আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ শুক্রবার, নভেম্বর ২৫/২০২২
হ্যালো বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । অন্যদিনের থেকে আজ আমি একটু ভিন্ন পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আপনারা হয়তো সবাই চালকুমড়া চেনেন ।আপনারা চালকুমড়া ভাজি করে বা রান্না করে খেয়েছেন ?অনেকে হয়তো জানেন না চাল কুমড়া দিয়ে বড়ি তৈরি করা যায় আবার অনেকে হয়তো জানে ।আবার অনেকে হয়তো কুমড়ার বড়ি হয় কোনদিন শোনেনি। জানা অজানা রেসিপিটা আজকে আমি আপনাদের মাঝে কিভাবে তৈরি করতে হয় আপনাদের কে শিখিয়ে দিব। কুমড়ার বড়ি সাধারণত শীতকালে তৈরি করা হয়। শীতকালে যখন চাল কুমড়া হয় এবং নতুন কালায় ওঠে তখন এই চাল কুমড়া আর কালাই দিয়ে চাল কুমড়ার বড়ি তৈরি করা হয়। বিশেষ করে চাল কুমড়ার বড়ি গ্রামাঞ্চলে অনেক জনপ্রিয় গ্রাম অঞ্চলের মানুষরা শীতকালে কুমড়ার বুড়ি দিয়ে থাকে। বুড়িটা তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম হয়ে থাকলেও খেতে অনেক মজাদার ।তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক চাল কুমড়া দিয়ে কিভাবে বড়ি তৈরি করা যায়।
••••কুমড়ার বড়ি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো••••
| ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
|---|
| ১ | চাল কুমড়া | যেটুকু দিতে ইচ্ছুক |
| ২ | কালাই | বেশি পরিমাণ |
| ৩ | চাল কুমড়ার ঝুড়ি | অল্প পরিমাণ |
| ৪ | মই | একটি |
| ৫ | চারু | একটি |
আমাদের বাড়িতে চাল কুমড়া গাছ হয়েছিল সেখান থেকে আমি চাল কুমড়া সংগ্রহ করে নিয়েছি। আপনারা চাইলে বাজার থেকে চাল কুমড়া কিনে আনতে পারেন। চাল কুমড়া কেনার সময় সম্ভবত আপনারা টাটকা চাল কুমড়া গুলো কিনবেন।
এবার আমি চাল কুমড়ার মাঝখান দিয়ে কেটে নিব ।কেটে নেওয়ার পর চাল কুমড়ার ঝুড়ি কুড়ার মেশিন দিয়ে চাল কুমড়ো গুলো অনেক সুন্দরভাবে কুরে নিব ।আপনারা দেখছেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে চাল কুমড়া গুলো কুরে নিয়েছি। চাল কুমড়া গুলো কুরে নেওয়ার পর হাত দিয়ে অনেকক্ষণ চটকিয়ে নিলে চাল কুমড়া টক গুলো বের হয়ে যায়। যখন হাত দিয়ে অনেকক্ষণ চটকানো হয়ে যাবে তখন আমি পানি দিয়ে অনেকবার চাল কুমড়ার ঝুড়িগুলো ধুয়ে নিব। ধুয়ে নেওয়া হয়ে গেলে আমি শুকনো কাপড় দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে চিপে নিব। খেয়াল রাখবেন যেন বেশি পরিমাণ পানি না থাকে বেশি পরিমাণ পানি থাকলে চালকুমড়ার বড়ি সুন্দর হবে না।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটা ঝুরিতে আমি অনেকগুলো কালায় রেখে দিয়েছি ।প্রথমে আমি কালার গুলো চাকির সাহায্যে ভেঙে নিব ।ভাঙ্গা হয়ে গেলে আমি অনেক পানির ভেতর কালায়গুলো ভিজাতে রেখে দিব ।অনেকক্ষণ ধরে ভেজাতে রেখে দিলে কালায়য়ের খোশাগুলো গা থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে। যখন দেখব অনেকক্ষণ হয়ে গিয়েছে তখন আমি সেগুলো ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিব ।নিয়ে পানি ঝরিয়ে রেখে দিব ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন।
এবার আমি শুকনা চাল কুমড়ার ঝুড়ি ও শুকনা কালায়গুলো মিশিয়ে নিব কোটার জন্য। আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে ডাল কোটানো মেশিন আছে সেখান থেকে আমি চাল কুমড়া ও কালায় কুটিয়ে নিয়েছি।
আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন অনেক সুন্দর ভাবে ডাল ও চাল কুমড়ার ঝুড়ি কটানো হয়ে গিয়েছে ।খেয়াল রাখতে হবে চাল কুমড়ার ঝুড়ি যাতে মিলন ভাবে কটানো হয় এগুলো মোটা হলে বড়ি তেমন একটা সুন্দর হয় না।
