। গাড়িতে অনেক জোরে জোরে গান বাজানো হতো। খুব মজা লাগতো। আর শেষে তো একদম ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। যাদের গাড়িতে ডাকাত পরেছিলো তাদের কি অবস্থা হয়েছিল তা তো জানালেন না । ভালো লাগলো আপনার স্মৃতি গুলো পড়ে। সাথে সাথে আমারও অনেক স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছিলাম।
আসলেই শীতকালের মজাই আলাদা।আমরাও এই ভাবে নাড়া নিয়ে অনেকগুলো জমিয়ে রাখতাম।আর সন্ধ্যা হলে আগুন পোহাতাম।প্রাইভেটে যেতে তো অনেক অলস লাগতো।গরম কাপড় পরা,বিভিন্ন পিঠা খাওয়া খুব আনম্দের।
আসলেই ছোট বেলার শীত কালের অনেক গল্পই এখনো মনে পড়ে ৷ আমরাও ধান গাছের নাড়া আনতে যেতাম ক্ষেতে , এরপর তা সকাল ও সন্ধ্যা বেলায় তা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতাম ৷ আর প্রাইভেট তো মাঝে মাঝে যেতামি নাহ
, কুয়াশা আর সকাল বেলা ঘুম না ভাঙ্গার জন্য ৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার ছোট বেলার শীত কালের স্মৃতি গুলো পড়ে , আপনার গল্পের সাথে আমার ছোট বেলারও বেশ মিল আছে ৷
আপনার এত সুন্দর শৈশবে কাটানো শীতকালের অনুভূতিগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। শীতকালে সত্যিই অন্যরকম মজা হতো। শৈশবের এই স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে সত্যি হৃদয় শিউলিত হয়ে ওঠে। আসলে যা বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। শীতকালের এত চমৎকার অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।