হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে সবজি খিচুড়ি রান্না রেসিপি শেয়ার করব। খিচুড়ি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর যদি হয় সবজি খিচুড়ি তাহলে তো ব্যাপারটা জমে যায়। আজগে সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল ।তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবছিলাম কি রান্না করা যায়। তখন ভাবলাম এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় খিচুড়ি রান্না করলে ভালো হয়। খিচুড়ি সম্ভবত ঠান্ডার দিনে রান্না করলে ভালো লাগে খেতে। গরম আবহাওয়ায় খিচুড়ি খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। গরম আবহাওয়ায় খিচুড়ি রান্না করলে অনেকের আবার পেটের সমস্যা হয়ে থাকে ।আজকে সকালে যেমন ঠান্ডা আবহাওয়া তেমনি সবজি খিচুড়ি। সকালের খাবারটা ঠিক জমে গিয়েছিল ।সবজি খিচুড়ি খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ভালো। এতে অনেক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় ।তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক কিভাবে আমি সবজি খিচুড়ি রান্না করেছি ।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | মিষ্টি কুমড়া | পরিমাণমতো |
২ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
৩ | লবণ | স্বাদমতো |
৪ | জিরা | পরিমাণমতো |
৫ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণমতো |
৬ | হলুদের গুড়া | পরিমাণমতো |
৭ | রসুন কুচি | পরিমাণমতো |
৮ | আলু | পরিমাণমতো |
৯ | বেগুন | পরিমাণমতো |
১০ | দারচিনি | পরিমাণমতো |
১০ | এলাচ | দুইটি |
পরিমাণমতো মিষ্টি কুমড়া ,অল্প পরিমাণ আলু একটি বেগুন নিয়ে নিয়েছি। ।
এবার আমি আলুগুলো অনেক সুন্দর ভাবে কেটে নিয়েছি ।আলু কাটা হয়ে গেলে বেগুন ও মিষ্টি কুমড়া কাচির সাহায্যে কেটে নিব ।পরিমাণমতো কাঁচা মরিচ কুচি পরিমাণ মতো পেঁয়াজ পরিমাণ মতো রসুন কুচি নিয়ে নিয়েছি ।
এবার আমি পরিমাণমতো মুসুরির ডায়ুল নিয়ে নিব।
এবার আমি মুসুরির ডাল ও চাল পানি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ধুয়ে নিব ।ধুয়ে নেওয়ার পর পরিমাণমতো কাঁচা মরিচ ,পরিমাণমতো রসুন কুচি ,পরিমাণমতো হলুদ ,পরিমানমতো লবণ , পরিমাণমতো পেঁয়াজ কুচি, পরিমাণ মতো দারচিনি ,সয়াবিন তেল ,কেটে রাখা আলু, মিষ্টি কুমড়া ,বেগুন দিয়ে দিব।
এবার আমি জিরা ও দুইটা এলাচ পাটার সাহায্যে বেটে দিব ।
এবার আমি কিছুক্ষণ ধরে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো ভেজে নি।ব ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন।
এবার আমি প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণ মতো পানি দিব ।পানির পরিমাণ একটু বেশি দিলে সবজি খিচুড়িটা একটু পানি পানি থাকে। আর এই পানি পানি সবজি খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে।
এইতো অনেক সুন্দর ভাবে সবজি খিচুড়িটা সিদ্ধ হয়ে এসেছে ।কিছুক্ষণের মধ্যে খিচুড়িটা হয়ে যাবে ।
অবশেষে রান্না করা হয়ে গেল সবজি খিচুড়ি ।
সবজি খিচুড়ি রান্না করার পর পাত্রে তুলে আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি আমার সবজি খিচুড়ি রান্না আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | vivo y 12a |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
বর্ষার দিনে এমন খিচুড়ি খেতে সত্যি খুবই ভালো লাগে। চমৎকারভাবে খিচুড়ি রান্না করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের এই সুন্দর খিচুড়ি রান্না দেখে। দেখে তো আমারই ইচ্ছে করছে রান্না করে খাওয়া শুরু করি। অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে।
আপু রান্না করার আর দরকার নেই আমাদের বাড়িতে আসলে রান্না করে খাওয়াবো আপনাকে।
সকাল থেকে আমাদের এদিকেও বৃষ্টি হচ্ছে আপু। বৃষ্টি ভেজা দিনে খিচুড়ি খেতে ভালোই লাগে। সবজি খিচুড়ি অনেকদিন থেকেই খাওয়া হয় না। আপনার তৈরি করা সবজি খিচুড়ি দেখেই তো খিচুড়ি খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল আপু।
শুনে অনেক ভালো লাগলো আমার খিচুড়ি রান্না করা দেখে ।আপনার খিচুড়ি খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল।
মাঝে মাঝে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে খুব ভালো লাগে। আজ আপনি সবজি খিচুড়ি তৈরি করেছেন। সবজি খিচুড়ি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুব দারুণ হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপি উপস্থাপন অসাধারণ হয়েছে আপু। এতো চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি আবার খিচুড়ি একটু কম পছন্দ করি।যার জন্য তেমন ভাবে খিচুড়ি বেশি রান্না করা হয় না। আমার হাজবেন্ড খুব পছন্দ করে কিন্তু আমি খাই না বলে তারও খাওয়া হয় না। তবে এভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে খিচুড়ি খেতে ভালোই লাগে। তাছাড়া এটা ঠিক বলেছেন বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে খুব ভালো লাগে। রেসিপি তৈরির পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু নিজে যদি কোন কিছু অপছন্দ করা যায় ।তাহলে সেটি তেমন একটা রান্না করা হয় না। এবং বাড়ির মানুষেরও তেমন একটা খাওয়া হয় না।