||ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বেগুন রান্না রেসিপি ||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।
সোমবার, জুলাই ১১/২০২২
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি ।আশাকরি আপনাদের দেখে অনেক ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের সাথে ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বাগুন রান্না রেসিপি শেয়ার করব এমনিতেই ছোট মাছ আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়ায় ।ছোট মাছ খেতে প্রায় মানুষ পছন্দ করে। ছোট মাছ রান্না করলে খেতে খুব সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে বর্ষার সময় এই রেসিপিটা রান্না করা হয় । এখন বৃষ্টির সময় চারদিকে ছোট মাছ প্রচুর পরিমাণ হয়েছে ।তাই সকাল সকাল বাজারে গিয়ে দেখলাম অনেক ছোট মাছ বিক্রি করতে এসেছে। তাই ভাবলাম এখন বর্ষার সময় ছোট মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগবে। ছোট মাছ খেতে তো ভালো লাগে কিন্তু পরিষ্কার করতে অনেক কষ্ট হয়। তাই বাজার থেকে ছোট মাছ কিনে আনলাম ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বেগুন রান্না করবো বলে। ছোট মাছ রান্নার থেকে ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে দারুন লাগে বিশেষ করে একটু বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ দিয়ে চচ্চড়ি করলে চচ্চড়িটা একেবারে জমে যায়। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক কিভাবে ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বেগুন রান্নার রেসিপি তৈরি করা যায়।
••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো••••
| ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
|---|---|---|
| ১ | কাঁচামরিচ | পরিমাণমতো |
| ২ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
| ৩ | হলুদের গুঁড়া | পরিমাণমতো |
| ৪ | লবন | স্বাদঅনুযায়ী |
| ৫ | জিরা | পরিমাণমতো |
| ৬ | সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি কচুগুলো ভালোভাবে পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি ।মনে রাখতে হবে সিদ্ধ করার আগে কচু গুলো ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সিদ্ধ করার পর কচুগুলো পরিষ্কার করে ছুলে নিতে হবে।
এবার আমি ছোট মাছগুলো একটা একটা করে টিপে ছোট মাছের নাড়িগুলো বের করে নিব ।যখন ছোট মাছের নাড়িগুলো বেরিয়ে যাবে তখন পরিষ্কার পানি দিয়ে অনেকবার ধুয়ে নিতে হবে ।মনে রাখতে হবে পরিষ্কার করে ছোট মাছ না ধুলে ছোট মাছ রান্না করলে রান্না তেতো লাগবে ।তাই খুব সতর্কভাবে অনেকবার পানি দিয়ে ছোট মাছগুলো ধুয়ে নিতে হবে।
এবার আমি ছোট মাছগুলোতে হলুদ ও লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিব ।কিছুক্ষণ রাখার পরে চুলাই রাখা কড়াই এর উপর সোয়াবিন তেল দিয়ে গরম করে নিব । সয়াবিন তেল গরম করা হয়ে গেলে মাছগুলো ভালোভাবে ভেজে নিব ।ছোট মাছ আলাদাভাবে ভেজে নিলে রেসিপিটা খেতে বেশি সুস্বাদু হবে।
এবার আমি পরিমাণমতো কাঁচা মরিচ ,পরিমাণমতো পেঁয়াজকুচি , পরিমাণমতো হলুদের গুড়া ,পরিমাণমতো লবণ, পরিমাণমতো জিরা একটা পাত্রে নিয়ে নিব।
এবার জিরা, কাঁচা মরিচ ,পেঁয়াজকুচি ,পাটার সাহায্যে ভালোভাবে বেটে নিতে হবে ।বেটে নেওয়ার পর কড়াইয়ে সোয়াবিন তেল গরম করে নিয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো কিছুক্ষণ ভেজে নিব। ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে পরিষ্কার করা কচুগুলো দিয়ে দিব দিয়ে কিছুক্ষন কষিয়ে নিব।
এবার আমি বেগুনগুলো ছোট ছোট করে কেটে নিব। মনে রাখতে হবে বেগুনগুলো একটু পাতলা করে কাটতে হবে বেশি মোটা হয়ে গেলে বাগুন সিজদে দেরি হবে।
এবার আমি কষানো কচুর ভেতর বাগুনগুলো দিয়ে দিব ।বাগুনগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ পর ছোট মাছগুলো দিয়ে দিব দিয়ে একটু বেশি পরিমাণ পানি দিব পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পর সিদ্ধ করে নিব।
এবার কচু ও বেগুনগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করা হয়ে গেছে, এবার খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন একটু কমে যাই
এবার রান্নাটির পানি একটু কমে গিয়েছে। রান্নাটির কালারটা অনেক সুন্দর হয়েছে যখন দেখব পানি একটু কমে গিয়েছে এবং কালারটা সুন্দর হয়েছে তখন জানবো রেসিপি রান্নাটা হয়ে গেছে।
এবার ছটপট তৈরি হয়ে গেল আজকে সেই রেসিপি ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বাগুন রান্না রেসিপি ।আসলেই রান্নাটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে আপনারা চাইলে বাড়িতে রান্না করে দেখতে পারেন।
- ধন্যবাদ সবাইকে এতখন আমার সাথে থাকার জন্য ।আশা করি আমার এই ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বাগুন রান্না রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
আপনার আজকের রেসিপিটা ছিল খুবই লোভনীয় ছোট মাছ দিয়ে কচু এবং বেগুন রান্নার রেসিপিটা ছিল জাস্ট অসাধারণ। দেখে জিভে জল চলে আসলো। কিভাবে রান্না করেছেন তা খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করেছেন উপস্থাপনাটি ছিল খুবই চমৎকার। অনেক অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য খুবই লোভনীয় রেসিপিটি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ছোট মাছ দিয়ে কচু এবং বেগুন রান্নার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে। আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে আপনার এই রেসিপিটি। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বেগুন রান্নার রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে। ছোট মাছ আমার খুবই পছন্দ কারণ ছোট মাছ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই সবারই উচিত মাঝে মাঝে যেকোন সবজি দিয়ে ছোট মাছ খাওয়া।
ছোট মাছ বরাবরই আমার অনেক ফেভারিট শহর থেকে গ্রামে এসে কয়দিন এখন ছোট মাছ খাওয়া হচ্ছে আপনি লোভনীয়ভাবে ছোট মাছের রেসিপিটি প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখেই লোভে পড়ে গেলাম খেতেও নিশ্চয়ই খুবই মজা হয়েছিল
ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বেগুন রান্নার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। ছোট মাছ, কচু ও বেগুন সবগুলোই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর আপনি এগুলো সবগুলোকে একসাথে উপস্থাপন করেছেন। দেখতে অসাধারণ লাগছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনার ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বেগুন রান্না রেসিপি এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। সত্যি প্রথমে দেখেই আমার জিভে জল চলে এসেছে। আপনার উপস্থাপনা সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বেগুন রান্না রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। ছোট মাছ এমনি আমার খুব প্রিয় আর কচু আমার আরো প্রিয়। রিসিভের কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইলো।
ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বেগুন রান্নার অনেক মজাদার একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ছোট মাছ দিয়ে কচু ও বেগুন রান্না রেসিপি দেখেই আমার জিভে জল চলে আসলো। বিশেষ করে ছোট মাছ আমার অনেক পছন্দের মাছ। বড় মাছের চেয়ে আমি ছোট মাছ বেশি পছন্দ করি।