আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ০৬/২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করব। এই রেসিপিটা খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুব কম খুঁজে পাওয়া যায় ।আমার কাছে এই রেসিপিটা অনেক মজাদার একটি রেসিপি বিশেষ করে হালকা হালকা শীতে এই রেসিপিটা বেশি তৈরি করা হয়। এমনিতেই আমরা চিনি দিয়ে পাকান ভেজে থাকি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আখের গুড় দিয়ে পাকান বানানো শেয়ার করব। অনেকদিন আগে আমি চিনি দিয়ে পাকান বানিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করছিলাম ।আবারও ইচ্ছে হলো পাকান খাওয়ার ,সেজন্য আজকে পাকানটা একটু অন্যরকম ভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক লবনীয় সেই রেসিপিটা কিভাবে আমি বানিয়েছি।
।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | চাউলের ময়দা | পরিমাণমতো |
২ | আখের গুর | পরিমাণমতো |
৩ | লবণ | স্বাদমতো |
প্রথমে আমি পরিমাণ মতো চাউলের ময়দা নিয়ে নিয়েছি ।আপনারা যদি চাউলের ময়দার পরিবর্তে রোলার ময়দা দিয়ে তৈরি করতে চান তাও পাকান তৈরি করতে পারেন।
এবার আমি পরিমাণ মতো লবণ চাউলের ময়দার সাথে মিশিয়ে নিব।
এবার আমি অল্প একটু পানি দিয়ে ময়দাটা পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিব নিয়ে একটু ছেনে নিব।
এবার আমি পরিমাণমতো আখের গুড় নিয়ে নিব আপনারা যতটুকু আখের গুড় দিতে চান সেটুকুও দিতে পারেন।
এবার আমি পরিমানমতো পানি দিয়ে আখের গুড়ের সঙ্গে চাউলের ময়দা অনেক সুন্দর ভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। ছবিটা আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এরকম ভাবে মিশিয়ে নিবেন।
এবার আমি ছোট একটা বাটিতে পরিমাণমতো ময়দা নিয়ে নিব পাকান ভাজার জন্য। বাটির পরিবর্তে আপনারা কাঠের চামচ ব্যবহার করতে পারেন ।
এবার আমি চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল দিয়ে তেলের উপর চায়ুলের ময়দা দিয়ে দিব। এইতো অনেক সুন্দর ভাবে পাকানটা তিলের উপর দিয়ে দিয়েছি।
এই তো অনেক সুন্দর ভাবে পাকান ভাজা হয়ে গিয়েছে, পাকানটা একটু লালচে লালচে হয়েছে।
আজকে আখের গুড় দিয়ে পাকান বানিয়ে খেয়ে দেখলাম কতটা ভালো লাগে । আখেরর গুড় দিয়ে পাকান আসলেই খেতে অনেক মজাদার হয়ে থাকে। আপনাদের যদি পাকানটা ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই বাড়িতে বসে আখের গুড় দিয়ে পাকান বানাতে পারবে।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি আমার আখের গুড় দিয়ে পাকান বানানো আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
তেলেভাজা এ ধরনের পাকান পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে আমার। আখের গুড় দিয়ে পাকান পিঠা তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে কয়েকটা পাকান পিঠার কিছু অংশ মনে হচ্ছে হালকা পুড়ে গেছে। যাহোক সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পিঠা খেতে আমার সবসময় অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আখের গুড় দিয়ে পাকান পিঠা তৈরি করেছেন দেখে আমার ও খেতে ইচ্ছে করছে। এধরনের তেলে ভাজা পিঠা গুলো খেতে দারুন মজা হয়ে থাকে। বিশেষ করে শীতের সময় এই তেলের পিঠা খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। ধন্যবাদ মজাদার একটি পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গুড় দিয়ে তৈরি পাকান পিঠা যেটা অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না । এই ধরনের পিঠা আমাদের দিকে আঞ্চলিক ভাষায় ভাজা পিঠা বলে। খেতে দারুন মজা মিষ্টি জাতীয় খুবই মজা লাগে। আখের গুড় দিয়ে তৈরি হয় সেজন্যই খেতে অনেক মজা লাগে। আপনার আজকের পাকান পিঠার রেসিপি খুবই পছন্দ হয়েছে।
আখের গুড় দিয়ে পাকান পিঠা তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। যদিও বেশিরভাগ সময় চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে এভাবে তৈরি করলেও অনেক মজার হয় খে। দারুন হয়েছে আপু আপনার তৈরি করা রেসিপি।
এই শীতে এই পিঠা বানায়নি এমন মানুষ সত্যি খুজে পাওয়া যাবে না।আমাদের এলাকায় তেল পিঠা বলে এই পিঠাকে।ভীষণ সুস্বাদু হয়ে থাকে এই পিঠা।এই পিঠা গরম গরম এবং বাসি করে খেতেও বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।