আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২৩/২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে মাছ রান্না রেসিপি শেয়ার করব। চ্যাং মাছ থেকে আমরা পচুর পরিমাণ রক্ত পেয়ে থাকি।চ্যাং মাছ খেতে আমার অনেক ভালো লাগে অনেকেই আবার ভর্তা খেতে অনেক পছন্দ করে ।ভর্তা আমার তেমন একটা ভালো লাগেনা ।কিন্তু যে কোন সবজির সাথে চ্যাং মাছ খেতে অনেক মজা লাগে। আপনারা হয়তো চ্যাং মাছ সবজি দিয়ে বা ভুনা করে খেয়েছেন। অনেকে হয়তো বাটা মাছ একসঙ্গে রান্না করে খাননি। কিছুদিন ধরে আমাদের পুকুর ছেকা হচ্ছে পুকুর ছেকার পর চ্যাং মাছ গুলা বাড়িতে এনেছিল ।চ্যাং মাছ আমি অনেক পছন্দ করি বলে পরিষ্কার করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম। আজকে ফ্রিজ থেকে বের করে চ্যাং মাছ ও বাটা মাছ রান্না করলাম ।বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক চ্যাং মাছ ও বাটা মাছ রান্না রেসিপি ।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
২ | লবণ | স্বাদমতো |
৩ | জিরা | পরিমাণমতো |
৪ | শুকনা মরিচ | পরিমাণমতো |
৫ | হলুদের গুড়া | পরিমাণমতো |
৬ | চ্যাং মাছ | পরিমাণ মতো |
৭ | বাটা মাছ | পরিমানমতো |
৮ | সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি চ্যাং মাছ ও বাটা মাছ পরিষ্কার করে পানি দিয়ে অনেকবার ধুয়ে নিয়েছি ।ধুয়ে নেওয়ার পর সাইজ করে কেটে নিয়েছি ।ছবিটা আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন, ঠিক এরকম ভাবে সাইজ করে কেটে নিতে পারেন।
এবার আমি চ্যাং মাছ ও বাটা মাছ পরিমাণমতো হলুদের গুড়া ,পরিমাণমতো লবণ মাখিয়ে নিব মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিব।
এবার আমি চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে তেলটা একটু গরম করে নিব ।তেলটা গরম করা হয়ে গেলে বাটা মাছ ও চ্যাং মাছ ভাজার জন্য তেলের উপর দিয়ে দিব।
এবার আমি পরিমাণমতো শুকনা মরিচ ,পরিমাণমতো হলুদের গুড়া ,পরিমাণমতো লবণ ,পরিমাণমতো জিরা নিয়ে নিব।
এবার আমি পেঁয়াজ ,শুকনা মরিচ, জিরা পাটার সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে বেটে নিব ।বাটা হয়ে গেলে চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে সয়াবিন তেলে বেটে রাখা শুকনা মরিচ হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিব দিয়ে একটু কষিয়ে নিব ।ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো কষানো হয়ে গেলে চ্যাং মাছ ও বাটা মাছ দিয়ে দিব দিয়ে সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো পানি দিব ।
দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর ভাবে মাছ অনেকটা সিদ্ধ হয়ে এসেছে। সিদ্ধ করার সময় পানির পরিমাণ একটু কম দিলে ভালো হয় ।পানি পরিমাণ বেশি হলে মাছটা সম্ভবত ভেঙ্গে যায়।
অবশেষে চ্যাং মাছ ও বাটা মাছ রান্না করা হয়ে গিয়েছে । আসলেই রান্নাটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই চ্যাং মাছ বাটা মাছ অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করতে পারবেন।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি আমার চ্যাং মাছ বাটা মাছ রান্না আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
চ্যাং মাছ আমার কাছে নতুন লেগেছে। মনে হচ্ছে আমরা একে অন্য মাছ নামে চিনি। যাইহোক আপনি চ্যাং ও বাটাম আছে খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে মাছের ঝোল খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খুবই মজাদার একটি মাছের রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। চ্যাং মাছ আমাদের এদিকে কোন নামে চেনা হয়ে থাকে। যাই হোক খুবই মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।