||চাউল দিয়ে মুড়ি ভাজা ||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ মঙ্গলবার, নভেম্বর ০১/২০২২
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্যদিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে কিভাবে ঘরে বসে চাউল দিয়ে মুড়ি বানাতে হয় তা আপনাদেরকে শিখিয়ে দিব ।অনেকে হয়তো মুড়ি খেতে পছন্দ করে ,আবার অনেকেই হয়তো কিভাবে মুড়ি তৈরি করতে হয় জানে না ।আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এই রেসিপিটা অনেক জনপ্রিয় একটি রেসিপি ।বিশেষ করে শীতকালে এই রেসিপিটা তৈরি করার বেশি চাহিদা বাড়ে। মুড়ির সাথে শীত মৌসুমের যেন একটা বন্ধুত্ব সম্পর্ক, কেননা শীতকাল আসলেই গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা মুড়ি বেশি তৈরি করে থাকে।
গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা আগুন পোহাতে পোহাতে কিংবা চাদর মুড়িয়ে নারকেলের নাড়ু দিয়ে মুড়ি খেয়ে থাকে ।অনেকে আবার আখের গুড় কিংবা খেজুরের গুড় দিয়ে মুড়ি খেয়ে থাকে। আমার সব থেকে খেজুরের গুড় দিয়ে মুড়ি মাখানো খেতে বেশি ভালো লাগে। এখন শীতকাল আবারও ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন আমার আম্মু মুড়ি নারকেলের নাড়ু তৈরি করতো, আর আমরা চাদর মুড়িয়ে বসে বসে খেতাম। এখন শীতকাল তাই আবারও আম্মুকে বললাম নারকেলের নাড়ু ও মড়ি তৈরি করতে। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক কিভাবে ঘরে বসে চাউল দিয়ে মুড়ি তৈরি করা যায় ।আপনারা চাইলে খুব সহজেই আমার উপরের ধাপ অনুসরণ করলে খুব সহজেই ঘরে বসে মুড়ি তৈরি করতে পারবেন।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | চাউল | যেটুকু তৈরি করবেন |
২ | চিকন বালু | বেশি পরিমাণ |
৩ | লবন | স্বাদঅনুযায়ী |
প্রথমে আমি চাউলগুলো বাজার থেকে সংগ্রহ করে নিয়েছি ।আমাদের বাড়িতে আগে থেকে চাউল গুলো আনা ছিল না ।
এবার আমি পরিমাণমতো লবণ নিয়ে নিয়েছি ।মুড়ি ভাজার সময় চাউলে লবণ মিশিয়ে না দিলে মুড়ি খেতে বেশি সুস্বাদু হয় না। আমার মতে মুড়ি ভাজার সময় চাউলে লবণ দেওয়া উচিত।
এবার আমি লবণের ভেতর একটু বেশি পরিমাণ পানি দিয়ে মিশিয়ে নিব।
আমাদের বাড়িতে বালি রাখা ছিল সেখান থেকে আমি বালি নিয়েছি। আপনারা একটু খেয়াল রাখবেন মুড়ি ভাজার সময় বালি যেন চিকন হয় । বালি চিকন না হলে মোটা বালি দিয়ে মুড়ি ভাজলে মুড়ি বেশিরভাগই লাল হয়ে থাকে। তাই আমরা মুড়ি ভাজার সময় চিকন বালি দিয়ে মুড়ি ভাজবো
এবার আমি বাড়িতে রাখা ধানের গুঁড়ো সংগ্রহ করে নিয়েছি ।ধানের গুঁড়ো গুলো সম্ভবত যখন বালুগুলো চুলাইয়ের উপরে গরম করে নেওয়া হয় তখন বালুগুলো গরম রাখার জন্য ধানের গুঁড়োর উপর রেখে দিতে হয। ধানের গুঁড়োতে অল্প পরিমাণ আগুন জলে থাকে তাই বালুগুলো অনেকটাই গরম হয়ে থাকে ।ভালো গরম হয়ে না থাকলে মুড়ি তৈরি করা ভালো হবে না
এবার আমি বালুগুলো চুলাইয়ের ওপরে ভালোভাবে গরম করে নিব।
এবার আমি চুলাইয়ের উপর একটা হাড়িতে অল্প পরিমাণ চাউল ও চাউলের সাথে পানি মিশানো লবণ মিশিয়ে অনেকক্ষণ ধরে নাড়াচাড়া করব। যখন দেখব মুড়ি ওঠার মতো চাউল তৈরি হয়ে গিয়েছে তখন চুলাইয়ের উপর চাউল নাড়াচাড়া করা বন্ধ করে দিব।
এবার আমি গরম বালির ভেতর পেজে রাখা চাউল গুলো দিয়ে দিব।
এবার আমি বালু মেশানো চাউল গুলো অনেকক্ষণ ধরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটা চালনের উপর দিয়ে মুড়িগুলো চেলে নিব তাহলে মুড়ি ভাজা হয়ে যাবে।
চালন দিয়ে চালার পর অনেকটা দেখতে এরকম হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে এতখন আমার সাথে থাকার জন্য ।আশা করি চাউল দিয়ে মুড়ি তৈরি করার পদ্ধতি আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
ফটোগ্রাফার | @mdemaislam00 |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | vivo12a |