এবার আমি কোটানো ঝুড়িগুলো হাতের সাহায্যে অনেকবার ছেনে নিব। ছেনে নিলে দেখবেন ঝুড়িগুলো অনেক সাদা হয়ে যাবে এবং পাতলা হয়ে যাবে। সানা ভালো না হলে বড়ি তেমন একটা সাদা হয় না ।তেমন সেজে না খেতেও তেমন একটা ভালো লাগে না ।তাই আপনারা খেয়াল রাখবেন ছানা যেন অনেক সুন্দর হয়।
এবার আমি একটা মই নিয়ে নিব ।মই নেয়ার পর মই এর সাথে চারু অনেক সুন্দর ভাবে বেঁধে নিবো । নেওয়ার পর হাতের সাহায্যে চাল কুমড়ার ঝুড়ি অনেক সুন্দর ভাবে গোল গোল করে বড়ি বসিয়ে নিব।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর ভাবে কুমড়ার বড়ি হয়ে গিয়েছে । বড়িগুলো হালকা হালকাভাবে শুকিয়েও গিয়েছে যখন অনেক সুন্দর ভাবে শুকিয়ে যাবে তখন আপনারা বড়িগুলো তুলে নিতে পারবেন। যদি কেউ বড়ি বানাতে না পারেন বা কোনদিন বানানো দেখেননি আমার ধাপ অনুসরণ করলে খুব সহজেই বড়ি বানাতে কিভাবে হয় আপনারা জেনে নিতে পারবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে এতখন আমার সাথে থাকার জন্য ।আশা করি বড়ি বানানোর পদ্ধতি আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
ওয়াও কি চমৎকারভাবে চাল কুমড়োর বড়ি তৈরি করতেছেন। আমি আগে কখনো এরকম ভাবে চাল কুমড়ো বড়ি তৈরি করা দেখিনি। বড়ি গুলো দেখেই মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে। কখনো চাল কুমড়ো বড়ি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি করা চাল কুমড়োর বড়ি দেখে ভাবতেছি এইভাবে একবার তৈরি করে দেখব। আসলে আমার কাছে এই জিনিসটি একেবারে ইউনিক মনে হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আম্মু আজকে চাল কুমড়ার বড়ি বাড়িতে রান্না করছিল আসলেই বড়িগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
চাল কুমড়া দিয়ে এত সুন্দর করে বড়ি তৈরি করা যায় তা আগে কখনো দেখিনি। এবং এর চাল কুমড়ার বড়ি গুলো কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করার দাপ গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে যে কেউ চাইলে খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিতে পারবে। আপনার চাল কুমড়া বড়ি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে এগুলো খুবই সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর চাল কুমড়ার বড়ি তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে অনেকেই হয়তো জানে না চালকুমড়া দিয়ে এত সুন্দর বড়ি তৈরি করা যায়।
চাল কুমড়ার বড়ি খেতে নাকি অনেক ভালো লাগে সবার কাছে শুনেছি। তবে কোনদিন খাওয়া হয়নি। আজকে চাল কুমড়ার বড়ি তৈরির পদ্ধতি দেখে ভালো লাগলো। জানিনা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় কিনা। তবে আপনার তৈরি করা চাল কুমড়ার বড়ি খেতে ইচ্ছে করছে। চাল কুমড়ার বড়ি শুকনো হলে আমাদের জন্য কিছু পাঠিয়ে দিয়েন আপু।
আমার কাছে চালকুমড়ার বড়ি অনেক ভালো লাগে ।আপনি তৈরি করে একদিন খেয়ে দেখবেন আপনারও খেতে অনেক ভালো লাগবে।
পরশুদিনই বাড়িতে যে পিসির কাজ করেন উনি বলছিলেন যে চাল কুমড়া দিয়ে এখন বড়ি দেওয়া যায়। আমি জানতাম না চাল কুমড়ো দিয়েও যে বড়ি হয়।বড়ি জানতাম সবসময়ই ডালের হয়। ম্যাক্সিমাম টাইমই আমাদের বিরুদ্ধে বিউলির ডাল আর মটরের ডালের বড়ি আনা হয়। যদিও বড়ি দেওয়ার নিয়ম নেই আমাদের বাড়িতে। তাই কেনাটাই আমরা ব্যবহার করি। তবে আপনার এই ইউনিক পদ্ধতিতে বড়ি দেওয়াটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।