আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ শুক্রবার, মে ০৩/২০২৪
Source
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি ।আজ আমি আপনাদের সাথে সাথী ও পলাশের কিছু গল্প শেয়ার করব। পলাশ মধ্যহিত পরিবারের ছেলে ।সে পড়াশোনায় অনেক ভালো। তারা তিনটা ভাই তিনটা ভাই অনেক ভালো। পলাশ বাইরে পড়াশোনা করে পরিবারের সব দায়িত্ব সেই মোটামুটি পালন করে থাকে ।পড়ার পাশাপাশি পলাশ টিউশনিও করায়। টিউশনি করে নিজের হাত খরচ নিজেই চালায় ।বাড়ি থেকে তেমন একটা টাকা পয়সা নেই না বললেই চলে। পলাশের যখন পড়াশোনা মোটামুটি শেষ গেল তখন ভাবল সে বিয়ে করবে ।তখন তার আম্মু বলল আমার একটা মেয়ে পছন্দ আছে ।আমার বোনের মেয়ে একজনার নাম সাথী আরেক জনের নাম বিথি ।তারা দুইজন জমজ মেয়ে। বড়টার নাম সাথী তার সাথে পলাশের বিয়ের কথা বলল । সাথীর সাথে পলাশের বিয়ের কথা বলাতে পলাশ অনেক খুশি হলো এবং রাজি হলো। তখন পলাশ ও সাথী ফোনে কথা বলতে শুরু করল ।পলাশ ও সাথীর পারিবারিক সব কথাই দুজনার ভেতর বলা কওয়া হয়ে থাকে ।এমনকি সাথির যা যা প্রয়োজন সেগুলো পলাশ আগে থেকেই কিনে রেখেছিল। সাথীর মা রাজি হলেও বাবা তেমন রাজি না। কিন্তু এদিকে পলাশের বাড়ির সবাই অনেক খুশি এবং সবাই সাথীকে অনেক পছন্দ করত ।আগে থেকেই এদিকে সাথী ও পলাশের প্রতিদিন কথা হয় ।ফোনে দুজন দুজনাকে অনেক পছন্দ করতে শুরু করে এমনকি পলাশ সাথীকে ভালোবেসে ফেলে।
Source
সাথী ও পলাশের বিয়ের কথা তার মা এবং সাথীর মা ডিসাইড নিল এক মাসের মধ্যে তাদের দুজনাকে বিয়ে দিয়ে দেবে ।এদিকে পলাশের বাড়ির লোকেরা সবকিছু জোগার জানতি করতে শুরু করে দিল ।বিয়েতে ছাগল জবাই হবে বলে আগে থেকে ছাগল কিনে রেখেছে। রান্নাতে খড়ির প্রয়োজন হবে বলে আগে থেকেই চলা করে রেখেছে ।২০০ জন লোককে দাওয়াত দেবে বলে প্রস্তুত নিয়েছে ।এদিকে পলাশ ও সাথীর কথা হয় বিয়ের দিন কি পড়বে ।তখন সাথী পলাশকে বলে আমি বিয়ের দিন কোন বেনারসি বা লেহেঙ্গা পরবো না ।আমি বিয়ের দিন বোরকা পরবো ।তখন পলাশ সাথীকে বলে আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমাকে বেনারসি কিনে দিবো ।তুমি বেনারসির উপর বোরখা পড়ে এসো ।আমাদের বাসায় এবং বিয়ের পরের দিন কি পড়বে তাও তারা ডিসাইড করে ।তখন পলাশ সাথীকে বলে আমি তোমাকে দুইটা থ্রি-পিস এবং দুইটা বেনারসি কিনে দিবো ।আমি আপনাদের আগেই বলেছি সাথির বাবা একটু রাজি হয়েছিল না ।এখন সাথীর বাবার কিছুই বলার নেই। তাদের সবকিছু জোগাড়ান্তি হয়ে গিয়েছে।পলাশের বাবা অসুস্থ সেজন্য পলাশের আম্মু চেয়েছিল বিয়েটা একটু তাড়াতাড়ি হওয়ার জন্য। কেননা তার বাবার ইচ্ছে বড় ছেলের বিয়ে দেখে যাবে ।পলাশের বাবার অনেক বয়স হয়েছিল পলাশ কোন চাকরির ভেতর ছিল না সেজন্য সাথীর আব্বু রাজি হতে চেয়েছিল না ।অবশেষে সাথীর বাবা বলল সাথীর দাদি নাকি সাথীকে ওখানে বিয়ে দেবে না এবং সাথীকে কি বোঝাল তখন সে বলল আমি ওখানে বিয়ে করব না। এতদিন কথাবার্তার পর এভাবে পিছিয়ে গেলে মানুষের মনে অনেক আঘাত পায়।
