||সুস্বাদু খির রান্না রেসিপি ||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে। আজ শনিবার, জুন২৫/২০২২
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি ।আশাকরি আপনাদের দেখে অনেক ভালো লাগবে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে খিরের রেসিপি শেয়ার করব ।এই রেসিপিটা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি এবং আমার মনে হয় যারা মিষ্টি খাবার ভালোবাসে তারাও এই রেসিপিটা অনেক পছন্দ করবে। এই রেসিপিটি অনেকদিন আগে আমি একবার খেয়েছিলাম ।আজকে আবার অনেক খেতে ইচ্ছে করছিল তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে এই রেসিপিটা শেয়ার করি। এর ফলে রেসিপিটা যারা আজ পর্যন্ত খাননি তারা তৈরি করে খুব সহজেই খেতে পারবেন। এই রেসিপিটাতে নারিকেল ব্যবহার করা হয়েছে এর ফলে এই রেসিপিটা খেতে আরো বেশি চমৎকার লাগবে । এই রেসিপিটি তৈরি করার তেমন কঠিন কিছু না আপনারা যদি আমার এই পোস্ট টা ফলো করেন তাহলে আপনারা মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই রেসিপিটা প্রস্তুত করে ফেলতে পারবেন। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক কিভাবে রেসিপিটা তৈরি করা হলো।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | চাউলের ময়দা | পরিমাণমতো |
২ | চিনি | পরিমাণমতো |
৩ | নারিকেল | পরিমাণমতো |
৪ | লবন | স্বাদঅনুযায়ী |
৫ | তেজপাতা | পরিমাণমতো |
অল্প পরিমাণ নারিকেলের ঝুরি আমি একটা পাত্রে নিয়ে নিয়েছি ।আপনারা চাইলে বেশি করে নারিকেলের ঝুড়ির খির রান্নাতে দিতে পারেন ।নারকেলের ঝুড়ি বেশি পরিমাণ দিলে খির রান্না বেশি সুস্বাদু হয়।
এবার আমি বেশি পরিমাণ চিনি একটা পাত্রে নিয়ে নিয়েছি। বেশি পরিমাণ চিনি দিলে খির রান্নাটা একটু মিষ্টি বেশি হবে। যারা মিষ্টি কম খাই তারা অল্প পরিমাণ চিনি দিতে পারেন ।তবে বেশি পরিমাণ চিনি দিলে রান্নাটা বেশি সুস্বাদু হবে।
এবার চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে পানি দিয়ে পানি কিছুক্ষণ ফুঁটিয়ে নিব ।ফোটানো পানির ভেতর নারিকেলের ঝুরি ও চিনি দিয়ে দিব। পানি আগে থেকে ফোটানো না থাকলে চিনি ও নারকেলের ঝুড়ি দেওয়ার পরে পানি একটু ফুটিয়ে নিতে হবে।
এবার আমি পরিমাণমতো চাউলের ময়দা একটা পাত্রে নিয়ে নিয়েছি ।আপনারা চাইলে রুলার ময়দা নিতে পারেন ।কিন্তু গমের ময়দা নিলে খির তৈরি করা হবে না। চাউলের ময়দা দিয়ে খির তৈরি করলে সেটা খেতে বেশি সুস্বাদু হয়।
এবার পরিমাণমতো পানি নিয়ে পানির সাথে লবণ মিশিয়ে চাউলের ময়দা গুলো ভালোভাবে হাতের তালু দ্বারা ছেনে নিব।
এবার খির কাটা টিনে চাউলের ময়দা দিয়ে হাতের তালু দ্বারা আস্তে আস্তে চাপ দিতে হবে ।তাহলে টিনের ফাঁক দিয়ে খির কাটা হয়ে যাবে।
এবার খির কাটা টিনে চাউলের ময়দার খির কাটা হয়ে গিয়েছে।
এবার আমি চাউলের ময়দার খিরের ভেতর তেজপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিব ।ফুটিয়ে নিলে ভালোভাবে সিদ্ধ হবে।
এবার প্রায় খির সিদ্ধ করা হয়ে গিয়েছে ।কিছুক্ষণ পর চাউলের ময়দার খির নামিয়ে ফেলবো।
এবার ঝটপট তৈরি হয়ে গেল আজকে সেই রেসিপি চাউলের ময়দার রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ।চাইলে আপনারা বাড়িতে তৈরি করে খেতে পারেন।
- ধন্যবাদ সবাইকে এতখন আমার সাথে থাকার জন্য ।আশা করি আমার এই চাউলের ময়দা দিয়ে খির রান্না রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
চাউলের গুঁড়ো দিয়ে যে এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করা যায় তা আগে জানা ছিল না। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। আর নারকেল দিয়ে করা যেকোনো রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। আপনার এই রেসিপিটি ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু এবং ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে খির রান্না করে শেয়ার করেছেন। আসলে এই খির আমি প্রায় দিনই খেয়ে থাকে। আপনার খির রান্নার ধাপগুলো আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
চালের গুঁড়ো দিয়ে এত চমৎকার ভাবে ক্ষীর রান্না এই প্রথম দেখেছি। গ্রাম বাংলায় চালের গুঁড়ো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি তৈরি করা হয়। কিন্তু ক্ষীর রান্না দেখে আমার কাছে বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে আপু। আপু নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে যদি খেতে পারতাম।
আসলেই খির রান্নাটা খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল ।ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা।
ওয়াও আপু ! মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন তো । দুই বছরের উপরে হয়ে গেল এই খির খাওয়া হয়না ।আপনার রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে । নারিকেল দেয়াতে আরো বেশি মজা হয়েছে নিশ্চয়ই খেতে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ❤️
নারকেল একটু বেশি দেওয়াতে রান্নাটা আরো বেশি মজাদার হয় ।ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু দুধ ছাড়া ক্ষীর রান্না করা যায় আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমেই প্রথম দেখতে পেলাম। আমি জানি ক্ষীর বলতেই ঘন দুধ দিয়ে তৈরি খাবার। কিন্তু আপনি আজ যে ক্ষীর তৈরি করে দেখিয়েছেন চাউলের ময়দা দিয়ে নারিকেলের সমন্বয়ে তা আজ পর্যন্ত দেখিনি আর তাই খাইওনি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব খুব সুস্বাদু হয়েছে। খুবই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। নতুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আপনার জন্য অনেক ধন্যবাদ রইল।
চাউলের গুড়া নারিকেল এবং চিনির মিশ্রণ এর খুবই লোভনীয় ক্ষির প্রস্তুত করেছেন এই খাবারটি আমারও খুব ফেভারেট গ্রামের বাড়িতে থাকতে মাঝে মাঝেই খাওয়া হতো। অনেকদিন পর এমন রেসিপি দেখতে পেরে খুবই লোভ হচ্ছে খাওয়ার প্রতি
আসলেই রেসিপিটা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।
ওয়াও আপু দুধ ছাড়া খির রান্না করা যায় আজ প্রথম দেখলাম। আপনি আজ যে খির রেসিপি তৈরি করেছেন তা এর আগে আমি কখনও দেখিনি। নতুন একটি উপায় খির বানানোর শিখে নিলাম আপু। নতুন উপায় নতুন রেসিপি শিখিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ রইল।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে সুস্বাদু খির রান্না রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনার এই সুস্বাদু রান্নার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।