আমার বাংলা ব্লগের সকলসদস্যবিন্দু আমার নতুন একটি ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম !
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ বুধবার, আগস্ট ১৪/২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে লেবু ও শুকনা মরিচের গুড়া দিয়ে চিনা বাদাম মাখানো রেসিপি শেয়ার করব। আপনারা অনেকেই হয়তো চিনাবাদাম খেতে অনেক ভালোবাসেন ।আমিও চিনাবাদাম খেতে অনেক ভালোবাসি । যে কোন জিনিস একটু ইউনিক ভাবে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই আমি ভাবলাম আজকে আমি চিনাবাদাম লেবু ও শুকনা মরিচের গুড়া দিয়ে মাখিয়ে খাব ।এমনিতেই ঝাল ঝাল টক মিষ্টি জিনিস খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে সেই টক ঝাল নেবু ও শুকনা মরিচের গুড়া দিয়ে চিনা বাদাম মাখানো রেসিপি দেখে আসা যাক।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো••••
| ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
|---|
| ১ | চিনা বাদাম | পরিমাণ মতো |
| ২ | শুকনা মরিচের গুঁড়া | পরিমাণমতো |
| ৩ | লবণ | স্বাদমতো |
| ৪ | লেবু | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি অল্প একটু চিনাবাদাম এবং একটা লেবু নিয়ে নিয়েছি ।আপনারা যতটুকু চিনা বাদাম মাখাতে চান সেই পরিমাণ চিনা বাদাম নিতে পারেন।
এবার আমি চিনা বাদাম গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ছুড়িয়ে নিয়েছি । ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এরকম ভাবে চিনা বাদাম গুলো ছুরিয়ে নিবেন।
এবার আমি পরিমাণ মতো শুকনা মরিচের গুড়া এবং পরিমাণ মতো লবণ নিয়ে নিয়েছি ।
এবার আমি লেবুটা অনেক সুন্দর ভাবে সাইজ করে কেটে নিয়েছি । কেটে নিয়ে পরিমাণ মতো লেবু নিয়ে নিব।আপনারা যতটুকু লেবু দিতে চান সে পরিমাণ কেটে নিতে পারেন।
এবার আমি শুকনা মরিচের গুড়া এবং লবণ চিনা বাদামের সাথে অনেক সুন্দর ভাবে মাখিয়ে নিব। ছবিতে আপনার যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এরকম ভাবে মাখিয়ে নিবেন ।
এবার আমি লেবুর রস লবণ ও ঝাল মাখানো চিনা বাদামের ওপর ছিটিয়ে দিব এবং সবগুলো আবারো মাখিয়ে নিব ।
অবশেষে তৈরি হয়ে গেল টক ঝাল মিষ্টি লেবু শুকনা মরিচের গুড়া দিয়ে চিনা বাদাম মাখানো । আসলেই রেসিপিটা খেতে অনেক মজাদার ছিল। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজে বাড়িতে বসে এমন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পারবেন ।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি আমার লেবু ও শুকনা মরিচের গুড়া দিয়ে চিনা বাদাম মাখানো আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
| ব্লগার | @mdemaislam00 |
|---|
| ব্লগিং ডিভাইস | vivo y 12a |
| অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি বাদাম মাখানোর রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এ বাদাম খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে এর নাম আমরা জাম্বুরা বলে জানি। তবে এই ফলটা বর্তমানে প্রকার সময়। এভাবে ঝালের গোড়া লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে আমার।
চিনা বাদাম কে আমাদের এলাকায় জাম্বুরা বলে।খুব মজাদার এই জাম্বুরা খেতে।জাম্বুরা মাখা খেতে অনেক মজাদার হয়।আপনার চিনাবাদাম মাখা রেসিপিটি জিভে জল আসার মতো হয়েছে আপু।ধাপে ধাপে চিনাবাদাম মাখা রেসিপি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এই সিজনে এই বাদাম গুলো পাওয়া যায়।লাল গুলো খেতেও অনেক মজা লাগে।লবন,মরিচ,পেয়াজ এবং সরিষার তেল দিয়ে এগুলো মিক্সিং করলে খেতে খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আপু আপনার রেসিপিটা জাম্বুরা মাখা নিয়ে। এটাকে যে চিনাবাদাম বলা হয় তা আমার জানা ছিল না।আপনি একটু জানাবেন আপু,এটা আসলেই কি চিনা বাদাম বলা হয়, নাকি আপনার লেখায় মিসটেক হয়েছে। আমরা তো ভিন্ন নামে জানি তাই বললাম।যাইহোক রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল।
আমি এই প্রথম আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম জাম্বুরা কে চিনা বাদাম বলে। তবে অঞ্চলভেদে এর নাম বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যাই হোক আপনি লবণ আর মরিচের গুঁড়া দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে জাম্বুরা মাখিয়েছেন। এই ধরনের রেসিপি দেখলে জিভে জল চলে আসে। ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জাম্বুরাকে আপনাদের ওইদিকে চিনা বাদাম বলে নাকি আপু? আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম কোন বাদাম হবে। যাই হোক আপনার কাছে নতুন একটি রেসিপি শেখার সুযোগ হলো। এই ধরনের খাবার গুলো খেতে অবশ্য ভালোই লাগে।