আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ রবিবার, ফেব্রুয়ারি ১১/২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে মেহেন্দির ডিজাইন শেয়ার করবো। মাঝেমধ্যে আমি অনেক জনকে মেহেন্দি হাতে দিয়ে থাকি। আজকে আমাদের বাড়ির পাশে একটা বাচ্চা আমাদের বাসায় এসে আমাকে বলছিল আপু আমার হাতে একটু মেহেন্দি দিয়ে দেবেন। আমি বললাম কিসের জন্য মেহেন্দি পরবা ।বলল কালকে আমাদের এখানে মাহফিল হবে সেজন্য আমি হাতে মেহেন্দি পরবো। আমি বললাম সাবান দিয়ে হাতটা পরিষ্কার করে ধুয়ে আসো ।আমি তোমাকে অনেক সুন্দর করে মেহেন্দি দিয়ে দিচ্ছি। মেহেন্দি সম্ভবত বেশিরভাগই মেয়েরা হাতে দিয়ে থাকে। আজকে প্রথম আমি সিয়ামের হাতে মেহেন্দি দিয়ে দিলাম। সিয়ামকে বললাম সিম্পল ভাবে মেহেন্দি দিয়ে দেই ও বলল আমার সবগুলো আঙ্গুলে মেহেন্দি দিয়ে দিবেন । আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক আমি সিয়ামের হাতে মেহেন্দি দিয়ে দিয়েছি।
প্রথমে আমি মেহেন্দির একটা ছোট ফোটা দিয়ে নিয়েছি। তার চারপাশে গোল করে দাগ টেনে নিয়েছি। দাগ টানা হয়ে গেলে আবারো গোলাকার দাগ টেনে নিব ।গোলাকার দাগের পাশে আমি বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে ফুল আকৃতি করে নিব। ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন।
এবার আমি গোলাকার ফুল আকৃতির চারপাশে মেহেন্দি দিয়ে ফোটা দিব। ফোটা দেওয়ার পর আবারো গোল আকৃতি বড় ফুল আঁকিয়ে নিব। ফুলের ভেতর অল্প একটু মেহেন্দি লাগিয়ে নিব যাতে দেখতে ভালো লাগে। এমন ধরনের ফুল পানি দিয়ে ধোয়ার পরে দেখতে বেশি ভালো লেগে থাকে।
এবার আমি বড় করে পাতা আকৃতি ফুল করে নিব ।বড় আকৃতি ফুলের পাস দিয়ে লম্বা আকৃতি দাগ টেনে নিব ।দাগের পাশে আবারো লম্বা আকৃতি দাগ টেনে নিব ।তার সাথে বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে ফুল আকৃতি করে নিব। পাতা আকৃতি ফুলের ভেতর আবারো গোল গোল করে ফুল আঁকিয়ে নিব। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পাতা আকৃতি ফুলের ভেতর আমি বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে তিনটা ফুল আকিয়েছি।
এবার আমি পাতা আকৃতি ফুলের পাশে আবারও দুইটা ছোট ছোট পাতা আকৃতি ফুল করে নিব । পাতা আকৃতি ফুলের পাশে আবারো দুইটা বেঁকিয়ে দাগ টেনে নিব। দাগের পাশ দিয়ে আবারো বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে ফুল আঁকিয়ে নিব। দুইটা পাতা আকৃতি ফুলের ভেতর গোল ফুল আঁকিয়ে নিব। গোল ফুলের পাশে দাগ টেনে বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে ফুল আঁকবো।
এবার আমি মেহেন্দি দিয়ে ছোট ফোটা দিয়ে নিব। ফোটার পাশে চারদিকে গোলাকার দাগ টেনে নিব। গোলাকার ফুলের পাস দিয়ে বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে বড় একটি ফুল আকিয়ে নিব। ফুল আকানো হয়ে গেলে ফুলের ভেতর অল্প একটু মেহেন্দি দিয়ে নিব ।এবার ছোট একটি ফুল আঁকিয়ে নিব পাতা আকৃতি ফুলের পাশে আবারো দাগ টেনে দাগের পাশ দিয়ে গোলাকার ফুল আঁকিয়ে নিব ।গোলাকার ফুল আঁকানো হয়ে গেলে বেঁকিয়ে য বেঁকিয়ে আবারো তিনটা ফুল আঁকিয়ে নিব। ছবিতে আপনার যেরকম দেখতে পাচ্ছেন।
