হ্যালো..!!
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবার
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে
আজ , মঙ্গলবার, নভেম্বর / ১৯ /২০২৪
|
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে গুঁড়ো দুধ ব্যবহার করে দই বসানো শেয়ার করব ।দই খেতে কার না ভালো লাগে বলেন। গরম গরম লুচির সাথে দুই খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।এটি আমার কাছে অনেক ফেভারেট একটি রেসিপি ।আমাদের বাসায় মেহমান আসার উপলক্ষে ভাবলাম দুধ দিয়ে একটু দই বসায় ।কিন্তু কোনদিন তেমন একটা একা একা দুই বসাইনি ।আজকে প্রথমবার একা একা সাহস করে দই বসাবো বলে ভেবেছি। না জানি কেমন হবে দুই বসানো । প্রথমে আমি ইউটিউবে দেখলাম কিভাবে দই বসাতে হয় ।ইউটিউবে সব থেকে আমার ক্যারামেল পদ্ধতিটা বেশি ভালো লেগেছে। ক্যারামেল তৈরি করে তার ভেতর দুধ দিয়ে দই বসালে দেখতে একেবারে বাজার থেকে কিনে আনা দইয়ের মতো লাগে। কালারটাও দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ।সেজন্য আমি ক্যারামেল পদ্ধতি ব্যবহার করে দই বসিয়েছি ।যখন বসিয়েছিলাম দুইটা তখন ভাবছিলাম না জানি দইটা কেমন হবে ।কিন্তু যখন দইটা বসানোর একদিন পর খুলে দেখলাম তখন দেখলাম আসলেই দইটা সুন্দরভাবে বসেছে এবং কালারটাও অনেক সুন্দর এসেছে। আপনাদের যদি আমার দই বসানোর পদ্ধতিটা ভালো লেগে থাকে তাহলে খুব সহজেই আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে এমন সুন্দর দই বাড়িতে তৈরি করে খেতে পারবেন।
•••• ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুল••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | দারচিনি | পরিমাণমতো |
২ | এলাচ | দুইটি |
৩ | চিনি | স্বাদমতো |
৪ | গুড়া দুধ | দুই প্যাকেট |
৫ | দই | পরিমাণমতো |
৬ | দুধ | ২ লিটার |
| |
প্রথমে আমি ২ লিটার দুধ নিয়ে নিয়েছি। আপনারা যতটুকু পরিমাণ দই বসাতে চান সেই পরিমাণ দুধ নিতে পারেন। ২ লিটার দুধ নেওয়ার পর আমি পরিমাণ মতো চিনি ও এলাচ দারচিনি নিয়ে নিব। এলাচ দারচিনি নেওয়ার পর আমি চুলাইয়ে রাখা হাড়িতে এলাচ ও দারচিনি দিয়ে দিব দিয়ে একটু ফুটিয়ে নিব।
| |
এবার আমি দুই প্যাকেট গুড়া দুধ নিয়ে নিব ।দুই প্যাকেট গুড়া দুধ নেয়ার পর বাটিতে একটু গরম দুধ নিয়ে দুধটা একটু গুলিয়ে নিব। আপনারা ঠান্ডা দুধ দিয়ে গুঁড়ো দুধ গুলাবেন না ।তাহলে দেখতে পাবেন দুধটা একটু গুটিগুটি হয়ে যাবে। গরম দুধ দিয়ে গোলালে অনেক সুন্দরভাবে গুঁড়ো দুধটা মিশে যাবে।
| |
এবার আমি যে পরিমাণ চিনি দুধের ভেতর দিব তার তিন ভাগের এক ভাগ কড়াইয়ের উপর জাল দিয়ে ক্যারামেল তৈরি করে নিব। ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এরকম ভাবে ক্যারামেলটা তৈরি করে নিবেন।
| |
এবার আমি ফুটানো দুধের ভেতর বাকি চিনি টুকু দিয়ে দিব। দিয়ে অনেকক্ষণ জাল দিয়ে ২ কেজি দুধ প্রায় আড়াই কেজি করে ফেলব। জাল দেওয়া হয়ে গেলে আমি দুধটা একটু ঠান্ডা করতে রেখে দিয়েছি।
| |
এবার আমি ফ্রিজে রাখা অল্প একটু দই একটা বাটিতে নিয়ে নিয়েছি ।গ্রাম্য ভাষায় যেটাকে আমরা বলে থাকি সাজা ।এবার আমি অল্পদয়ের ভেতর জাল দেওয়া দুধ দিয়ে দইটা অনেক সুন্দর ভাবে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিব ।ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন।
| |
