||বিস্কিট পিঠা রেসিপি ||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ
বুধবার, জুলাই ০৬/২০২২
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। কিছুদিন অসুস্থ থাকার কারণে নিয়মিত পোস্ট করতে পারেনি কিন্তু আজকে আমি সুস্থ হয়ে আবার আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি ।আশাকরি আপনাদের দেখে অনেক ভালো লাগবে। আজকে আমি আপনাদের সাথে বিস্কিট পিঠা রেসিপি শেয়ার করব ।এখন বৃষ্টির সময় ঘরে বসে কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে তাই ভাবলাম কিছু বিস্কিট পিঠা তৈরি করে বয়মে রেখে দি মাঝেমধ্যে খাওয়া হবে ।এমনিতে আমার মিষ্টি খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু মিষ্টি খাবারটা যদি একটু অন্যরকম হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে । বিস্কুট পিঠা অনেকদিন ধরে রেখে খাওয়া যায় আমাদের এদিকে এই রেসিপিটা অনেক জনপ্রিয় একটি রেসিপি বৃষ্টির সময় আমাদের বাড়ির আশেপাশের প্রায় বাড়িতে বিস্কিট পিঠা রেসিপি তৈরি করতে দেখা যায়। বিশেষ করে মুড়ি দিয়ে বিস্কিট পিঠা খেতে ভালো লাগে। রেসিপিটা তৈরি করতে তেমন একটা সময় লাগে না। পরিমাণমতো নারিকেলের ঝুড়ি, পরিমাণমতো চিনি , পরিমাণমতো সয়াবিন তেল, পরিমানমতো চাউলের ময়দা, পরিমান মত দুধ দিয়ে খুব সহজেই রেসিপিটা তৈরি করা যায়।
••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | চাউলের ময়দা | পরিমাণমতো |
২ | চিনি | পরিমাণমতো |
৩ | সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
৪ | লবন | স্বাদঅনুযায়ী |
৫ | দারচিনি | তিনটা |
৬ | এলাচ | চারটা |
৭ | পিঠা বানানো | ছাচ |
প্রথমে আমি পরিমাণমতো চাউলের ময়দা নিয়ে নিয়েছি ।চাউলের ময়দা দিয়ে বিস্কিট পিঠা তৈরি করলে খেতে বেশি মজাদার হয় । আপনারা চাইলে রুলার ময়দা দিয়ে বিস্কিট পিঠা তৈরি করতে পারেন কিন্তু রোলার ময়দা থেকে চাউলের ময়দা দিয়ে বিস্কিট পিঠা তৈরি করলে খেতে বেশি মুচমুচে হয়।
প্রথমে আমি একটা নারিকেল সুন্দর করে কুড়ে নিয়েছি ।নারিকেল দিলে বিস্কিট পিঠা খেতে বেশি সুস্বাদু হয় ।কেউ, কেউ আবার বিস্কিট পিটাতে নারকেল কুচি ব্যবহার করে না কিন্তু নারকেল ব্যবহার করলে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।
এবার আমি চুলায় রাখা কড়াইয়ের উপর পরিমানমতো দুধ ,পরিমানমতো চিনি, পরিমাণমতো লবণ, তিনটা দারচিনি, চারটা এলাচ ,অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিব । বিস্কিট পিঠাতে এলাচ ও দারচিনি ব্যবহার করলে সুন্দর একটা সেন্ড বের হয়। কেউ কেউ আবার বিস্কিট পিঠাতে কালিজিরা ব্যবহার করে থাকে। আপনারা চাইলে এর সঙ্গে কালিজিরা দিতে পারেন।
এবার আমি পরিমাণমতো চিনি, পরিমাণমতো দুধ , চারটা এলাচ, তিনটা দারচিনি পরিমাণমতো পানি দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিয়ে চাউলের ময়দা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিব। যখন দেখব চাউলের ময়দাগুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে তখন কড়া থেকে নামিয়ে নিব।
এবার আমি চাউলের ময়দাগুলো কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে নিব ।ঠান্ডা করা হয়ে গেলে হাতের তালু দ্বারা ভালোভাবে সেনে নিব।
এবার আমি ছানা চাউলের ময়দা গুলো গোল গোল করে নিব। গোল করা হয়ে গেলে বিস্কিট পিঠা বানানো ছাচের সাহায্যে পিঠাগুলো সুন্দরভাবে তৈরি করে নিব ।প্রথমে ছাচের উপর দিয়ে আরেকটা ছাচ দিয়ে চাপ দিলেই অনেক সুন্দর ভাবে বিস্কিট পিঠা তৈরি হয়ে যাবে। ছবিতে আপনারা যেমন দেখতে পাচ্ছেন এমন করে তৈরি করতে হবে।