চাল দিয়ে মুড়ি ভাজা অনেক ঐতিহ্যবাহী পুরনো পদ্ধতি, যেটি বর্তমানে খুবই কম সংখ্যক লোকে করে থাকে। আর সেটি আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে করেছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে এখন মেশিনের মাধ্যমে মুড়ি ভাজা হয় এবং বাজারে সেই মুড়ির প্রচলন অনেক বেশি রয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
চাউল দিয়ে এরকম ভাবে মুড়ি ভাজা বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের এক ঐতিহ্য।। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি আমার মা এরকম ভাবে মুড়ি ভাজে।
আমাদের বাড়িতে যেদিন এরকম মুড়ি ভাজা হয় সেদিন বিশেষ করে ভাইয়া অথবা কাকু দেখতাম গরম জিলাপি আর নারিকেল নিয়ে আসতো গরম মুড়ি দিয়ে খাওয়ার জন্য।।
মুড়ি ভাজার দৃশ্যগুলা সুন্দরভাবে ক্যামেরাবন্দি করে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।।
আসলে মুরি খেতে যতটক মজা তার থেকে ডাবল এর পিছনে পরিশ্রম দিতে হয়।আমি কৃষক পরিবারের ছেলে নিজের চোখে দেখে আসছি এই ধাপ গুলো।বিশেষ ভাবে রাখা ধান সেটা সিদ্ধ করে পরিমান মতো রোদ্রে শুকানো এরপরে আবার ভাঙ্গানী এরপরে আবার বাসায় এনে সেটা মাটিয়ে ছরিয়ে রেখে দেওয়া এর পরে শুরু হয় মুরি ভাজার কাজ।অনেক ভাল লাগলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ভীষণ ভালো লেগেছে আপনি চাল দিয়ে মুড়ি ভাজা রেসিপি শেয়ার করেছেন।আসলেই সবার কাছে শীতকালে মুড়ি দিয়ে খেজুর গুড় বা নারকেল দিয়ে মুড়ি খেতে ভালো লাগে।আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে খেজুরের গুড় আর নারকেল, সাথে এমন মজার মুড়ি।আমার এখনও মনে আছে শীতকাল আসলে এই মুড়ি দিয়ে নারকেল ও খেজুর গুড় দিয়ে খেতাম।আপনার আজকের মুড়ি ভাজার রেসিপি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরনো দিনের অনেক কথা মনে পড়ে গেল। আমার মা এভাবে করে চাল দিয়ে মুড়ি ভাজতে এবং সিয়ামের ও ভাজা মুড়ি অনেক ভালো পছন্দের। যাই হোক পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে একটি কথা ঠিক বলেছেন শীতকালে সাথে পিঠার এক নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান।
আম্মুর কাছ থেকে শুনেছি আগেকার দিনে নাকি বেশিরভাগ মানুষ মুড়ি ভাজতে বাড়িতে। এবং এটা ভাজার সময় নাকি খুব সুন্দর ঘ্রাণ হয়। তবে কিভাবে ভাজা হয় সেটা জানা নেই। আজকে আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম। তবে মনে হচ্ছে বেশ পরিশ্রমের কাজ। একবার ট্রাই করবো ভেবেছিলাম কিন্তু ধানের গুঁড়ো কোথায় পাবো 🥺। যাই হোক, আপনার রেসিপিটি ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি চাউল দিয়ে মুড়ি ভাজা করেছেন। মুড়ি ভাজা এটি অনেক ঐতিহ্যবাহী। সত্যি বলেছেন শীতকালে মুড়ি গুলো খেজুরের রস বা নারিকেল খেয়ে থাকে। শীতকালে আমাদের এই দিকেও মুড়ি খুব মজা করে মানুষ বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে খেয়ে থাকে। সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্রামের সেই হাতে ভাজা মুড়ি আহা কি যে স্বাদ ৷ জি আপু আর কয়েকদিন পর নতুন ধানের চাল দিয়ে গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে মুড়ি ভাজার ধুম ৷ সত্যি বলতে গরম মুড়ি কি যে স্বাদ ৷ তবে বিশেষ করে আখের গুড় দিয়ে নারু আহা আমি তো বলতেই ইচ্ছে করেছে খেতে ৷
যারা শহরে থাকে এটার স্বাদ জানে না ৷ তবে গ্রামের সবাই এর স্বাদ জানে ৷
এক কাজ করেন আপু গরম মুড়ি পাঠিয়ে দিন ৷ হি হি হি!!!!
এটা তো জানতাম যে চাল থেকে মুড়ি উৎপন্ন করা হয়। তবে এই তৈরির পদ্ধতিটা কখনোই দেখা হয়নি। এই প্রথম আপনার পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিলাম। বেশ চমৎকার লাগলো জিনিসটা দেখে। অনেক ইউনিক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আগে আমার আম্মা এভাবে চুলার মধ্যে মুড়ি ভাজা করতো। আম্মার হাতের মুড়ি ভাজা খেতে খুব ভালো লাগতো। আপনি খুব সুন্দর করে মুড়ি ভাজা করেছেন এবং ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। এতো সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।