এবার আমি দুধে মেশানো দইটা জাল দেওয়া হাড়িতে রাখা দুধের ভেতর দিয়ে দিব ।দিয়ে অনেকক্ষণ নাড়াচাড়া করে অনেক সুন্দর ভাবে দুধের সাথে দুইটা মিশিয়ে নিব । মিশিয়ে নেওয়ার পর আমি ছোট একটা হাড়িতে দুধটা দই বসাতে রেখে দিব ।এবং কাগজ দিয়ে হাড়িটা ভালোভাবে বেঁধে নিবো। ছবিতে আপনাদের যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এরকম ভাবে বেঁধে নিবেন।
দই বসানোর পর দইটা দেখতে এরকম হয়েছে । আসলেই দইটা খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। আপনারা না খেলে হয়তো দইটার স্বাদ বুঝতে পারবেন না ।অতাই একদিন বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন এটা খেতে কেমন লাগে।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | রেসিপি |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
দই আমার কাছে ভালই লাগে খেতে, তবে বাসায় খুব কম সময় বানানো হয়। আর গুঁড়ো দুধ দিয়ে তো কখনোই বানানো হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো। ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। দই দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গরুর দুধ দিয়ে দই তৈরির পদ্ধতি দেখে অনেক ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতে অনেক ভালো লাগবে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই রেসিপি। দারুন ছিল আপু।
দই অনেক পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। আপনি বাড়ির চমৎকার সুন্দর করে দই বসিয়েছে যা একদমই বাজারের দইয়ের মতো হয়েছে। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা আপনার রেসিপিটি দেখে বুঝতে পারছি। ধাপে ধাপে দই তৈরি পদ্ধতি চমৎকার করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আসলে এই দই বানানোর রেসিপি এর আগে কেউ কখনো হয়তো বা পোস্ট করেনি অথবা আমার চোখে পড়েনি। আজ আপনি আমাদের মাঝে দারুণ একটা রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন এবং দই তৈরীর প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
অনেক ভালো লাগলো আপনার চমৎকার রেসিপি দেখে। দারুন রেসিপি করেছেন আপনি। এমন সুন্দর সুন্দর রেসিপি মাঝে মধ্যে তৈরি করলে খেতেও ভালো লাগে পরিবারকে খাওয়াতে ভালো লাগে।
অনেক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করতে দেখে। চমৎকার হয়েছে আপনার আজকের দই তৈরি করা। যেন একটু ভিন্ন স্বাদের রেসিপি দেখতে পারলাম।
আপনি একেবারে সঠিক পদ্ধতিতে দই বসিয়েছেন। এবং শেষমেষ দেখছি দই আপনার খুব সুন্দর বসে আছে। দইতে ক্যারামেল দিলে রং খুব সুন্দর আসে। আমাদের বাড়িতে যখন আগে কোন অনুষ্ঠানে তো তখন এই ভাবেই দই বসানো হতো। আপনার দই বসানো দেখে বেশ লোভ লাগছে।
অসাধারণ আপু। কয়েকটি উপকরণ দিয়ে বাসায় বানিয়ে ফেললেন দই। দই রেসিপি আমি আগে কখনো দেখিনি। ইউটিউবে কখনো সার্চ করেও দেখিনি। আজি প্রথম আপনার পোস্টে দই তৈরির রেসিপি দেখলাম। যে কোন জিনিস বাড়িতে তৈরি করে খাওয়ার স্বাস্থ্যসম্মত। গুড়া দুধ এবং কয়েকটি উপকরণ দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত দই তৈরি করে ফেলেছেন। রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে দই বসিয়েছেন তবে পরিবেশনের সময় একটু দই চামচ দিয়ে কেটে দেখালে আরও ভালো বুঝা যেতো। তাছাড়া
এখানে হয়তো দেড় কেজি নয়তো আধা কেজি হবে আপু। ২কে জাল দিলে আড়াই কেজি হয় না। যাই হোক আপনার কাছ থেকে গুঁড়া দুধ দিয়ে দই তৈরির খুব সুন্দর পদ্ধতি শিখে নিলাম। কখনও তৈরি করলে কাজে লাগবে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।