||বাড়িতে বসানো দই ||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ বুধবার, নভেম্বর ০২/২০২২
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । অনেকদিন পর ইচ্ছে হলো দই খাওয়ার এমনিতেই আমার বাড়িতে তৈরি করা দই খেতে অনেক ভালো লাগে ।বাইরে যেগুলো বিক্রয় করে সেগুলো তেমন একটা খেতে ইচ্ছে করে না ।হাতে আজকে সময় ছিল তাই মনে হলো আজকে দইটা বসিয়ে ফেলি। কেননা কিছুদিনের মধ্যে আমাদের বাড়িতে আত্মীয় আসবে তাই দইটা বানানো অনেক জরুরি। তো আজকে আমি আপনাদের সাথে কিভাবে বাড়িতে বসে দই বানানো যায় শেয়ার করব। দই আমাদের সমাজে একটি জনপ্রিয় রেসিপি ।দই পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। রেসিপিটা আদিকাল থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে। আদিকালে কোথাও অনুষ্ঠান হলে সেখানে আগে দই চিরে ,মুড়ি খেতে দেওয়া হতো। দই মানুষের এত পছন্দ যে কেউ চিরে দিয়ে খাই, কেউ লুচির সাথে খাই, কেউ আবার ভাতের সাথেও খেয়ে থাকে তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক কিভাবে বাড়িতে বসে দই তৈরি করা যায়।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | চিনি | ১ কিলো |
২ | পানি মিশানো পেকেট দুধ | ৫কিলো |
৩ | সাজা | যেটুকু দিতে ইচ্ছে |
প্রথমে আমি পেকেটের দুধ পানির সাথে মিশিয়ে নিব ।খেয়াল রাখতে হবে পানিতে মেশানোর সময় অনেক ভালোভাবে হাত দিয়ে বা চামুচের সাহায্যে ভালোভাবে পানির সাথে পেকেটের দুধগুলো মিশিয়ে নিতে হবে ।অনেকক্ষণ ধরে পানি মেশানো পেকেটের দুধ জাল দিতে হবে । যখন জাল দেওয়া হয়ে যাবে তখন দুধগুলোর কালার একটু লালচে আকার ধারণ করবে তখন ভাববেন দুধটা দই বসানোর জন্য অনেকটা তৈরি হয়ে গিয়েছে।
এবার আমি ১ কিলো চিনি নিয়ে নিয়েছি ।আপনারা চাইলে যেমন মিষ্টি দই খেতে চান সেভাবে চিনি পরিমাণমতো দিতে পারেন। মনে রাখবেন চিনির পরিমাণ একটু অল্প হলে দইটা অনেক সুন্দর ভাবে বসবে কিন্তু চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে দই তেমন একটা বসে না।
আমি দই বসানো দুধ জাল দেওয়ার সময় চিনি গুলো দিয়ে দিয়েছি। এবার আমি অল্প পরিমাণ চিনি চুলায়ের উপর রেখে দেওয়া কড়াইয়ে চিনি দিয়ে দিয়েছি।
এবার আমি চিনি গুলো অল্প একটু জাল দিয়ে নিব ।অল্প একটু জাল দিলে চিনির কালারটা অন্যরকম হবে এবং চিনিগুলো গলে যাবে।
এবার আমি জাল দেওয়া চিনির ভেতর অল্প পরিমাণ দুধ দিয়ে দিব।
এবার জাল দেওয়া চিনি গুলো সব দুধের ভেতর মিশিয়ে দিব তাহলে দেখতে দুধের কালারটা এমন হবে।
এবার আমি দই বসানো মাটির পাত্রটা অনেক সুন্দর ভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিব ।রোদে শুকিয়ে নিলে দইটা বসালে সুন্দরভাবে বসবে ।আপনারা মনে রাখবেন দই বসানোর সময় মাটির পাত্রে বসাবেন তাহলে দইয়ের রসটুকু মাটির পাত্র চুষে নিবি কিন্তু মাটির পাত্রে না বসিয়ে অন্য কোন পাত্রে বসান তাহলে ভালো ভাবে বসে না। যখন মাটির পাত্রে দুধগুলো দিয়ে দিবেন তখন সেই সাথে সাজাটুকু দিতে হবে।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দুইটা অনেক সুন্দর ভাবে বসেছে এবং কালারটা অনেক সুন্দর হয়েছে ।আপনাদের যদি আমার এই দুই বানানটা তৈরি করতে চান তাহলে আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই দইটা বানাতে পারবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে এতখন আমার সাথে থাকার জন্য ।আশা করি আমার বাড়িতে বানানো দইটা আপনাদের ভালো লেগেছে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
ফটোগ্রাফার | @mdemaislam00 |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | vivo12a |
আমি প্রথমে মনে করছি আপনি টক দই বসাচ্ছেন।কিন্তু আপনি মিষ্টি দই বসাইছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।আপু সাজা কি জিনিস আমি জানিনা যদি একটু পরিচয় করাই দেন তাহলে ভাল লাগবে।ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দই বসানোর সময় আরেকটা বসানো দই ওই দইয়ের ভেতরে মেশানো হয় এটাই হলো সাজা।
ফটোগুলো আমি প্রথমে দেখে ভেবেছি এটা দুধ চা, কিন্তু পরে পুরটা পরে বুঝলাম দই, দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে নিশ্চই খেতেও অনেক টেস্টি হইছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর এবং সহজ রেসিপি দেয়ার জন্য
দরকারী পোস্ট। যারা জানেনা তাদের অনেক উপকার হবে।
আসলে আপু ঠিক বলেছেন দই সবারই ভীষণ পছন্দের রেসিপি। আমি নিজেও ভীষণ পছন্দ করি। আপনাদের বাড়িতে আত্মীয় আসবে এই জন্য আগে থেকেই তৈরি করে নিয়েছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। কিন্তু আমি সম্পূর্ণ ধাপটা পড়লাম কিন্তু সাজা কি জিনিস এটা বুঝতে পারলাম না। আমি ভাবছিলাম আপনার পোস্ট থেকে ফলো করে তৈরি করব। একটু বুঝিয়ে বললে ভাল হত।
বাহ,খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার তৈরি দই।দই খেতে আমার খুবই ভালো লাগে, তবে বাজারের থেকে কেনা দই তেমন ভালো লাগে না।কিন্তু বাড়ি তৈরি দই অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হয়।আপনার তৈরি দই এর কালারটি চমৎকার এসেছে।আপু সাজা জিনিসটা কি?