এবার চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ের উপর সোয়াবিন তেল দিয়ে কিছুক্ষণ সয়াবিন তেল গরম করে নিব ।গরম করা হয়ে গেলে বানানো বিস্কিট পিঠাগুলো তেলের উপর দিয়ে দিব।
এবার আমি চামুচের সাহায্যে বিস্কিট পিঠাগুলো উল্টিয়ে দিব।
এবার ঝটপট তৈরি হয়ে গেল আজকের সেই রেসিপি বিস্কিট পিঠা রেসিপি ।বিস্কিট পিঠাগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে খেতে অনেক মজাদার হয়েছে।
- ধন্যবাদ সবাইকে এতখন আমার সাথে থাকার জন্য ।আশা করি আমার এই বিস্কিট পিঠা রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
এরকম পিঠা এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আজকে প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এরকম একটি রেসিপি দেখলাম। পিঠা টি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এইভাবে করে কখনো বিস্কুট পিঠে বানানো হয়নি। আপনার কাছ থেকে নতুন একটা রেসিপি শিখে নিয়েছি আপু আমি অবশ্যই বাসায় একবার ট্রাই করবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বিস্কিটের মজাদার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
সকালে উঠেই এত সুন্দর ডিজাইনের বিস্কুট পিঠা দেখেই ক্ষুধা লেগে গেল। আমিও কিছুদিন ধরে এই পিঠা তৈরির কথা ভাবছিলাম। তবে সময় মিলাতে না পারায় এখনো তৈরি করতেই পারিনি।
এই পিঠাগুলো এমনিই খুব স্বাদের হয় তারপর আপনি এত সুন্দর ছাচে ফুলের ছাপ দিয়েছেন। এর সৌন্দর্যের কারণে স্বাদ আরো বেড়ে যাবে মনে হচ্ছে।
আসলেই বিস্কিট পিঠাটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
বিস্কিট পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এভাবে বিস্কিট পিঠা কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বিস্কিট পিঠা রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমি কখনই এই রেসিপি তৈরি করিনি। তবে আপনার ধাপে ধাপে উপরে উপস্থাপন দেখে আমি শিখে নিলাম, পরবর্তী তৈরি করব ইনশাআল্লাহ।
রেসিপিটা তৈরি করতে তেমন একটা সময় লাগে না চেষ্টা করলে আপনিও পারবেন।
বাসায় এভাবে কখনো বিস্কিট পিঠা বানিয়ে খাওয়া হয়নি। আপনার বিস্কিট পিঠা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বিস্কিট পিঠা রেসিপি দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। এধরনের রেসিপি দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমিও শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
আমার বিস্কিট পিঠাটা খেতে ইচ্ছে করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বহু বছর পর আমার পছন্দের এ পিঠাটির রেসিপি আবার দেখতে পেলাম। সত্যি বলতে কি এটা আমার খুবই পছন্দের একটি পিঠা কিন্তু অনেকদিন খাই না। বিশেষ করে বানানোর প্রক্রিয়াটাই ভুলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু সুস্থ হয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।আমারও মিষ্টি অনেক পছন্দ। এই রকম পিঠা বানিয়ে খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে।আমাদের বাসায়ও বানানো হয়।তবে আমরা হাতে নকশা করি বেশির ভাগ।আপনাকে ধন্যবাদ
আপনার মিষ্টি অনেক পছন্দ শুনে ভালো লাগলো ,আমিও মিষ্টি খাবার খেতে অনেক ভালোবাসি।
আপনার বিস্কিট পিঠা রেসিপি দেখে আমার খুবই লোভ লেগে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে তো খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে বিস্কিট পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।