এবার আমি দুইটা নকে পাতা আকৃতি ফুল আঁকিয়ে দিয়ে। ফুলের পাশে আবারো গোলাকার তিনটা ফুল আঁকিয়ে নিব।
এবার আমি মাঝখানের আঙ্গুলে তিনটা পাতা আকৃতি ফুল আঁকিয়ে নিব। তার পাশে অনেকগুলো ফোটা দিয়ে দিব জানিনা আমার মেহেন্দির ডিজাইন আপনাদের কেমন লেগেছে ।যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি আমার আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
খুব সুন্দর হয়েছে মেহেদী আর্ট, আমি মেহেদী আর্ট করতে পারিনা, ছোটবেলা ঈদের সময় অনেক বেশি আনন্দ হতো মেহেদি দেয়া নিয়ে, সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।
আপনাদের পাশে বাসার মেয়েটা মাহফিল উপলক্ষে হাতে মেহেদী পড়তে এসেছে আর আপনি খুব সুন্দরভাবে হাতে মেহেদীটা পরিয়ে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো । আপনি তো ভালই মেহেদি পড়াতে পারেন । এরকম করে অন্যের হাতে মেহেদি পড়াতে থাকলে আস্তে আস্তে আপনি আরো ভালো মেহেদী দিতে শিখিয়ে যাবেন । ভালো লাগলো আপনার ডিজাইনটি ।
এ ধরনের মেহেদী ডিজাইন গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। হাতে মেহেদির সুন্দর ডিজাইন করে দেওয়ার প্রক্রিয়াটি খুবই চমৎকার ছিল। মেহেদি ডিজাইন দেওয়ার ৪ নাম্বার এবং ৫ নাম্বার ধাপটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাচ্চারা মেহেদী দিতে খুবই পছন্দ করে। আর মেয়েরা একটু বেশি পছন্দ করে হাতে মেহেদি দিতে। ছেলেরাও কিন্তু হাতে মেহেদি দিয়ে থাকে তবে যেগুলো ছোট। আপনি অনেক সুন্দর করে এই মেহেদির ডিজাইন টা থাকে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তার হাতে কিন্তু মেহেদির ডিজাইন টা অনেক সুন্দর মানিয়েছে। নিশ্চয়ই মেহেদি দেওয়ার পর কালারটা অনেক সুন্দর এসেছিল। অনেক নিখুঁত ভাবে করেছেন আপনি যা দেখে বুঝতে পারতেছি
হাতের মধ্যে এরকম মেহেদি দিয়ে দিলে, ছোট বাচ্চারা অনেক বেশি খুশি হয়। ওই ছোট বাচ্চা ছেলেটা আপনার কাছে মেহেদি দিয়ে দেওয়ার জন্য এসেছিল। আর আপনিও অনেক সুন্দর করে তার হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। মেহেদির ডিজাইনটা অনেক নিখুঁতভাবে এবং সময় দিয়ে অঙ্কন করেছেন নিশ্চয়ই। মেহেদী অঙ্কন করতে সময় লাগলেও দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
খুবই সুন্দর একটি মেহেদি ডিজাইন আর্ট করে আপনি হাতে লাগিয়েছেন। খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার হাতে লাগানো মেহেদি ডিজাইনটি। মেহেদি লাগাতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। মেহেদি ডিজাইনটি কিভাবে লাগিয়েছেন সেটাও ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।