Source
সাথীর বাবা সাথীকে বিয়ে দিল এক প্রবাসীর ছেলের সাথে। সাথীর যখন বিয়ে হয়ে গেল তখন পলাশ অনেক ভেঙ্গে পরল এবং অনেক কষ্ট পেল ।শুধু পলাশনা পলাশের বাড়ির সবাই অনেক কষ্ট পেয়েছে ।সাথীদের বাবার এই ব্যবহারের কারণে পলাশের বাবা তখন বলল আমি আমার ছেলেকে তাহলে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিব। পলাশ তখন বলল আমি এখন বিয়ে করবো না আমি ওদেরকে দেখিয়ে দিব। তখন পলাশ অনেক পড়াশোনার করার পর এখন ডাক্তার হয়েছে ।অনেক মানুষের পলাশের হাত দিয়ে অনেক উপকার হয় ।এবং অনেক সেবা পেয়ে থাকে। অনেক দিন পর পলাশ ও বিয়ে করেছে পলাশের একটা ছোট্ট ফুটফুটে ছেলে সন্তান হয়েছে ।তার পরিবার পলাশের ছেলেকে নিয়ে অনেক খুশি। তারা এখন আনন্দে বসবাস করছে কিন্তু ওদিকে সাথীর পরিবারের অবস্থা তেমন একটা ভালো নেই। সাথীর বাবা অনেক অসুস্থ সাথীর বাবা নাকি অনেক বড় আসুক হয়েছে। ইন্ডিয়ায় নিয়ে যেতে হবে নিয়ে যেতে হলে অনেক টাকা পয়সার ব্যাপার আছে। কিন্তু সাথীর বাবার পরিবার এখন কি করবে তাদের এখন কোন উপায় নেই ।অবশেষে পলাশের বাবাকে বলল কিছু টাকা ধার দিতে চিকিৎসা করার জন্য ।তখন পলাশের বাবা পলাশ কে বলল সাথীর বাবার ব্যাপারে তখন পলাশ বলল সমস্যা নেই আমি যত টাকা লাগে দিব চিকিৎসা করার জন্য। তুমি খালুকে বলো ইন্ডিয়ায় যাওয়ার জন্য। সাথীর বাবা পলাশের পরিবারের সঙ্গে যা করেছিল এটা কিন্তু মোটেও ঠিক ছিল না। কিন্তু পলাশের বাবার সাথীর বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারল না। আশা করি সাথীও পলাশের গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কতটা ভালো লেগেছে আশা করি আপনারা কমেন্টে জানাবেন।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি সাথী ও পলাশের গল্প আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
গল্প লেখার ক্ষেত্র আরো একটু ভালোভাবে মনোযোগী হতে হবে, বাক্যগুলো সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করতে হবে। আর বানান এর বিষয়টির প্রতি বিশেষভাবে যত্নশীল হতে হবে। মাত্র তিনটি প্যারা করেছেন, আপনি চাইলে এটাকে ছয়টি প্যারায় লিখতে পারতেন, তাতে আরো বেশী সুন্দর হতো। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এবার থেকে গল্প লিখলে একটু বেশি করে প্যারা করার চেষ্টা করব।